Breaking News
Home / Breaking News / সদর উপজেলার লক্ষীপুর মডেল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ।। আহত ২০ জন

সদর উপজেলার লক্ষীপুর মডেল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ।। আহত ২০ জন

মোহাম্মদ সিন্টুঃ
চাঁদপুর সদর ১০ নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন সংঘর্ষকারী আহত সহ আরো কয়েকজন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১৯ শে নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে বহরিয়া বাজার। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে পুরানবাজার পুলিশ ঘটনাস্থলে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন।
সরজমিন গিয়ে জানা যায়, আগামী জেলা আওয়ামী লীগের সন্মেলন কে সামনে রেখে, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক প্রস্তুতি মূলক সভার আয়োজন করা হয়। সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলী আরশাদ মিঝি বলেন, বিকেল ৪ টার সময় আমাদের কাযালয়ে প্রস্তুতিমুলক সভার জন্য আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মোঃ ইউনুছ শেখ, ছায়েদ মাষ্টার, নান্নু হাওলাদার, হারুনুর রশিদ, যুবলীগের আহবায়ক জহিরুল ইসলাম হাওলাদার, যুগ্ন আহবায়ক মোঃ ফারুক আহান্মেদ গাজী, সহ ইউনিয়ন আওয়ামী- যুবলীগ – ছাএলীগের নেতাকর্মীদের উপস্হিতি কালে, হঠাৎ করে অফিসের বাহিরে চেয়ার ছোড়াছুড়ি শুরু হলে আমরা বাধা প্রধান করলে, আওয়ামীলীগ নেতা শফিক গাজীর নেতৃত্বে নিজে সহ সেলিম খাঁ, ফজল খাঁ, জসিম খাঁ ও কামাল খাঁ উভয়ের পিতা মান্নান খাঁ, আরিফ খাঁ, পিতা আবুল খা, বাবুল খাঁ পিতা আবুল খাঁ, হান্নান পিতা আমির হোসেন, মহসিন খাঁ পিতা হাফেজ খাঁ, জাহিদ খাঁ পিতা হাফেজ খা,মোস্তফা গাজি পিতা মৃত হাসেম গাজি, সহ আরো কয়েকজন, সভাস্থল অফিসের ভিতরে এসে হামলা চালায়, হামলার সময় তাদের লাঠির বাড়িতে এবং ইট পাটকেল নিক্ষেপে উপস্থিত ১০-১৫ জন নেতা কর্মি আহত হয়, অনেকের মাথা ও মুখের পাশ ফেটে গেছে,
তাদের মাঝে মোক্তার বেপারি পিতা শিরাজ বেপারি,ইউসুফ হাওলার পিতা আজিজ হাওলার, ফারুক গাজী পিতা ফরিদ গাজী,দেলোয়ার হোসেন পিতা হাবিবুল্লা শেখ, এছাড়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ইমরান হোসেন।
তাদের হামলা প্রতিরোধ করতে আমরা তাদের ধাওয়া করি, কিন্তু হামলাকারীরা দূর থেকে ইট পাটকেল ছুরে মারে, তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে পুরানবাজার পুলিশ এসে হামলাকারীদের ধাওয়া করে তাদের ছত্রভঙ্গ করলে হামলা কারিরা সটকে পরে,
এদিকে আহতরা চাঁদপুর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে, পূণরায় হামলাকারিরা, শফিক খাঁন বাড়িতে গিয়ে নারী পুরুষ সহ শিশুদের উপর দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা করে, এবং ওই বাড়ির বসত ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে ভাংচুর সহ লুটপাট করে বলেন সুমন খাঁন বলেন, তিনি আরো বলেন, আমি রাস্তায় পরে থাকা আহত একজন কে কোলে নিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছি , তারা আমার বাড়িতে গিয়ে হামলা করে, তাদের হামলার কারনে আমার ভাবি হেমা বেগম (৩৫) স্বামী শফিক খাঁন গুরুতর অবস্হায় সরকারি হাসপালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাছাড়া আসমা আক্তার (২২) স্বামী সুমন খাঁন, রুমা বেগম (২৩) স্বামী মনির খা সহ একটি শিশু আহত হয়, তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসি,

এদিকে পুরানবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সামছুল আলম বলেন, আমি খবর পেয়ে সঙ্গিয় ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্হল এসে দুই পক্ষের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনি, তবে, এখন পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও আমি সহ আমাদের টিম রাতে ঘটনাস্থলে অবস্থানে থাকবো।
সুত্রে জানা যায়, বিগত কয়েক বছর ধরে লক্ষীপুর মডেল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের কয়েক দফা মারামারা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, আওয়ামী লীগের এমন সংঘর্ষ সাধারণ মানুষকেও বিপদে পড়তে হয়, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির সাথে প্রাক্তন কমিটির সাথে বিরোপ সৃষ্টির কারন খুজঁতে দেখা যায়, দুই পক্ষের নিজস্ব দাবি দলীয় পদ পদবীর চাহিদাকে কেন্দ্র করে বিগত বছরের এই দলীয় সংঘর্ষ । প্রতিবছরই লক্ষীপুর মডেল ইউনিয়ন দলীয় ভাবে নিজেদের মধ্যে সংর্ঘষে লিপ্ত হয়ে কয়েকজন আহত হবার ঘটনা ঘটে আসছে। স্থানীয়রা জানান, এদিকে এই ঘটনায় বহুবার শফিক গাজীর ফোনে কল করেও উল্টো দিক থেকে কোন সারা পাওয়া যায়নি বলে আমরা শফিক গাজীর কোন সাক্ষাৎকার তুলে ধরতে পারি নাই, তবে ঘটনার বিষয় থেকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহতদের পরিবার বর্গ মামলার প্রস্তুতি নেবার কথা জানা গেছে।

Powered by themekiller.com