Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য পড়ুন

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য পড়ুন

বেচেঁ থাক ভালোবাসা
সোনালী আদক
১৪/১১/২২
দিন কুড়ি বাবা আমার,ছিলো ভর্তি এক নামি হসপিটালে,
ঝাঁ চকচকে পরিস্কার পরিছন্ন, নিয়ম কানুন বেশ গোলমেলে।
কতশত রুগীর আনাগোনা সেথা ,কতো যে জটিল রোগ,
এতো মানুষের হাজার কষ্ট, “ভগবান” সব্বাই সুস্থ হোক।
নির্দেশিকা বোর্ডে হাজার নিয়ম, আছে সেথা ঝোলানো,
রোজ আসি যাই নিয়ম ভাঙি কিছু, যদিও চোখ বোলানো।
এই যেমন ধরুন, বাবার পছন্দের খাবার সামান্য কিছু,
পাচার করি কর্তৃপক্ষের চোখ এড়িয়ে, অপরাধীর মত মাথা নিচু।
এমন কিছু নয় শুকনো খাবার, বিস্কুট বা চিঁড়ে ভাজা,
মধ্যবিত্তের গাছের ফল, পেয়ারা বাতাবি তরতাজা।
সিকিউরিটি আজ ডাকলো হেঁকে,”দশ নম্বর বেডের লোক”
“এইইই এই যে আমি “বাবাকে বাড়ি নিয়ে যাবার,ভীষন রকম ঝোঁক।
সব্বাই বলে সিকিউরিটি নাকি, বেজায় ডিসিপ্লিনের মানুষ,
একটুও এদিক ওদিক করার উপায় নেই, বুক কাঁপে ধড়াস।
সামনে যেতেই বুক দুরদুর্,ওরে বাবা আমি নেহাত গোবেচারা,
উচুঁ মেজাজে ,”সই কর মেয়ে, কথা আছে চুপটি করে দাঁড়া”।
শুনে তো চোখ কপালে, বুকের ভিতর জোর জোর ড্রাম বাজে,
ফাঁকি তো আমি রোজ দিয়েছি ,নিয়ম ভেঙেছি কর্তৃপক্ষ কাজে ।
হাত পা কাঁপে কী গম্ভীর গলা, আমি বাপু সহজসরল মেয়ে,
নিস্পাপ চোখ যেমনটি আমার বাবা, ঠিক তেমনি করে চেয়ে।
বললেন ধীরে ,””ওরে মেয়ে তুই বললাম,” রাগ করলি নাকি
আমার মেয়েও তোর বয়সী, তোর মতো করেই ডাকি”।
“প্রথম দিন থেকে দেখছি তোকে, বাবার জন্য অস্থির থাকিস,
দুবেলা কেমন খাবার দাবারের বাবার,বেশ খেয়াল রাখিস।
সব দেখি আমি বুঝলি পাগলি, আমি যে নিয়মে বন্দি,
নানান মানুষ আসে দুবেলা আঁটে, কেবল মিথ্যের ফন্দি।””
আমি অকপটে স্বীকার করি, “আঙ্কেল আমিও সমান দোষী,
নিয়ম কানুন আমিও ফাঁকি দিয়েছি নেহাতই কমবেশি।
আপনার অগোচরে সুযোগের সদ্ব্যবহার, আমিও তো করেছি, ”
“ধূর পাগলি ওটা কোনো দোষ নয় ,ওগুলো আমি দেখেছি।
ভালো থাকিস বাপ মেয়ে আরেক বাপের আশির্বাদ রইলো, ”
বাবাকে নিয়ে ফেরার পথে, এমন পবিত্র ভালোবাসা নাড়া দিলো।
লিফটে মেয়ের এক বাপের জন্য আনা ফল, মনে পড়লো,
বাবাকে প্রতীক্ষাগারে বসিয়ে, আরেক বাপের কাছে ছুটলো।
প্রণাম করে, “এগুলো রাখো আঙ্কেল এসব মেয়ের গাছের,”
বেচেঁ থাক ভালোবাসা ,নাই বা হলো রক্তের সম্পর্ক কাছের।
দূর থেকে পিছু ফিরে দেখি, দুহাত তুলে এক বাপ আশির্বাদে,
আরেক বাপ ওয়েটিং রুমে, করুন চোখে মেয়ের পথ চেয়ে আছে।

——————————————–
কবিতা – অজ্ঞতার ধূলো।
কলমে – আল হাবীব।
তারিখ – ১৫-১১-২০২২ইং।

সঠিক সাধনে বিদ্যার প্রাঙ্গণে,
জ্ঞান দিশায় যাও গুরুর কাছে।
শাসন বারণে নিরাশ অকারণে,
ভুল বুঝে থেকোনা কভু মিছে।

সুশিক্ষার আলো মনে জ্বালো,
তবেই তোমার রঙিন জীবন।
অজ্ঞতার ধূলো সরিয়ে ফেলো,
সিদ্ধির মাঝে থেকো সারাক্ষণ।

ডিঙালে বাঁধা তুমিই পুরোধা,
সাফল্যে সুখের হবেনা ইতি।
মান মর্যাদা থাকবেই সর্বদা,
সকলের প্রণয় তোমার প্রতি।

রেখোনা ভয় কোনো সংশয়,
নির্ভয়ে জীবন সাজাও ভবে।
সুশিক্ষাতে জয় হবেই নিশ্চয়,
স্বাগত জানাবে তোমায় সবে।

——————————————–

শিরোনাম–বাঘের সমস্যা

কলমে–সেখ মনিরুদ্দিন

তারিখ–১৫/১১/২০২২

বুড়ো বাঘটা শীতের সময়
পোহাচ্ছিলো রোদ,
দৌড়াতে সে পারতো না তার
পায়ে ছিলো গোদ।

দুষ্টু বানর মজা করে
টানলো বাঘের লেজ,
বাঘ কিন্তু পারলো না তো
দেখাতে তার তেজ।

সেখান থেকে বানর গেলো
কাছাকাছি থানায়,
বাঘ ভাবছে কেমন করে
বানর পড়বে খানায়।

বানর দেখে চেয়ারেতে
দারোগাবাবু নেই,
চশমা, টুপি, খবরের কাগজ
পড়ে আছে সেই।

চশমা এবং টুপি পরে
বানর চেয়ারে বসে,
খবরের কাগজে মুখ ঢেকে
মজার প্যাঁচটা কষে।

বাঘ থানায় গেলে, বানর
ঘটনাখানা বলে,
এতো জলদি ছেপেছে কাগজে?
বাঘ যে ভেবেই চলে।

——————————————–

★ অবিশ্বাস্য একটা কষ্ট আছে ★

মোঃ রফিকুল ইসলাম রাজু

অবিশ্বাস্য একটা কষ্ট আছে,
যা পৃথিবী মেনে নিতে পারবে না।
শুনলে লোকেরা অবাক চোখে হাসবে,
অসম্ভব,এ হতে পারে না!
অথচ পরম বাস্তবতার এক অদ্ভুত সত্য দলিল,
অভিশাপের বাণীতে বিবর্ণ অক্ষর।
আমাকে রাত জাগায় স্বপ্নদের অগোচরে,
হয়তো ঘুমের ঘোরে আমি চলে যাবো ওখানে।
অসমাপ্ত গল্পটার বৃত্ত এলোমেলো হবে,
এধারওধারে শুন্যতা।
অথচ;
আমার বিদায় রঙ্গমঞ্চে মিথ্যে নাটকীয়তা।
কিন্তু কেন এই কষ্ট ?
এর কোন উত্তর মেলে না!
আমিও কষ্টের সাথে মিতালী করেই মৃত্যুর পথে হাঁটি।
আমার ভালোবাসাগুলো কেন জানি,
ওদের চোখে রঙ বদলায়।
প্রয়োজন ফুরালে সব ভুলে যায় সবাই,
ওদের রঙিন চোখে আমার বিভৎস ছবি।
রক্তের কণাগুলো আমাকে অস্বীকার করে,
গর্ভধারিণী ভুলে যায় মাতৃত্ব।
আমার জন্মের সময় মহাদূর্ভীক্ষ,
আমি না-কি অভিশাপ!
থালাভর্তি ভাতের পাতে বঞ্চনার জল,
ঝুল হয় কাকের মলে অখাদ্য।
আমি গোগ্রাসে গিলে পেটের ক্ষিদে মিটাই,
ওরা হাসে তক্ষকের বিষাক্ত দাঁতে।
অভিশাপের সেই কষ্ট বুকের ভেতর পুষে,
আমি পথ খুঁজি।
প্রতিদিন সুখ এসে কড়া নাড়ে আমার আঙিনায়,
আমি দূরন্ত পথিক হই।
তবুও তারা কাটা বিছিয়ে রুখে দিতে চায় পথ,
পৃথিবী কি করে নেবে তারা কতোটা অসৎ।
সেই কষ্ট বুকে ধারণ করে,
আমি অপেক্ষায় থাকি দিনশেষে;
আমার ঈমাণী মৃত্যুর প্রার্থনায়।

জামালপুর সদর জামালপুর।

——————————————–

শিরোনাম :- অঙ্গাত
কলমে :- নির্মল বরাট
তাং :- 14/11/2022

তোমার আসার কথা ছিল এখানে,–
কিন্তু আসো নি?
কারনের পাতাতে শুধু একটাই শব্দ ‘ অঙ্গাত ‘।
রাজপথে এখন অনেক ভীড়,–
কবে কখন কাকে কে পিষে দিয়ে গেছে ?
তদন্তের পাতাতে সেই একটাই শব্দ ‘ অঙ্গাত ‘।
ডিগ্রিধারী বেকার যুবকটা দাঁড়িয়ে আছে ভিক্ষার থলি হাতে সম্মুখে,–
দেখছে না কেউ,–
অন্তত যাদের দেখার দরকার বা ক্ষমতা আছে ;–
আমিও দেখছি কিন্তু ক্ষমতার অভাবে শুধুই দীর্ঘ ভাষণ,–
পরিনতির পাতাতে অবাক বিস্ময়ের বিস্তারে বিরাজিত সেই ‘ অঙ্গাত ‘।
হয়তো এমনি কোন না বোঝার ভানে আয়োজিত করা ‘ অঙ্গাতে’র কারনে —
মিছিলে আত্মহত্যা, প্রতিবাদী অনলে সামাজিক অধঃপতন আর চারা শেকড়ে —
যাবৎ জীবেৎ সুখং জীবেৎ, ঋণং কৃত্বা ঘৃতং পিবেৎ।

——————————————–
শিরোনামঃ হৈ হৈ বাঁচো
কলমেঃ শর্মিলা রায়
তারিখঃ ১৪/১১/২০২২

নিঃসীম শূন্যতা রেখে শেষ
হয়ে গেলো যে গল্প, কেন
ধরে রাখো তার রেশ?
কেন দীঘল আঁখি বারবার
অশ্রুসিক্ত হয় স্মৃতির অস্তরাগে?
বরং মনের আকাশ রাঙিয়ে
তোলো নব অরুণোদয়ের রঙে।
উড়ুক সেখানে লাল- নীল হরেক
রঙা আদুরে সুখ পাখি।
খুলে দাও মনের বাতায়ন।
বসন্ত আসুক নিঃশব্দ পদচারণায়
চুপিচুপি। জ্বালুক ফাগুন- রঙা
আগুনে ফুলঝুরি মন- উঠোনের
কোণায় কোণায়। জীবনের সাদা-
কালো ক্যানভাসে আবার ফুটুক
রঙিন অনুরাগের ফুল।
হা হুতাশ নয়,হৈ হৈ বাঁচো-
কোলাহলে, কলরবে।
যা পাওনি তা পাওয়ার ছিলো
না কোনওদিন। যা যাওয়ার ছিলো,
গেছে চলে। মেলাতে যেওনা
জীবনের জটিল অঙ্ক, কঠিন ধাঁধা।
কেবল আজটুকুই সত্যি।
তাকে সাজিয়ে তোলো মনের
সবটুকু ঐশ্বর্য দিয়ে। তারপর?
জীবনের পালে লাগুক হাওয়া।
ভেসে যাক তরী। যেদিকে যেতে
চায় যাক্ না।

Powered by themekiller.com