কবি হতে পারি না
সারমিন জাহান মিতু
৭-১১-২০২২
প্রাচুর্য্যে বিলাসিতা নেই – অর্থের দম্ভও নেই
তবু কেনো বিবেক কাঁদে আমার,
ক্ষয়ে ক্ষয়ে মেঘমালা হৃদয় তটে
সিক্ত জলে কেঁদে যায়।
গতকাল লাঠি ভর দেয়া বৃদ্ধের ক্ষুধার্ত চিৎকার কেন আমাকে কাঁদায়,
মধ্য রাতে মদ্যপানে মাতাল যুবক যখন ষোড়শী বউয়ের টুটি চেপে – হত্যা করে স্বপ্ন দেখা ভোর – অথবা পেনশনের বই হাতে যখন দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ায় অসহায় চোখ।
তুমি কেনো শুনতে পাও না – নীরব দর্শক সারিতে তো তোমার
উপস্থিতি সবার আগে,
করুণা কাকে বলে জানো কি তুমি – অথবা প্রতিবাদের ভাষা।
যে শিশুটি মাতৃহারা -অথবা যে মায়ের জঠর হতে খসে পড়ে অঙ্কুর,
দেখতে পাও কি কষ্ট কাকে বলে।
মিথ্যে প্রতিশ্রুতির মতো যখন বলো – আমি মানুষের কথা বলি,
বোবা পৃষ্ঠার কবিতা কেঁদে ওঠে ভৎসনা করে কবিকে।
ভস্ম করা চোখে ওরা বলে ওঠে –
এমন একটা কবিতার ঝড় উঠুক
মানুষের বোবা কান্না গুলো
যেনো ঈশ্বরকে স্তব্ধ করে দিতে পারে,
কিন্তু তেমন কবিতা লেখা কখনো হয়ে ওঠে না আমার –
বিবেকের দংশনে দংশিত হই প্রতিনিয়ত- আমি কবি হতে পারি না।