Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

হঠাৎ আরোগ্য ।।
——————-
# নিখিল বিশ্বাস ।। ০৪.১১.২০২২.

অসুখটা অনেক দিন ভুগিয়েছে আমাকে,
ঠিক মতো খেতে পারতাম না,
সব কিছুতেই অরুচি,
তেঁতো তেঁতো লাগছিলো ,
চোখে অস্পষ্ট দেখতে পেতাম,
জানলা খুলে দাড়ালেই মনে হতো
রাস্তার সব ধুলো ঢুকে গেলো ঘরে,
শ্বাস নিতে কষ্ট হতো খুব ।

রাতে ঘুম তো আসতোই না,
কেবল পায়চারি,
একবার ঘরে ,একবার বাইরে,
বারবার জল খাই, অবিরত সিগারেট,
বই খুলে বসি, পাতা উল্টাই, পাতা ছিঁড়ি,
ইচ্ছে করে চিৎকার করি,
শহরকে ডেকে বলি,
ওঠো, তোমরাও ওঠো,
ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে পৃথিবী।

কিন্তু আজ হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে
আমি তো অবাক !
খুব খিদে পেয়েছে আমার,
মাখন ছাড়াই পাউরুটি মুখে দিয়ে দেখি
দুর্দান্ত স্বাদ,
জানলা খুলতেই চোখে পড়ে
ঝকঝকে রাস্তা, ঝলমলে রোদ,
অসংখ্য মানুষ,
সবাই কেমন হাসিখুশি,
বাতাসে ফুলের সুবাস।

ঠান্ডা হাওয়ায় আমার ঘুম পাচ্ছে খুব,
আমি আজ সারাদিন ঘুমিয়ে কাটাবো।

কি করে এমন হলো !

কাল রাতে আমি নিশ্চিত হয়েছি ,
তুমি আর কোনদিন আমার হবে না।।

© নিখিল বিশ্বাস ।।

——————————————–
।। বিলুপ্তির পথে।।
জহরুল আমিন মোল্লা
০৪-১১-২০২২

প্রকৃতির সৃষ্টিকে
মানুষ করে ধ্বংস
হারিয়ে যাওয়া প্রাণীগুলোর
থাকবে না আর বংশ।

ফিঙে পাখি টুনটুনি আর
বাবুই পাখি নেই,
জলবায়ু শব্দ দূষণ
অহরহ হচ্ছেই।

বনগুলো সব প’ড়ছে কাটা
মৌমাছিরা বাঁধবে কোথায় বাসা!
শিয়াল বেজি ভাম বাঘরোল কাঠবিড়ালি
উদবিড়াল তো যাচ্ছে না আর দেখা।

ভাগাড়ে নেই শকুনগুলো
কাকেরা গ্রাম ছাড়া,
গো- সাপ , সাপেরা সব
খাচ্ছে কেবল তাড়া।

চ্যাঙ, লেঠা, বাঘা -চেঙো ,সমুদ্র কাঁকড়া
গরুচুনো, চেলা, মরাল, ভুদকুড়ি, পাঁকাল
নোনা বাগদা, শিং , ভেটকি
কলপা মাছের আকাল।

ঠিকানা-
কোলিয়া
নবগ্ৰাম- সিকিপুর
উলুবেড়িয়া
হাওড়া
পশ্চিমবঙ্গ
ভারত

——————————————–

অশরীরী
ওয়াহেদ সরকার

সেই কন্ঠের মানুষটি নিকটে এখন
অবয়বে ধূলো মেখে উড়োয় জড়োয়া বসন।
নিপুণ কৌশলে সাজানো অধরে ভূতেদের হাসি
কালোচুলে ঝুল ঝুলে কি কারনে অতি।

চিত্র এঁকেছে আলপনা শিল্পীর চোখ খুলে দেখি
কাকের আর্তচিৎকার শুনছি এ কোন মেঘবতী।
ভালোবাসার কাকতাড়ুয়া হস্তে গড়ে উঠে
চুম্বনে ভরিয়ে তোলে মৃত শিল্প রূপে।

স্নায়ুর উষ্ণতার আঘাতে সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকে
শরীরে আগুন পোড়ায় অশরীরী আত্মা ছুঁয়ে।

তারিখ -০৩/১১/২০২২খৃঃ।
ফার্মগেট, ঢাকা মহানগর।

——————————————–
অভিমানীর যায় বেলা

শক্তি রঞ্জিত বৈদ্য

নিজের অভিমানে
কাটিয়েছো চিরকাল তুমি
নিজেকে নিজে বারেবারে
যাচ্ছো করে অন্তভূমি।

অভিমানীর যায় বেলা
ফিরে নাহ্ চায় সময়
বৈঠা হারিয়ে নৌকার মাঝি
অজানা থেকে অবিদিতে যায় হারিয়ে
অতলে দেখে নাও আজি।

——————————————–
আমি কবি খেতাবের তরে আসিনি
✑ মিটু সর্দার

শরতের পড়ন্ত বিকেলে আকাশ যখন নীলাম্বরীতে সেজেগুজে প্রস্তুতি নিচ্ছিলো পারাপারের
তখন শুনেছিলো আমার এক কবিতা প্রেমী —
আর কবিতা লিখা হবেনা, শব্দেরা ধরা দিবেনা
তক্তপোষে শুয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে কবিতার কবি।
শত ক্রোশ মাড়িয়ে, বাধাবিঘ্নতা তাড়িয়ে
শরতের স্নিগ্ধ ভোরে সবুজ দূর্বাঘাসের উপর দিয়ে পাতিহাঁসের মতো হেঁটে — উপস্থিত হয় কবি-র ভাঙা খুপরিতে।
আমি ভেবেছিলাম আমার কবিতা কেউ পড়ে না
পান্ডুলিপি ছিঁড়ে ছাঁইছুঁই ভেবে উড়িয়ে দেয়
ভেবেছিলাম এই সমাজ তা গ্রহণ করবেনা —
হয়তো প্রাণবন্ত কবিতা হয়না, মানুষের কথা কইনা
কিন্তু না, আমার কবিতা প্রেমীও আছে —
আনাচে-কানাচে, চক্ষুড়ালে।
আমি কবি খেতাবের তরে আসিনি –
ছেঁড়া পাল জোড়া লাগিয়ে ভাঙা তরী ভাসাতে এসেছি
নিপীড়ন-নির্যাতন-গণহত্যা বন্ধ করতে এসেছি
আমি এসেছি স্বৈরশাসকের মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে
মুক্তির স্বাদ দিতে পৃথিবীর মজলুমকে।
তোমার আমার বসবাস একই শহরে —
অথচ তুমি আমাকে দ্যাখতে আসোনি, হয়তো আমার কবিতা ভালো লাগেনি তোমার কাছে
হয়তো মৃত প্রেম জাগাতে পারেনি তব হৃদয়ের ভাঁজে
নাসির নগর থেকে দ্যাখতে আসে স্নিগ্ধ ভোরে।

০৪/১১/২০২২ইং, সৌদি আরব

——————————————–

অদৃশ্যের অপারগতা
মোঃবখতিয়ার হোসেন মন্ডল।
০৫/১১/২০২২ ইং।

তোমার নিখুঁত অভিনয়ে এক মিথ্যা সম্পর্কের নাম ছিলো ভালোবাসা।
যা আমি কোনদিন কখনো বুঝতে পারিনি,
বুঝিনি তুমি আকাশের চাঁদ,যাকে আমি ছুঁতে পারবো না
কোনদিন।

মান-অভিমানে তুমি দূরে যেতে!আমি তোমার মান-অভিমান ভাঙানোর উপায় খুঁজতাম।
তবে তোমার নিখুঁত অভিনয়টা ঠিক আমি বুঝতে পারতাম না,তাইতো আমি তোমার মান ভাঙানোর উপায় খুঁজতাম।

ভালোবাসায় কি শুধু অভিনয় থাকে ?
ভালোবাসায় অভিনয় থাকেনা প্রিয়া
থাকে অভিমান ,রাগ অনুরাগ খুনসুটি,
অভিমানে মান ভাঙালে সেই ভালোবাসা আরো গভীর হয়,
অভিনয়ে ভালোবাসা বাড়েনা বরং অভিনয়ের ভালোবাসা হারিয়ে যায় অনেক দূরে।

আমি কখনো অভিমান করলে তুমি মান ভাঙাতে ছুটে আসোনি, বরং তুমি দূরত্ব বাড়িয়ে আমায় জানান দিয়েছো
তুমি আমাকে ভালোবাসনি, তখনও আমি সত্যি বুঝে
উঠতে পারিনি তোমার নিখুঁত অভিনয়টা।

অতঃপর যখন আমি বুঝলাম,তারপর থেকে তোমাকে
আর খুঁজিনি, শূন্য অনুভূতিতে দুঃখগুলো উড়িয়েছি।
সেদিন আমি তোমাকে নয় গো প্রিয়া আমার আমি কে হারিয়েছি।

আমি অনেক নির্ঘুমে কাটিয়েছি রাত চোখের জলে,
তোমায় ভুলতে গিয়েও বারংবার মনে করেছি আমি,
ছলছল চোখে নোনা জল এঁকে,তোমার চলে যাওয়ার দৃশ্য দেখে।

এখন আমি নিজেকে পরিবর্তন করতে শিখে নিয়েছি,
সেই সাথে হারিয়েছি অনেক কিছু।
তুমি বদলেছো অভিনয় করে, অন্যের হাত ধরে,
আর আমি মেনে নিয়েছি ভাগ্যের লিখন,অনেক ব্যথা সহ্য করে।

Powered by themekiller.com