কবিতা- ‘কথা’
কবি- নাছিমা মিশু
তারিখ -১১/১০/২০২২
*********************
কথায় কথা বাড়ে
ঝামেলা আর বিপত্তির উদয় ঘটে।
কথারা জমে স্তূপ
অন্ত হিয়া মাঝে।
বলি বলবো হয় না বলা
কথাদের সাথে কথা।
সঙ্গ সঙ্গী বড়োই আপন
কথাদের খোঁজ পেলে।
এ-কান ও-কান দু’কান ঘুরে
ফিরে আসা হয় আপন সীমার মাঝে।
একা নয়,নয় রে একা ফিরা
সঙ্গে আসে অতিকথন আর দুশ্চিন্তা
তারও বেশি অপবাদ, অপমান গায়ে মেখে।
——————————————–
“শিউলি শেফালীর চুম্বকত্ব”
–রেশমা বেগম
১০.১০.২০২২ ইং
শরৎ প্রাতে শিউলি শেফালির
নন্দনতত্ত্ব হৃদয় হরা,
আপন ললিতকলা কবির কবিত্ব
চাষে নিপুণ কড়া।
জাফরান সাদার মুগ্ধকরী মিশ্রণ
বিহ্বলতায় উড়ায় মনোপক্ষী,
নরম আভায় ভৈরবী মূর্ছনায়
সরোদ সাধে স্বরসন্ধি।
শেফালী তলায় ডালা ভর্তি
ফুলের মাধুরী চুম্বকনীয়,
হৃদয় সুরঞ্জনা বাজায় বীণা
আকুলি পাতালি অতুলনীয়।
শুভ্রতার প্রতীক শেফালির মধুগন্ধী
ব্যাকুলতায় ভরাডুবি কাব্যপংক্তি,
নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসে আনে প্রশান্তি
মল্লিকাবন হারিয়ে দীপ্তি।
মনময়ূরী কোয়েলিয়ার ডাকে সম্বিৎ
ফিরে আত্ম নিবাসে,
পিউ কাহা পাপিয়া কি কথা
বলে শেফালির ডালে বসে।
শিউলি শেফালীর সৌন্দর্য্য মাদকতা
হৃদয় কুসুম-বাগে চুম্বকত্বে,
আশা জাগানিয়া সৌরভে ভাসে
দিবাকরের নিলাভ সৌরতত্ত্বে।
রচনাকাল: ২৬.৯.২০২১ ইং
ঢাকা, বাংলাদেশ।
——————————————–
যাদুর ছোঁয়ায়
দিলরুবা হক শিল্পী
১০\১০\২২
আমার অসীম যাদুর ছোঁয়ায় ,
রেখেছি তোমায় মুগ্ধ করে ;
ঐ বদনের চন্দ্র রবি
দেখবো আমি দু’চোখ ভরে ।
তোমার মুক্ত চলার ধারা,
এই অবনীর কানায় কানায়;
সুখসাগরে ভাসাবো তরী
সোনার কাঠি রুপোর কাঠির ছোঁয়ায় ।
তোমার আলতো পরশ পেতে,
মন যে আমার দিনে রাতে;
অবিদিত দিনের সুখোস্মৃতি ,
মগ্ন আমার আঁখি পাতে ।
তোমার মুক্ত হাসির ঝর্নার ঝলক,
চমক লাগে হৃদয় পটে ।
আমার ধুসর মরুর প্রান্তর,
তোমার উষ্ণ হাওয়ায় বেজায় বটে ।
নবজীবনের নাগরদোলায় ,
জ্বলবে এবার নবীন প্রদীপ;
প্রখর উত্তপ্ত দিবস রজনী ,
হোক না আরো সতেজসজীব ।
——————————————-
গন্তব্য ।।
——————–
# নিখিল বিশ্বাস ।।
গভীর রাত,
রাস্তায় সারি সারি মালবাহী ট্রাক,
ওদের গন্তব্য আছে ।
আমিও চলেছি একা, নিরুদ্দেশে ।
যদি কোন দিন কোথাও
তোমার সঙ্গে দেখা হয়ে যায়,
আমার ওটাই গন্তব্য।।
©️ নিখিল বিশ্বাস ।।
——————————————–
স্বপ্নের নীল দরিয়ায়
রাজন দেবনাথ ______✍️
তারিখ : ১০/১০/২২ইং
__________________________________________✍️
কিছু স্বপ্ন বেঁচে থাকুক অনন্তকাল
ভেসে ভেসে স্বপ্নের নীল দরিয়ায়!
নির্ঘুম প্রহর গুনে গুনে উথাল-পাথাল
ঢেউয়ে ঢেউয়ে মিশে মিশে নিত্য করুক
খেলা আপন মনেতে মন রাঙিয়ে সকাল
দুপুর সন্ধ্যা বেলা। উষ্ণ মরুর বুক পাঁজরে
তীব্র গরমে তৃষ্ণার্ত পথিকের মতো ক্লান্ততার
অনুভব নিয়ে ভীড় জমাক নীল দরিয়ার
পাড়ে তবুও স্পর্শ না করে দৃঢ় সংকল্প
সঞ্চারিত হউক মনের মণিকোঠায়
শুধু না পাওয়ার আশা আকাঙ্খায়,
নয়তো স্বপ্ন বিহীন জীবন শুষ্ক কাষ্ঠের
মতো নিষ্প্রাণ হয়ে যাবে নিস্তব্ধ নীরবতায়।
দিনের শেষে গড়িয়ে সন্ধ্যা তন্দ্রাচ্ছন্নময়
হয়ে স্বপ্ন গুলো নিজেকে মুড়িয়ে নিতে
চাইবে স্নিগ্ধ চাঁদের কোমল জ্যোৎস্নায়!
তখনও কালবৈশাখী গগনের বুকে বিজলি
চমকানোর মতো জেগে উঠুক ঘুমন্ত
স্বপ্ন গুলো চমকে চমকে রাঙা ঠোঁটের
কোণে রবির কিরণ মেখে ঝলমলে, কেউ
দেখুক আর না দেখুক থাকুক ভেসে ভেসে
স্বপ্নবাজ মনের স্বপ্নের ঐ নীল দরিয়ায়।
——————————————–
বিবর্তন
নির্মল দাশ ঝুঁটন
লিমেরিক ছন্দে –
তারিখ -১০/১০/২০২২ইং
প্রণাম গুরু করজোড়ে সামনে থেকে বলে;
শুকনা ঢেঁকুর শুরু করে গুরু চলে গেলে!
যুগের বাতাস ভীষণ ভারী
গুরু এখন বন বিহারি
পিছন হতে কে কারোর গুরু; নাচে ঠ্যাং তুলে!
লোক লজ্জার ভয়ও আছে কইতে মরি লাজে;
বলদ রেখে ছাগল নিয়ে লাগায় চাষের কাজে!
দাদা বলে তাইতো চলে
গাধার খাটুনি ছাগল গলে
বলদা আমি সবার আগে ঠাকুর মশাই সাজে!
উচিৎ বলে লোকের ভিড়ে চোখের জলে ভিজে;
পর্দা তুলে, গন্ধে ঢলে, আঁধারে ভোজ খুঁজে।
রাজার হুকুম মানতে হবে
নতুবা গর্দানে সব যাবে
হারামবাবু বড়ো পাঁজি ভোটে ভদ্র সাজে!