Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

শিরোনাম : গার্মেনটসের মেয়ে
কলমে : মোঃ নজরুলইসলাম খান
তারিখ : ০৩/০৯/২০২২
(১)
আমি একজন সাধারণ গার্মেনটসের মেয়ে,
রিপুর তাড়নায় প্রতারক স্বামী করেছে অন্যত্র বিয়ে ।
একটা ছেলে অন্যটা মেয়ে বাচ্চাদের নেয় না কোনো খোঁজ,
সদ্য বাসরে তার ভালো ভালো অন্ন ভুঁড়ি ভোজ হয় রোজ।

অর্থাভাবে কিনতে পারিনা দামী কোনো খাবার ,
বাজারে গিয়ে একই জিনিসের দাম জিজ্ঞেস করি বারবার ।
প্রভাতের সময় থেকে জেগে শুরু হয়দিন,
বাড়ির কেয়ারটেকার হাঁক ছেড়ে ওঠে টয়লেটের সিরিয়াল নিন।
টিউবওয়েল দিয়ে পানি উঠানো কষ্ট,
অফিসের সময় আসছে তেড়ে করিনা বেলা নষ্ট ।
রান্না কর্মে চুলার জন্য ধরতে হবে লাইন,
হেথায় আছে বাড়িওলার অভিনব আইন।

ভাতের সাথে আলু ভর্তা বানাই রোজ,
অভাগীর কখনও ভালো খাবারের জোটে না কোনো খোঁজ ।
ছেলে মেয়েকে খাইয়ে খাবার দুপুরের জন্য রাখি,
অভাবের তাড়নায় অল্প কিছু খেয়ে আঁচল দিয়ে মুছি আঁখি।

কাজে যেতে দেরী না করে দ্রুত বের হয়ে যাই,
হেঁটে যেতে হবে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে অবসরের সময় নাই।
দেরি হইলে অফিসের সুপারভাইজার দিবে বকা,
তথায় ভীষণ অসহায় জীবন যুদ্ধে আমি একা।

হাজিরা দিতে কার্ড পানঞ্জের নিয়ম আছে অফিসিয়াল,
হেথায় মেলে একইক্ষণে একাধিক সিরিয়াল । (চলবে )

——————————————–

বিদ্রোহিনী_________

আমি কখনো কোমল,, কখনো কঠিন!!
কখনো গড়ল ,, কখনো অমৃত
কখনো আলো ,,কখনো আঁধারি
কখনো নদী ,,কখনো পর্বত।।

আমি কখনো সবুজ ,,কখনো বিলীন প্রকৃতি
আমি মরুভূমির ওই মরীচিকা হতে পারি
হতে পারি কখনো বা প্রলয় ঝংকার

আমি তরঙ্গের বেগে ছুটিতে পারি,
কখনো বা একাকী নিস্তব্ধ হইয়া বসিয়া থাকি
আমি ত্যাগি ,, আবার তেজস্বিনীও কখনো,,
আমি পুব আকাশের উদিত সূর্যের
আলোকিত এক অগ্নিপিণ্ড।।

কখনোবা আমাবশ্যার রাতের ,,আঁধার আকাশের ঘনঘটা মেঘের ,,চন্দ্র গ্রহনে আমন্ত্রিত রাহুতে পরিপূর্ণ।।
আমি জলের ন্যায় তরল হতে পারি
আবার পাষাণে সুবিন্যাস হৃদয় পিণ্ড।।

আমি চির স্নিগ্ধ যেমন হতে পারি…. তেমনি
দাবানলে পরিস্ফুটন্ত অগ্নিকাণ্ড!!
আমি ভালোবাসারে বাসিতে পারি ভালো
ঘৃনারে ছুঁড়ে ফেলি লাথি মেরে,, করি বিকীর্ণ।।

আমি নারী বলিয়া নই অবহেলার পাত্রী …..!!
দেবী দুর্গা ,, দশভুজার আবির্ভূত ওই নারী
ত্রিভুবনের ত্রিলোকও নন্দিনী রমণী
হইয়াছিলেন মহিষাসুর মর্দিনী।।

আমি মিথ্যা রে করি নাকো আশ্রয়
সত্যেরে দিতে চাই সম্মান।
আমি ললাটে রক্ত চন্দন প্রলেপিত করিয়া
নিজেরে করিয়াছি বিদ্রোহী,

আমাকে সহ্য করার মতো সহসা নেই কোনো
আমি যে স্পষ্ট বক্তব্যে বিস্ফোরণী

এই স্বার্থে পরায়ণ সমাজ মোরে
বিদ্রোহী করে ফেলেছে কখন যেন
ন্যায় যে হলোনা ….স্পর্শ শরীরে!!
তাই আমি বিদ্রোহিনী।।

আমি তাই আজ প্রতিবাদের ওঙ্কারে
নিজেরে করিয়াছি বিদ্রোহিনী।।

শুভ _____সন্ধ্যা,
কলমে _____পম্পা
তারিখ____৭/০৯/২০২২

——————————————–

একটি পবিত্র পথের খোঁজে
——————-
রমেন মজুমদার, 06/09/22

দিনগুলি সব হেঁটে হেঁটে যায় কাল গর্ভে!
পিছনে থেকে যায় ব্যথারা কেবল,
অশ্রুহীন বেদনার অমঙ্গল ধ্বনি
বাজতে থাকে নিরন্তর বুকের ভিতর ।

সুনির্মল আকাশের নিচে তৃপ্তির ছায়া
মেঘেরা করে যায় দান পথিকের তরে;
আমার বেদনাতুর মন কেন যে গুমরে ওঠে
জ্ঞানকে ডিঙিয়ে সে অশ্রু ফেলায়।

আমি হেঁটে যাই শীতল পাহাড়ের গা ঘেঁষে,
শরতের স্নিগ্ধতা পাহাড়ের ছায়ায়
আটকে আসে আমার ক্লান্ত দুটি পা’
তবুও প্রেমকে খুঁজে ফিরি নিটোল চোখে।

সময়টা সুন্দর ছুটে যায় দূরে,বহুদূরে….
দুঃখরা আমায় আটকে দেয় আকাশ তলে;
আমি ক্লান্ত পথিক!
গুমরে গুমরে কান্নার ঢেউ হয়ে মিশে যায় সাগরে।

এখানে আমি সুখী হতে চাই,
প্রেম দিতে চাই মানুষের মধ্যে বিলিয়ে
আগামীর পৃথিবী আমারে একবার স্মরণ করবে,
কবিতার চরণে চরণে ছুঁয়ে যাবে একগুচ্ছ
সকলের ভালোবাসা।

আবার আসব একদিন সোনার পৃথিবীতে
আমি হাঁটব,গান গাইব,
হেঁটে হেঁটে চলে যাব পৃথিবীর চন্দ্রলোকে
আমি শুদ্ধি হয়ে নিব গঙ্গার বুকে
স্নানে স্নানে কাটিয়ে দিব দিনগুলি
একটি পবিত্র পথের খোঁজে।।
*****
সমাপ্ত।

——————————————–

———————- “মানুষ আমি ”
———-
—-সানি রাহমান
—–পিডি –০৭-০৯-২২

কোথায় যেন একটা প্রাচীর
অদৃশ্য তার কঠিন শরীর
সবকিছুতেই আটকে দেবার প্রবণতা !

অঘোষিত যুদ্ধে আমার বিজয়ে সে শঙ্কিত হয়
টপকে গেছি টপকে যাবো —
এপার ওপার সেতু যেমন !
মরণ তো নয় আমার নেতা —
মরণকে তো ধরবো আমি !
জীবনটাকে সহজ ভাবে ভরিয়ে দেবো টাইম বোমে !
বিদ্রোহীদের হাতুড়ি-শাবল
লাঠিয়ালের বাঁশের লাঠি —
কিংবা কোনো অত্যাচারীর —
বুলডোজারে লাগাইনি হাত !
ঘরের মাঝে ঘুমিয়ে থাকা নারী-শিশুর আর্তনাদে —
এই গ্রহটার ঘুম ভাঙ্গাতে চাইনি আমি !

ওদের আমি নতুন নামে ডাকতে গিয়ে পরাস্ত হই !
শুয়োর-শিমার-ইতর কিংবা —
জীব-জানোয়ার যাই বলি- কম বলা হয় !
আনন্দ আর বিজয় আমার–
বুকের ভিতর ডাক দিয়ে যায়–
মানুষ আমি !

প্রাচীর যখন সন্দেহ নাই আমার এ গান —
ওপার থেকেই শুনতে পাবে !
ছেঁড়া জুতোর মাল্যদান-এর —
আবিষ্কারক কোন দেবতা !
সে সব নিয়ে গান বেঁধে আর লাভ কি বলো !
তোমার মাথায় দেখে নিও আমার পদচিহ্ন আঁকা !

——————————————–

প্রিয় কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রতি
সীমা দাশশর্মা সামন্ত
7/9/2022
*********************

তুমি নেই বলে কবি
সুনীলহীন এই আকাশ বড়োই বিবর্ণ |
তুমি নেই বলে কবি
কবিতায় নেই প্রেম ,শুধুই ধিক্কার আর গ্লানি |
তুমি নেই বলে কবি
মা কে না পাঠনো চিঠি ,কত রয়েছে জমা |
তুমি নেই বলে কবি
বাংলা সাহিত্য আজ অভিভাবকহীন |
কেউ কথা রাখেনি ,কেউ কথা রাখেনা –
তুমি কথা রাখো কবি ,
একবার ফিরে এসো
আরণ্যক প্রেমে ভাসিয়ে দাও
বাংলা কাব্যের অঙ্গনকে |

——————————————–
কবিতা -জন্ম দেখে কর্ম নয়,
লেখক – শরীফ খান,
তারিখ -০৭.০৯.২২ ইং,

জ্ঞানে গুণে টইটম্বুর পিতা মাতা হলেও,
সন্তানের মধ্যে জন্মদাতার গুণাবলীর গুণ,
থাকতে বা নাও থাকতে পারে,
আবার জ্ঞানহীন দরিদ্র পরিবারেও,
মেধাবী গর্বিত ভদ্র গুণী সন্তানও মেলে,
সৃষ্টি কর্তার ইচ্ছে যেমন,সন্তান হবে তেমন,
জন্ম দেখে বিচার না করে তার নিজস্ব,
কর্মমের কর্মকান্ড বিচারের পাল্লায় তুলি।

ভদ্রলোকের ঘরেও অভদ্র,দুষ্ট,ধান্ধাবাজ,
নোংরা মানসিকতার চরিত্রহীন,লম্পট,
দেশপ্রেমহীন স্বৈরাচারী হিংসুটে হীনমন্য সন্তানও মেলে,
তেমনি চোরের ঘরেও চরিত্রবান,দেশপ্রেমিক,সাধু,
সন্ন্যাসীও মানবতাবাদী,সন্তান বিধাতা দিতে পারে।

জন্মদাতা সাধারণ না অসাধারণ,
খ্যাতিযুক্ত না খ্যাতিহীন সেটা বিবেচ্চ্য নয়,
দেখবো মোরা ব্যাক্তির ব্যাক্তিগত ব্যাক্তিত্ব,
কর্ম দেখেই ধর্ম বোঝা যায়,আর
ব্যবহারেই প্রকাশিত হয় বংশের পরিচয় ।

জন্ম তোমার যেমনই হোক,কর্ম হোক ভালো,
শিক্ষিত না মুর্খ,সুন্দর না কুশসিত,
সার্টিফিকেট ভারী না হালকা,
শ্রেষ্ঠ না কেষ্ট, শ্রদ্ধার না ঘৃণার,
হা করলেই বোঝা যায় জন্ম তোমার কেমন ,
আর কোথায় তোমার দাড়ি,নিয়ে যাবে কোন বাড়ি।

Powered by themekiller.com