মোহাম্মদ সিন্টুঃ
চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমির আয়োজনে কথা, কবিতা ও গানে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে স্মরণ করা হয়েছে। বিশ্ব কবির ৮১ তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে ৬ আগষ্ট শনিবার বিকেলে সাহিত্য একাডেমি মিলনায়তনে এ আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ও সাহিত্য একাডেমির এডহক কমিটির আহ্বায়ক বশির আহমেদ।
চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমির এডহক কমিটির সদস্য সচিব শাহাদাত হোসেন শান্ত’র সভাপতিত্বে এবং সদস্য আশিক বিন রহিমের প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় কবিগুরুর জীবন ও সাহিত্য কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন, সাহিত্য একাডেমির এডহক কমিটির সদস্য অজয় ভৌমিক, ইকবাল হোসেন পাটোয়ারি, মাহাবুবুর রহমান সেলিম, আবদুল্লাহিল কাফী, জাহাঙ্গীর হোসেন, পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র দাস, দৈনিক প্রভাতী কাগজের প্রকাশক ও সম্পাদক আব্দুল আউয়াল রুবেল, আনন্দ ধ্বনি সংগীত শিক্ষায়তনের অধ্যক্ষ রফিক আহমেদ মিন্টু, বঙ্গবন্ধু লেখক পরিষদের সভাপতি শামীম আহমেদ, নজরুল গবেষণা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গণি।
অনুষ্ঠানের শুরুতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ও সাহিত্য কর্ম তুলে ধরেন চাঁদপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী তাশফিয়া কাফী, কবিতা আবৃত্তি করেন তাফাজ্জল ইসলাম, মুহাম্মদ হানিফ, খোকন মজুমদার।
কথা ও কবিতার ফাঁকে ফাঁকে রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেন আনন্দ ধ্বনি সংগীত শিক্ষায়তনের শিক্ষক মহিমা লোধ, চয়ন সাহা ও শিশুশিল্প সুভদ্রা চক্রবর্তী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও সাহিত্য একাডেমির এডহক কমিটির আহ্বায়ক বশির আহমেদ বলেন, আমরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বিশ্ব কবি, কবি গুরু বলে থাকি। যার কারন, তিনি কবিতার মহাসমুদ্র নিয়ে এসেছেন। তিন অসাধারণ ছোট ছোট গল্প রয়েছে। সাহিত্যের এমন কোন শাখা নেই তিনি বিচরণ করেননি।
তিনি আরো বলেন, বিশ্ব সাহিত্যে এমন একজন সাহিত্যিক পাওয়া দুর্লভ। তিনি বিশ্বের ৩টি দেশের জাতীয় সঙ্গীত লিখেছেন। রবীন্দ্রনাথকে খুঁজে পাওয়া যায় সাহিত্যের সকল ডাল-পালায়। অসংখ্য অমর উপন্যাস তিনি লিখেছিলেন। তাঁর উপন্যাস পড়েও অতৃপ্ত থেকে যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বলতেন, মন খারাপ থাকলে রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ করলে মন ভালো হয়ে যায়। তিনি এত সাহিত্য লিখেছেন তারপরও মনে হয় তিনি অতৃপ্ত থেকেছেন। তিনি লিখে থেমে যাননি। তাই তিনি বিশ্বকবি, তিনি কবিগুরু।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক শওকত আলী, ডা বেনজির আজমেদ, সাংবাদিক শাহরিয়া পলাশ, শাহ আলম খান, লেখক হাছিনুর আকরাম, দীন মোহাম্মদ, মো. মিজানুর রহমান শেখ, সুদীপ কর, নন্দ দুলাল চক্রবর্তী, হাফিজুর রহমান, মজিবুর রহমান, আশ্রাফুল ইসলাম প্রমুখ।