Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

বিষয়ঃকবিতা
তারিখঃ৩০/০৬/২০২২ইং

ভুলে গেলে হয় না
মোঃইব্রাহীম খলিল বাপ্পী

সব সময় সব কিছু ভুলে গেলে হয়না!
কিছু জিনিস খুব যত্ন করে মনের ঘরে রাখা লাগে!
নয়তো ঠিকঠাক দাম টা থাকেনা!

সব সময় সব কিছু ভুলে গেলে হয়না!
কিছু কিছু স্মৃতি মনের কোণে রাখতে হয়,
নয়তো ভালোবাসা বলে কিছু থাকে না!

সব সময় সব কিছু ভুলে গেলে হয়না!
কিছু কিছু ব্যথার স্মৃতি মনে রাখতে হয়,
নয়তো সঠিক পথে এগিয়ে যাওয়া যায়না!

সব কিছু ভুলে গেলে হয়না!
কিছু কিছু বিধিনিষেধ মনের ঘরে রাখতে হয়!
নয়তো কঠিন মূহুর্ত আসতে বাধ্য।

সব কিছু ভুলে গেলে হয়না!
কিছু কিছু সময়ের কথা মনের মধ্যে যতন‌ করে রাখতে হয়
নয়তো সেটা অন্যায় হয়ে যায়।

সব কিছু ভুলে গেলে হয়না!
কিছু কিছু মানুষকে স্মরণ করতে হয়!
নয়তো পৃথিবীতে ভালো মানুষের দাম আর থাকেনা!

সব সময় মিথ্যা বলতে হয়না
কিছু কিছু সময় মিথ্যা জীবনের চরম বিষাদ বয়ে আনে।

সব আপন আপন হয় না!
কিছু কিছু আপন দাফনেও পাশে রয় না,
এসব কিছু ভুলে গেলে হয়না!
সব কিছু ভুলে গেলে মানুষ হওয়া যায় না।

——————————————–
সুপ্ত প্রেম
—————/// নির্মল দাশ ঝুঁটন ///

তুমি নিবিড় নিসৃত হয়ে যদি নিভৃতে শোন
মম হৃদয়ের ক্রন্দন ধ্বনি,
শুনতে পাবে সেথা তোমা নামের সুপ্ত উলুধ্বনি।

মুক্ত বায়ে কান পেতে যদি শোন ওগো ধোনি
শঙ্খ ঘন্টার সুরে বাজে আজো সেই অমৃত বাণী।

চিন চিন সুরের মূর্ছনায় অবিরত অনুরাগে গায়
প্রেম হারিয়ে যায়নি হারিয়েছে শুধু কিছু অভিপ্রায়।

মন মন্দিরের আরাধ্য দেবীর আরাধনায়
প্রভাতে আরতি মম মত্ত নিত্য সন্ধ্যা পূজায়।

যদি শোন তুমি বিজনে নিভৃতে কান পেতে
আজো আত্মার আত্মীয় তুমি আছো মরমেতে।

————————————_——-

ভালো রাখুন, ভালো রাখুন
———————————–
আব্দুল্লাহ আল আহাদ

***এক শিক্ষককে জুতোর মালা পড়ানো – তাও পুলিশের সামনে। আরেক শিক্ষককে স্কুল ক্যাম্পাসে খুন করেছে এক শিক্ষার্থী। এক কিশোর তার আরেক কিশোর বন্ধুকে হত্যা করে হত কিশোরের মোবাইল ছিনিয়ে নিয়েছে এবং খুনি কিশোর সেই মোবাইল বিক্রির টাকা দিয়ে আনন্দ করেছে। ***

এসব খবর শুনলে হার্ট স্ট্রোকের অবস্থা হয়। তাতো আর এতো সহজে হয় না। কিন্তু কোন সুস্থ মানুষের মস্তিষ্ক তাকি বহন করার ক্ষমতা রাখে? কখনোই না। অঘোষিত হাজার হাজার মানসিক রোগীর বাস বর্তমান সভ্যতার শিকার এ সমাজে।

এগুলো কেন? উত্তর একটাই সামাজিক অবক্ষয়। আর এ সামাজিক অবক্ষয়ের কারণে আজ আমরা কেমন আছি, আমাদের নতুন প্রজন্ম কোন গন্তব্যের দিকে এগুচ্ছে, তা সহজেই অনুমেয়। শুধু কি শিক্ষক? ইদানিং বখাটে পুত্রের দৌরাত্ম্যের শিকার জন্মদাতা বাবা মাও। ওসব খবর সমাজের অগোচরে থেকে যায়। কিন্তু সত্য তার চিরন্তনী পথে হেঁটে তাকে আলোতে নিয়ে আসে।

এগুলো কেন? কোথায় হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের সুষ্ঠু সংস্কৃতি? তার পশ্চাতে কারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে? হ্যাঁ, কমবেশি আমরা সবাই জানি।

কিসের হুজরা নিয়ে পড়ে আছি আমরা? কোথায় বুঁদ হয়ে ঝিমুচ্ছি? কিসের ওয়াজ নসিহত, চিল্লানি ফাল্লানি আমরা করি? কিসের সেমা কাওয়ালী করছি? কার জন্য? কিসের লোভে? হাতের কাছে জান্নাত ফেলে কল্পিত কোন দূর অজানায় হাতরিয়ে মরছি?

আহলকেও নরকের আগুন থেকে বাঁচানোর দায়িত্ব আমাদের। এটা ধর্মীয় দায়িত্ব। সুফিজমে এ দায়িত্ব পালন অনস্বীকার্য। আমাদের প্রতিটি ভবিষ্যত প্রজন্ম আমাদের আহল নয় কি? তাদেরকে নষ্টামির ভয়াল স্রোতে ভাসিয়ে দিয়ে কোন স্রষ্টাকে খুশি করতে আমাদের মিথ্যে উন্মাদনা? না, এগুলো নিষ্ফল, পণ্ডশ্রম।

যেখানে সামাজিক অবক্ষয়, সেখানে সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সবাইকে একত্রিত হয়ে সামাজিক অবক্ষয় প্রতিরোধ করতে হবে। যার যার অবস্থান থেকে এ বিষয়ে শিক্ষনীয় ভুমিকা পালন করুন।

নিজে ভালো থাকুন, অন্যকে ভালো রাখুন। দেশ জাতি তথা বিশ্বমানবতার কল্যাণে এগিয়ে আসুন। তানাহলে আপনি বানিজ্যিক কেউ ছাড়া আর কেউ কিচ্ছু নন।

——————————————–

প্রতীক্ষা

“এই বিশ্বাসটাই যথেষ্ট হবে
বেঁচে থাকার জন্য, যে
“তুমি” আসবে।
আর তুমি যখন’ ই আসবে
আমাকে প্রতীক্ষা’রত- ই পাবে
কারন; আমার জীবন
বাঁধা পড়ে গেছে
সংসারের গতানুগতিকতায় ;
আর আমার মন!?
“তোমার প্রতীক্ষায়” ।

হারাধন দাস
৩০.০৬.২২.

——————————————–

হারানের ঘুম

দীপঙ্কর দত্ত

কদিন ধরে রোদের কি ঝাঁঝ,
হারানের কপালে পড়েছে ভাঁজ,
মেঘের নেইকো দেখা আকাশে,
যেটুকু আসে তাও তাড়িয়ে নিয়ে যায় বাতাসে।
নেই একফোঁটা জল,
কেমনে ফলাবে ফসল?
জমি সব ফেটেফুটে ফালা ফালা,
চিন্তায় চিন্তায় হারান আলা।
ধান রুইবার সময় হচ্ছে পার,
এখন তো একটা বৃষ্টি দরকার,
ঘুম আসে না রাতে,
ছটফট করে বিছানাতে।
হঠাৎই এক সাঁঝে,
গুটিগুটি পায়ে
আকাশ কালো করে,
হাজির হল মেঘের দল,
তাইনা দেখে আনন্দেতে
হারানের চোখে এল
কয়েকফোঁটা জল।
রাতে শুরু হল বর্ষণ,
তার সাথে পাল্লা দিয়ে হারানের নাসিকা গর্জন।
অনেকদিন পর হারান আজ ঘুমুচ্ছে,
কাল সকালেই যে যেতে হবে মাঠে,
বলদ, লাঙল সাথে।

৩০/৬/২০২২
কলকাতা।

——————————————–

“”আশার স্বপন””
কৃষ্ণকলি।।
ওহে ভরাযৌবনবতী তপস্বিনী!
তোমার তীরদেশে ঐযে সবুজ বনানী,,,
আমাদের একমাত্র মৃত্যুসঞ্জীবনী।
তুমি বয়ে চল নিরবধি,
দিগন্তে মিলায় নীলাকাশ শিল্পী আঁকে জলছবি।।
কত নির্মল,কত পবিত্র মোর জন্মভূমি।
মন তবু কাঁদে তোর শ্বাপদসংকুল বিভৎস হানাহানির উন্মত্ততা দর্শনে,,
মানুষ মানুষেরে নীলবিষে করিছে বিষাক্ত-বিষধর সাপের ছোবলে।।
বর্বরতা আজিকে মানুষকে করিছে অন্ধ,
মানুষ নামের প্রানীদের কাছে সব দোর কেন বন্ধ?
অকাল মৃত্যু, নরকের বেদনা,পিতার কাঁধে সন্তানের শবের ভয়াবহতা,,,
সবকিছু দেখি,মাথা খুঁড়ে মরি নাই কোন মনে সান্ত্বনা।।
জ্যোতির্ময় সপ্তর্ষিমণ্ডলের আলোক রেনু,
মানবের তরে বাজাবে বেনু,
দেখা দাও ওহে হ্যামিলিওনের যাদুকর —
বাঁচাও মানবতা ঘোচাও জন্মভূমির আঁধার।।।

Powered by themekiller.com