মোহাম্মদ সিন্টুঃ
পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৫জুন) সকাল ১০টায় চাঁদপুর স্টেডিয়াম মাঠে জেলা প্রশাসআয়োজনে সভার আয়োজন করা হয়।
এদিকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষ্যে চাঁদপুরে ছিল উৎসবের আমেজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন সরাসরি দেখতে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে রাজনৈতিক, প্রশাসনিক, সুধী সমাজ, মুক্তিযোদ্ধা, ব্যাবসায়ি নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার উৎসুক জনতা উপস্থিত হন।
জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে, দৈনিক সুদীপ্ত চাঁদপুর পত্রিকার সম্পাদক এম আর ইসলাম বাবুর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি, এমপি।
তিনি বলেন,আলোচনার শুরুতেই স্বরণ কালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান এবং ৭৫ এর ১৫ই আগস্ট ঘাতকের নির্মম গুলিতে নিহত বংগমাতা বেগম ফজিলতেন্নেছা মজিব সহ এই পরিবারের সকল শহীদ সদস্যকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। আরও স্মরণ করেন জাতীয় চার নেতার সাথে লক্ষ্য লক্ষ্য নির্যাতিত নাড়ীকে।
বঙ্গবন্ধু দিয়েছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশ আর আজকে তার কন্যা দিলেন পদ্মা সেতু। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়েছিলেন মুক্তির পথ এবং সপ্ন দেখিয়ে গিয়েছিলেন আর সেই সপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, গত ৪১ বছর ধরে ক্রমাগত তিনি সংগ্রাম করেই যাচ্ছেন শেখ হাসিনা এবং সাথে বাংলাদেশ কে নতুন করে সপ্ন দেখাচ্ছেন আর সমস্ত সপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য যতকিছু প্রয়োজন সমস্ত কিছু করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা।
তিনি আরো বলেন ,আজকের বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ, আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। আর এই বাংলাদেশ কে এই ডিজিটাল বাংলাদেশ কে উদ্ভাবনী বাংলাদেশে রুপান্তর করার জন্য নিরলস কাজ করে শেখ হাসিনা।
আরও বলেন বঙ্গবন্ধু যেদিন স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে এলেন তার পরের থেকে প্রতিটি দিনই চ্যালেঞ্জ এর মধ্য দিয়ে কেটেছে। সেই সাথে শেখ হাসিনার প্রতিটি দিনই চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাটছে।
সবাই চেয়েছিলেন এই সেতুর নাম শেখ হাসিনা সেতু হোক কিন্তু তিনি এই সেতুর নাম দিলেন পদ্মা সেতু, বাংলাদেশে তার নাম ফুটাতে চাননি তিনি চেয়েছিলেন বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে ফোটাতে যার প্রমাণ দেখলেন আজ পদ্মা সেতুর মাধ্যমে।
এই পদ্মা সেতু আমাদের বিজয়ের প্রতীক, এই পদ্মা সেতু আমাদের অপমানের প্রতিশোধ, আমাদের সাফল্যের প্রতীক আর এই বাংলাদেশের সকল উন্নয়ন শেখ হাসিনার হাত দিয়ে হচ্ছে এবং হতেই থাকবে। আজ শেখ হাসিনা মানেই বাংলাদেশ। আপনারা শেখ হাসিনা কে ভোট দিয়েছিলেন বলেই আজকে এই পদ্মা সেতু সুতরাং আগামী নির্বাচনেও শেখ হাসিনা কে ভোটের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিতে হবে আমরা বাংলাদেশ কে কতটা ভালোবাসি। যারা স্বাধীনতার বিরোধী, গনতন্ত্রের বিরোধী তাদের দিয়ে আমরা যেন আবার আওয়ামীলীগ কে নেতৃত্বে এনে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, প্রধান আলোচক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মোঃ মশিউর রহমান। জেলা পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, জেলা পরিষদ প্রশাসক আলহাজ্ব ওচমান গনি পাটওয়ারী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম দুলাল পাটওয়ারী, চাঁদপুর পৌর মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর এম এ ওয়াদুদ ,জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি যে আর ওয়াদুদ টিপু।
স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী।
সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নাজিম দেওয়ান প্রমুখ।