সুক্ষ্ম জ্ঞানে আত্ম তালাশ
সালামুজ্জামান
সর্বশক্তিমান মহান সৃষ্টিকর্তা যেমন বহুরূপী!
তেমনি তাঁর সৃষ্টি পৃথিবীটাও বহু রূপে রূপান্তরিত।
মানুষের চেহারার সাথে অন্য মানুষের মিল নেই!
লম্বা-বেঁটে চিকন-মোটা কালো-ফর্সা কেমন যেন
অগোছালো অসুন্দর অমিল।
এক-এক দেশের আবহাওয়া-ঋতু এক-এক রকম।
প্রতিটি দেশের জন্য রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন আলাদা ভাষা-বর্ণ-সাংস্কৃতি ধর্ম।
দেশ ভেদে রয়েছে মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ব্যবধান।
মুসলিমদের জন্য যেটা নিষিদ্ধ!অমুসলিমদের জন্য
সেটা দারুণ প্রিয় প্রসিদ্ধ।
এখানে তিন’ শ্রেণীর তিন’ জাতের মানুষের বসবাস,
যেমনঃ ধনী গরীব এবং মধ্যবিত্ত;পাশাপাশি নারী পুরুষ এবং হিজরা।
হাজার হাজার বছর ধরে তিন’ শ্রেণী তিন’ জাতের মিশ্রণে চলছে পৃথিবী।
এই তিন’শ্রেণী তিন’ জাতের মধ্যে আবার লক্ষ করা যায় নানান রকমের ধর্ম-বর্ণ বৈষম্য।
ধনীরা একত্ব আধিপত্য বিস্তারে গরীবের উপর জুলুম- নির্যাতন-বর্বরতা চালিয়ে যাচ্ছে সেই আদিকাল থেকেই,
যার শেষ বলে কোনো অভিধান-সংবিধান কিংবা কোনো বই-পুস্তকে উল্লেখ নাই।
অন্যদিকে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত যারা তাদের অবস্থা
বড়োই মর্মান্তিক বেদনাময়!
গরীবেরা মজদুরি করে জীবন জীবীকা নির্বাহ করলেও মাঝে মধ্যে ধনীক শ্রেণীর অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহসীকতার পরিচয় দেয়।
এজন্যই গরীবের ভাগ্য সবসময়ের জন্য অপরিবর্তিত!
মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ না পারছে উপরে উঠতে না পারছে নিচে নামতে।
ছোটখাটো ব্যবসা কিংবা চাকুরী এই হচ্ছে তাদের অবস্থা।
কিন্তু যখনই ধনী মহাশয়দের অর্থের ক্ষুধা তীব্র আকার ধারণ করে!
তখনই দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধগতি!দিশেহারা গরীব নিম্ন থেকে আরও নিম্নস্তরের কর্ম করে বেঁচে থাকার জন্য জীবনের সাথে যুদ্ধ চালাতে পিছু পা হন না।
আর ঐ মধ্যবিত্ত মান-সম্মান-সমাজের কথা মাথায় রেখে ক্রমশঃ নিঃস্ব হতে থাকে বেকারত্বের অভিশাপ মাথায় নিয়ে।
ফলে,’শীল-পাটায় ঘষাঘষি মরিচের জান শেষ’!
এই হলো বহুরূপের সমন্বয়ে পৃথিবীর চলমান অবস্থা।
আমরা সবাই খুবই ভালো করে জানি এবং আজীবন দেখে আসছি,ধনসম্পদ-অর্থবিত্ত মৃত্যুর সময় কেউই কিছু সাথে করে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে না।
তাহলে কীসের নেশায়? কীসের আশায়?কীসের মোহে অন্ধ হ’য়ে এতোসব কুৎসিত কাজ করছি?কার জন্য?
কাকে তুষ্ট করার মনোবাসনায় এই অপ্রয়োজনীয় আয়োজন?
আমিষ খেয়ে স্থুল ভাবনায় নয়,নিরামিষ খেয়ে সুক্ষ্ম ভাবনায় ভাবতে হবে;
আমি কার?কে আমার?কে শত্রু?কে মিত্র? এবং নশ্বর পৃথিবীর সাথে আমার অবিনশ্বর আত্মার কী সম্পর্ক?
রাত ১টা ৪৯মিনিট ঢাকা,বাংলাদেশ-২৭/০৫/২২
——————————————–
কবিতা = প্রতীক্ষার নিবন্ধন।
✍️এম এ হালিম শিশির
তারিখ = ২৭/০৫/২০২২
ভালোবাসার অন্ধ বিশ্বাসে তোমায় বেসেছি ভালো গোপনে,
মায়ার আকর্ষণে মনের জমিনে তোমারই নাম জপেছি নীরবে।
অন্তরদৃষ্টিতে বিশ্লেষণ করে পেতে করেছি প্রার্থনা
তোমারই গুণগানে সময়ে যে বয়ে গেছে খবর কিছুরই রাখি না,
তবুও আমি পুলকিত হতাম তোমারই মধুর ধ্বনিতে,
আজ তুমি এলে শূন্য জীবনে পূর্ণ করবো বলো তোমায় কি দিয়ে?
ভাগ্যের নীলাকাশে তুমি আজ এলে নিজে হয়েছি যখন নিঃস্ব,
তোমার প্রতীক্ষায় প্রকৃতির সাথে গড়ে নিয়েছি নিবিড় সখ্যতা,
আহার নিদ্রা কোনটাই ছিলো না আপন বন্ধন করলো বর্জন।
তোমার অপেক্ষায় একাকীত্বে – তোমার স্মৃতিচারণেই ছিলো মোর স্পন্দন,
আজকে তোমারই দর্শনে আনন্দিত এই জীবন দুনয়নের ক্রন্দনে।
বিধাতার লিখনে বিশ্বাসের অণুগুলো মহামিলনেই যায় মিলে।
সৃষ্টির করুণায় মাধবী তোমায় পেলাম শূন্য জীবনে অবশেষে,
তোমার অপেক্ষার চৌচির হৃদয়টা মিশিয়ে দিও তোমার অশ্রুজলে।
——————————————–
তাং-২৭-০৫-২২ইং
গ্রামের ধলিয়া খাল
“””””””‘”””””””””””””””””””””
ছোট-খাটো গ্রাম খানি আমার দেখতে খুব সুন্দর
পাখ- পাখালির কলরবমূখর পরিবেশে সিক্ত হয় অন্তর।
জুড়িয়ে যায় মন খানি, চোখ যায় যতোদূর।
পল্লী বধূ কলশী কাঁখে জল ভরে, রাখাল বাঁশি সুমধুর।
গ্রামের নাম ভূইয়া পাড়া খাগড়াছড়ি জেলা
পাহাড় পর্বত ঘুরে এই খালে সাঁতার কেটে,গেলো শৈশব রঙিন বেলা,
ফেনী নদী তার পতিত মুখ, অবিরাম বয়ে চলা..!
তাকে নিয়ে কতরো রকম গুজব ছড়ানো লোক মুখে বলা।।
গ্রাম- গঞ্জ,শহর -পথ, নগর- মাঠ-ক্ষেত জুড়ে ছড়িয়ে শাখা- প্রশাখা,
যেথায় যাই, সেথায় আমি নানান রূপে তার পাই দেখা।
জীবনের রং রূপ উদাসীন আবেগ অনুভূতি এখানে রাখা।
গ্রাম আর গ্রামের মানুষ এই খালের সাথে জড়িয়ে আছে সু- নিবিড় মায়া বন্ধনে মাখা।।
অনেক যায়গা অনেক নাম,আমার গ্রামে, ধলিয়া খাল,
পড়শী দাদু, সকাল বিকাল ফেলে জাল,
নানান জাতের মাছের তাল।
খেলা ছলে ভাসায় কলার ভেলা শিশুর যায় কাল।
নানা রকম বনলতায় ঢাকা দু,পাড়,
এক ধারে সবুজ বন বিরাট পাহাড়,
বর্ষায় ভাঙে দু’ধার এবরো-থেবরো ছারখার,
মৌসুমি আমেজে শামিয়ানা সাজে ফুল ফল পাখি সৌন্দর্যের সমাহার।
নুড়ি পাথর, শামুক ঝিনুক, আরো আছে মিলেমিশে বালি মাটি কাদা,
নীল নুয়ানো আকাশ ছোট্ট কুঁড়েঘর সবুজে প্রকৃতি বাঁধা।
কাশফুল, বাঁশ বাগান,নাম না জানা পাখি, বকের সারি, মেঘের পাল সাদা,
সারস,মাছ রাঙা শিকার করে, চকাচকি হয় কৃষ্ণ রাধা।
কোথাও সোজা কোথা পেঁচালো কোথাও আবার বাঁকা,
মন খারাপ ও যায় চলে, তার পাশে একটু বসলে কতো স্মৃতি রাখা।
মাঝে মাঝে হেঁটে চলি দার ঘেঁষে আনমনে ভাবনা হয় লেখা,
মন ভোলানো প্রাণ জুড়ানো ধলিয়া খাল শিল্পীর তুলিতে আঁকা।।
পড়শী নানি বড়শী হাতে বসে থাকে ঠাঁই
সকাল হতে বিকাল গড়ায় মাছের হদিস না-ই,
তবুও নেই ত্যক্ততা একমনে থাকে নেশায়,
মাছেরা আদার খেয়ে পালায়,
একটা যদি কোনো রকম পায়!
খুশিতে ডগমগ -পান খেয়ে নানু মুখ রাঙায়।
✍️সাবরীনা রহমান
“কল্পনার গল্পকথা মন ভাবনার রূপকার!!
——————————————–
কবিতা- “ভাঙ্গা- গড়া”
রাজকুমার মন্ডল
(২৭/০৫/২০২২)
মেঘ গুড়গুড় মেঘের ঘরে
বৃষ্টি ধরেছে কায়া।
গড়ার খেলা ভাঙার সাথে
কায়ার সঙ্গেই ছায়া…।।
খেয়ার তরী গুনছে ঢেউ
প্রহর কার হয় শেষ!
কোন তরীটি ভিড়বে কোথায়
কে জানে তার দেশ??
বাসা-বাসির বাসর ঘরে
বাঁধনে বাঁধন পরা
আলোর স্রোতে ভাসতে গিয়ে
আঁধারে ঝরে পড়া।
ভাঙ্গছে ঢেউ নদীর তীরে
গড়ছে নতুন করে
ডুবছে রবি এপার সাঁঝে
জাগছে ওপার ভোরে
——————————————–
দৈনিক কবিতা
শিরোনামঃ দিনের শেষে
কলমেঃ প্রদীপ কুমার মাইতি
তারিখঃ ২৭/০৫/২০২২
মনের সুখে ছিলি রে তুই
নিজের গড়া ঘরে,
দিনের শেষে ঝোড়ো বাতাস
কেড়ে নিল তারে।
মেঘের কোলে সন্ধ্যা নামে
সময় বয়ে যায়,
বৃথা রে তোর সব অবদান
বাঁচাই ভীষণ দায়।
আঁধার রাতে খুঁজিবি যখন
আলোর ঠিকানা,
বৃদ্ধাশ্রমের রাস্তা খোলা
এটাই ঠিকানা।
শেষ বয়সে এই তো প্রথা
জুটবে শুধুই কষ্ট,
মূল্যহীনে তকমা সাঁটিয়ে
সবাই হবে রুষ্ট।
সময় এখন কেউ দেয়নি
বলবে অপচয়,
শরীর খারাপ জেনেও তাদের
নিরর্থক মনে হয়।
মৃত্যুতে আর ভয় আসেনা
যন্ত্রণা দংশনে,
তারচেয়ে ও বড় যন্ত্রণা
একাকিত্ব মনে।
জানালা দিয়ে দেখি পাখি
মেলেছে ডানা বেস,
গানের সুরে শোনায় তারা
বেলা যে তোর শেষ।
ফেলে আসা যত স্মৃতি
সব শুকিয়ে গেছে,
অতিত স্মৃতি ভাসে যখন
জল ভরে যায় চোখে।
খুঁজে বেড়াই দিবানিশী
একটু খানি আশা,
বুকের মাঝে দিয়ে জানা
একটু ভালোবাসা।
অবহেলায় বুকটা যখন
দুমড়ে মুচড়ে যায়,
দুঃখ গুলো চেপে ধরি
লোক লজ্জার ভয়।
তবুও মনে ঝাপসা চোখে
স্বপ্ন গুলো জাগে,
ইচ্ছে গুলো পূরণ হবে
চির বিদায়ের আগে।
——————————————–
কবিতা:অভিমানী মন
কলমে : আমি কেয়া
তারিখ:২৭.০৫.২২
আমি যখন তোমায় খুঁজি,একটু বিশেষ,
তুমি তখন ব্যস্ত কাজে,অন্য কাউকে আগলে রেখে।
তোমায় কথা শোনার আশায় আমি তখন অপেক্ষারত
তুমি তো ভুলেই গেছো মনে আছে কি তোমার?
সময় চলে যায় নিজের গতিতে,থেমে থাকে না আমার জন্য একটু
তাল মিলেয়ে কষ্টরা যেন আমাকে আরও আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে
চোখে আঙুল দিয়ে শিখিয়ে দেয় তুই কার পেছনে দৌড়াচ্ছিস!
সে কি কখনো ধরা দেবে তোকে?
ভালোবেসে পারবে আগলে রাখতে?