Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

আমিও হবো সেরা
মোঃ নূর ইসলাম শাহ

লিখেই যাচ্ছি লিখেই যাচ্ছি কবে হবো সেরা,
হতে তবু পারলাম নাতো
লিখছি সারা বেলা।

কবে আসবে সেই শুভ ক্ষন
গুনছি সেই প্রহর,
অবশ্যই আসবে একদিন
সেই শুভ সহবর।

নাইবা হলাম সেরা সাহিত্যিক
তবু লিখছি নিয়মত,
কবি তো আর কম নাই
আছে কত শত শত।

কবে আসবে সেই শুভক্ষন
করছি সেই ধান্দা,
আমিও তো আর কাঁচা নাই
আমিও আল্লাহর বান্দা।

শব্দনগরের লেখক আমি
আরও নিয়মিত পাঠক,
নিয়মিত লেখেই যাব
কে মারে মারুক শাঠক।

——————————————–

খোকা
————————– শিশুতোষ —
———————————— নির্মল দাশ ঝুঁটন
তারিখ–২৩/০৫/২০২২ইং

রোজ সকালে উঠবে খোকা
সবার আগে জেগে,
বই কলম হাতে নিয়ে
পাঠশালাতে যাবে।

জানতে হলে পড়তে হবে
মনোযোগ দিয়ে,
লেখাপড়ায় বড় হলে
বড় মানুষ হবে।

মাস্টার মশাই গুরু জনার
শুনতে হবে কথা,
সবার প্রিয় তুমি হবে
গুছাবে সব ব্যথা।

লেখা পড়া করে খোকা
অনেক বড় হবে
দেশে দশের সেবা করবে
শিক্ষা নিয়ে তবে-!

অক্ষর জ্ঞান না থাকিলে
লোকে মন্দ বলে,
শিক্ষা দীক্ষা নিলে পরে
সবাই আদর করে।

লেখা পড়া না করিলে
জেনে রেখো খোকা,
সময় বড় কঠিন আসছে
সবাই বলবে বোকা।
——————

সিলেট/ হবিগঞ্জ / নবীগঞ্জ — (স্হায়ী)

রচনাকাল — ২৩/০৫/২০২২ইং
রোজ- সোমবার
লেখার স্থান — রামারবাগ,ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ–

——————————————–

কবিতা–বিজ্ঞ দাদা
অজয় চক্রবর্তী
২৩ ০৫ ২০২২

পাশের বাড়ির বিজ্ঞ দাদা ভীষণ মিষ্টি কথা,
গোপনে বিষ ছড়িয়ে বেড়ান যখন যথা তথা।
মিথ্যে বলায় তার মত আর এমন পটু কোথায়?
খুব গুছিয়ে মিথ্যে বলেন আসরটা পান যেথায়।

জ্ঞানের বহর দেখান ভারি আসলে সব ফাঁকা,
সাইড ব্যাগে কাগজ রাখেন পেন্সিলেতে আঁকা।
ইচ্ছে করে চুলগুলো সব এলোমেলো রাখেন,
রাস্তাঘাটে কে তাকিয়ে ট্যারা চোখে দেখেন।

এমন কোন বিষয় নেই যা জানেন না তো তিনি,
ভাবটা যেন জ্ঞানে বোঝাই জাহাজ একটা মিনি।
না ডাকলেও আগবাড়িয়ে শোরগোলে তে যান,
মাতব্বরি করতে গিয়ে গালিগালাজ পান।

চেনা এবং অচেনা হোক রাস্তাঘাটে ধরে,
ব্যাগের থেকে বের করে কবিতা যান পড়ে।
মাঝে মাঝে বলে ওঠেন রবীন্দ্র কি লেখে?
আজকে যদি থাকতো বেঁচে শিখতো আমায় দেখে।

কদিন আগে বৃষ্টি পথে পিছলে পড়ে যায়,
হাঁটুর নিচে চিড় ধরেছে এখন কি উপায়?
পাড়ার মানুষ কেউ আসে না জ্ঞান শুনবার ভয়ে,
ভীষণ ব্যাথায় চিৎকার দেয় বিছানাতে শুয়ে।

—————————————-_—

“স্মৃতির গোলাপ”
মোঃবখতিয়ার হোসেন।
প্রবাসী মালয়েশিয়া।
২৪/০৫/২০২২ ইং।

আমার জীবন আমি ছড়াতে,
ছড়াতে এসেছি এখানে,
আমি কিছুই রাখিনি, কুড়াইনি
তার একটি ছেড়া পাতা, হাওয়ায়
হাওয়ায়,উড়িয়ে দিয়েছি শিমুল
তুলোর মত, সব সুখ, দুঃখ আনন্দ
বেদনা,স্মৃতি, আমি এই হারানো
জীবন আর খুজি নাই,সেই ফেলে
আসা পথে,ছেঁড়া কাগজের মতো
ছড়াতে, ছড়াতে এসেছি আমাকে
পথে পড়ে থাকা ছিন্ন পাপড়ির মতো
হয়তো এখনো পড়ে আছে
আমার হাসি ও অশ্রু, পড়ে আছে
খেয়ালি রুমাল,পড়ে আছে দু এক
ফোঁটা শীতের শিশির, এখনো
হয়তো শুকায়নি কোনো, কোনো
অশ্রু বিন্দু কণা,বৃষ্টির ফোটা,
চঞ্চল করুন দৃষ্টি, পিছু ডাক
হয়তো এখনো আছে সকালের
মেঘ ভাঙা রোদ, গাছের ছায়ায়
পদ্ম পুকুরের থেমে থাকা কালো
জল,হয়তো এখনো আছে হাঁসের
নরম পায়ে গচ্ছিত আমার সেই
হারানো জীবন,সেই সুখ দুঃখ
গোপন চোখের জল,আমার জীবন
আমি এভাবে ছড়াতে,ছড়াতে
এসেছি,আমার সঞ্চয় কেবল
কুয়াশা, কেবল ধৃসর,কেবল
শুন্যতা,আমি এই আমাকে
ফ্রেমে বেঁধে সাজিয়ে রাখিনি
ফুটতে,ফুটতে,ঝড়তে ঝাড়তে
আমি এই এখানে,
এতোটা দীর্ঘ পথ এভাবে এসেছি
আমি কিছুই রাখিনি ধরে কোন
মালা, কোন ফুল, কোন অমলিন
স্মৃতি চিহ্ন,
অজস্র স্মৃতির ফুল হয়ে গেছে
একটাই স্মৃতির গোলাপ।

——————————————–
হয়তো আমি অমানুষ!
-আব্দুল কুদ্দুস রবি

আমি হয়তো অমানুষ!……….
তবে মানুষগুলোকে পুরোপুরি মন দিয়েছি!
আমার এই পবিত্র মনটা দিয়ে শুধুই ঘন্টা পেয়েছি!
আমি অসহায়ত্বের বিপরীতে সহানুভূতি হয়েছি,
বিনিময়ে বিন্দু প্রেম চেয়ে কয়েক সিন্ধুসম কষ্ট সয়েছি!

আমি দিবারাত্রির প্রতিটি প্রহরে মানুষগুলোকে-
বুক ভরে বিশ্বাস করেছি!
কী পেয়েছি তাতে?…..
একবুক বিশ্বাসের প্রতিদানে-
হতাশার নিশ্বাস নিয়ে হৃদয় ভরেছি!

আমি হয়তো অমানুষ!……….
তবে মানুষগুলোকে করেছি সদাই-
অশেষ অগাধ সম্মান!
ভাবিনি কখনো তাই সম্মানের বিনিময়ে-
রয় শুধু শুধু অপমান!

আমি প্রিয় মানুষগুলোর শান্তি চেয়ে,
সিজদাতে টাখনু আর মাথাতে কালো দাগ ফেলেছি!
সকলেই শান্তিতে শান্ত,
শুধু আমি অমানুষ অশ্রুজলে দুচোখ মেলেছি!

আমি হয়তো অমানুষ!……….
তবে মানবতার অবক্ষয় নিয়মিত দেখি চেয়ে,
কতো মানুষ নিত্যই হয় কীর্তিমান মানবতার মাথা খেয়ে!
জন্ম থেকেই দেখছি সারাক্ষণ,
লজ্জা লুকোতে পশু পাখিকূল পড়েনা কাপড় জামা,
তবে কেন?দামি পোশাকেও ইজ্জত হলো সস্তা?….
সস্তা পেয়ে বস্তা ভরাতে যায়না তাদের থামা?

লোকেদের বুকে মেরে ছুরি,
এতিমের ধন করে চুরি,
কখনো কারো সতীত্ব ছিনিয়ে,
সেচ্ছায় কেউ সতীত্ব বিলিয়ে,
ধোঁকা দিয়ে জগতকে অবিরত বোকা বানিয়ে-
তবুও সবাই মানুষ!……….

তবে আমি? আমি কে? আমি কী?……….
নির্লজ্জতায় নিজেকে ডুবিয়ে,
বিবেককে অত্যাধুনিক ডোবায় চুবিয়ে,
কখনোই আমি পারিনি হতে সেই সুযোগ্য মানুষ!
তাই বুঝি,
হয়তো আমি অমানুষ!……….
[রচনাকালঃ-২৩/০৫/২০২২২ইং

——————————————–

বিষয়ঃকবিতা
তারিখঃ২২/০৫/২০২১ইং

কোথায় হারালো পারিবারিক বন্ধন
মোঃইব্রাহীম খলিল বাপ্পী

কোথায় হারিয়ে গেলো ভালোবাসা?
যে বাংলায় ছিল পারিবারিক বন্ধনে ঠাঁসা,
কোথায় হারিয়ে গেলো স্বামী স্ত্রীর বন্ধন?
রাত নামলেই ভিন্ন গল্পের শুরু হয় সংযোজন।

কোথায় গেলো কোথায় গেলো সম্প্রীতির মেল বন্ধন?
কোথায় লুকালো কোথায় লুকালো প্রিয়জন হারানোর ক্রন্দন?
কোন সে গুহায় হারিয়ে গেলো প্রিয়জনের ভালোবাসা
কোন সে তরে বিলীন হলো দূর থেকে পাওয়া ভালোবাসা?

সবই যে বিলীন সবই যে অতীত সবই যে হচ্ছে ধূসর
স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন আর স্ত্রীর হাতে স্বামী খুন কবে পাবে এসব অবসর?
বাদ যাচ্ছে না সন্তানেরাও কি হচ্ছে এসব?
দিন দিন কি হিংস্র হচ্ছে পরিবারের এই মেলবন্ধন!

সত্যি কি ঘনিয়ে আসছে পৃথিবীর আয়ু?
তবে তাই হোক তবে তাই হোক আর না চাই দেখতে এসব।

——————————————–

Powered by themekiller.com