Breaking News
Home / Breaking News / “ফরিদগঞ্জে যুবককে গলা কেটে হত্যার নেপত্থে পরকীয়া” —পুলিশ সুপার

“ফরিদগঞ্জে যুবককে গলা কেটে হত্যার নেপত্থে পরকীয়া” —পুলিশ সুপার

আবু হনো মোস্তফা কামাল, ফরিদগঞ্জ: ফরিদগঞ্জে স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সন্দেহে যুবককে গলা কেটে খুন করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত দু’জনকে আটক করেছে পুলশি। আটককৃতরা হলনে প্রতবেশি মোঃ সালাউদ্দনি, আঃ রহমান। গতকাল সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, বিপিএিম-বার সাংবাদকিদের উদ্দেশে তদন্তে প্রাপ্ত ঘটনার র্বণনা করেছেন। ১৫ই এপ্রিল রাত আনুমানিক সোয়া ৯ ঘটিকায় খুনের ঘটনাটি ঘটে উপজলোর কাউনয়িা গ্রামে।

নিহত ফরিদ উদ্দিন ভুইয়া (২৫)’র বাড়ি ফরদিগঞ্জ উপজেলার রূপসা (দক্ষিণ) ইউনিয়নের পশ্চমি কাউনিয়া গ্রামে। প্রতিবেশী ড্রাইভার সালাহ উদ্দনি (৩৯) এর সঙ্গে তার সখ্যতা ছিলো। তারা একসঙ্গে চলাফেরা করতেন। সালাহ উদ্দিনের দুজন স্ত্রী। একজন চট্রগ্রামে থাকেন। অপরজন থাকেন বাড়িতে। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ফরিদ উদ্দিনের পরকীয়া আছে মর্মে সালাহ উদ্দিন সবসময়ে সন্দেহ করতেন। ঘটনার দিন বাড়ির সামনের চা দোকানে দুজন একত্রে আইপিএল খেলা দেখেন। ওই সময়ে ফরিদ উদ্দিন মানিব্যাগে ১০টি ১০০০ টাকার নোট রাখেন। তা দেখে পূর্ব শত্রুতা উদ্ধার ও টাকার লোভে সালাহ উদ্দিনকে খুন করার জন্য প্রতিবেশী আঃ রহমান (২২)কে সঙ্গে নিয়ে পরকিল্পনা করেন। তার জের ধরে সালাহ উদ্দিন তার শিশু সন্তান আরাফাতকে ফরিদ উদ্দিনের পাকা বসত ঘরের ভাঙ্গা সানশেড দিয়ে ভিতরে ঢুকিয়ে দেয়। আরাফাত ঘরে প্রবেশ করে পেছনের দরজা খুলে দিলে সালাহ উদ্দিন ও আঃ রহমান ফরিদ উদ্দিনের ঘরের ভিতরে প্রবেশ করেন। সালাহ উদ্দিন রান্না ঘর থেকে বটি দা নিয়ে আসে। তারা ফরিদ উদ্দিনের কক্ষে নক করলে তিনি দরজা খুলে ডাইনিং কক্ষে আসেন। সেখানে সালাহ উদ্দিন বটি দা দিয়ে ফরিদ উদ্দিনের ঘাড়ে ও কানের গোড়ায় একাধিক কোপ মারে। এতে ফরিদ উদ্দিন মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন। ফরিদ উদ্দিনের মৃতদেহ গুম করার জন্য শয়নকক্ষে তোষকের ভেতর পেচিয়ে রাখে। এরপর, তারা ১০টি একহাজার টাকার নোটসহ ফরিদ উদ্দিনের মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন নিয়ে বের হয়ে যায়। ওই মানিব্যাগ থেকে ৫ হাজার টাকা আঃ রহমানকে দিয়ে ঢাকা চলে যেতে বলেন সালাহ উদ্দিন। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বটি দা পার্শ্ববর্তী পরিত্যাক্ত ঘরে ফেলে দেয়। পুলিশ মামলার তদন্তকালে আঃ রহমানকে সন্দহে করে। তাকে ঢাকার গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক মূল পরকিল্পনাকারী সালাহ উদ্দিন ও তার শিশু সন্তানকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো বটি দা ও মানব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে।

মামলাটি, পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় ও অতরিক্তি পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় (প্রশাসন ও র্অথ), হাজীগঞ্জ-ফরিদগঞ্জ সার্কেল এর পুলিশ সুপার সোহেল মাহমুদ এর তত্ত্বাবধানে ফরদিগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ শহীদ হোসেন ও মামলার তদন্ত র্কমর্কতা এস.আই. রুবেল ফরায়জি মামলার তদন্ত ও যাবতীয় র্কাযক্রম পরিচালনা করেন।

Powered by themekiller.com