কার্ড বিভ্রাট
২০-০১-২২
শ্রী আশীষ মুখোপাধ্যায়।
চাঁদু বাবুর কার্ড এসেছে
নামটা হতো চাঁন্দু দে ,
কার্ড দেখে সে চমকে ওঠে
নিজ কপাল নিজে ঠোকে
ভয়ে ঘরের কোণে ঢোকে
আদ্য নামেই, চাঁদা দে ।
রেশন দোকান গেল বটে
ডিলার বলে,রেশন নাই,
খাদ্য বিভাগ চাইলো চাঁদা
আগে দিয়ে আসুন দাদা
ভুগবো কেন তোমার দায়ে,
খাতির করে কি লাভ ভাই!
চাঁদু গেল চোখের জলে
কোথায় তুমি কাউন্সিলর,
গরীব আমি জানোই তুমি
কোন অপরাধ না বাঁদরামি,
কোথায় পাবো চাঁদার টাকা
কোন অপরাধ হলো আমার!
পাশে ছিল জনা কয়েক
পার্শচর কি চেলার দল,
কার্ডটা দেখে হাসতে থাকে
বলে, ঠিক করে দিই তোমাকে
পাঁচশো টাকা জলপানি দাও
এক্ষুনি অচল হবে সচল।
এ দোষ তো নয় ইচ্ছাকৃত
ভুল করেছে কম্পিউটার,
মেশিন চালায় মূর্খ ওরা
প্রাইভেট হোক সরকারি তারা
নাম সংশোধন করে দেব
খরচাপাতি লাগবে তোমার।
চাঁদু বলে,ওতো চাঁদাই হোল
কম্পিউটার গাধাই হলো,
তোমরা কাগজ লিখে দিলে
একদফা নিয়ে জমা নিলে,
আমি হলাম বলির পাঁঠা
মূর্গা বানাও, তোমরা শালো!
চাঁদু দিলো গালিগালাজ
ফল হলো তার মারাত্মক,
রেশন দোকান বন্ধ হলো
জলের লাইন কাটা হলো
বিদ্যুতের বিল চৌগুণায় এলো,
বুঝলো চাঁদু চাঁদার প্রভাব
এ দেশে এখন সর্বাত্মক।।
——————————-
সুভাষ রঞ্জন রায়।
সময় ।
২০|১|২০২২
শুধুই কেন মনে হয় সবকিছু শেষ হে কবি ;
সবকিছুই শেষ ,
এখন যাহা পড়ে আছে সেতো তোমার আমার ধ্বংসাবশেষ ।
আধূনিকতার নামে করছি যাহা সেতো শুধুই উন্মাদনা ,
ভেঙ্গেচূড়ে গুরিয়ে দিচ্ছে পারিবারিক বন্ধনের সম্ভাবনা ।
সে সময় বর্ণিল আলোকচ্ছটায় রঙিন একটা সময় কাটানো দিন ছিল ;
পল পল করে কাল তাহা কখন অলক্ষ্যে দূরে বহুদূরে ছিনিয়ে নিল ।
প্রয়োজনে আধুনিক শিক্ষা এলো ; দীক্ষা এলো ,
বিজ্ঞানের কল্যাণে প্রযুক্তির হাত ধরে এলো কত সম্ভাবনার আলো।
কিন্তু ; মায়ের আঁচল তলার , বাবার আলিঙ্গনের স্নেহ মাখা পরশ খানি; কোথায় যেন মিলিয়ে গেলো ।
যন্ত্র এল; চাঁকা এলো ; ; নতুন পুঁজির যোগান এলো ;
জীবনে গতি এলো ,দরদী প্রতিবেশী গ্রামের বন্ধু ; কোথায় কেমন করে ;হারিয়ে মরে গেল।
দিনকাল পাল্টে গেছে ; কোনটা ভাল কোনটা মন্দ ; আগের মত যায় না বুঝা আর ,
যুগের ঘূর্ণি হাওয়া যখন কমে যাবে ;পাতার কাঁপন থেমে যাবে , পাগলপনা উন্মাদনা থামবে কি আবার ?
—————————-
শকুনের পৃথিবী
দালান জাহান
অন্ধকারে বরশী ফেলে বসে আছে
জমিদার বাড়ির সাতটি কুকুর
মানুষের মুখোশ পরে হেঁটে আসছে
একদল উত্তর বানর
শিশিরের শির মোছে মৃতের মতো গড়িয়ে যাচ্ছে
কঙ্কালসার চান্দের আলো।
চোখের উপর ভর দিয়ে
নিজের জিভ দিয়ে জিহ্বা আঁকছে
পাকস্থলী ছিঁড়ে বেরিয়ে আসা বিখ্যাত চিত্রকর।
ডানে-বামে পড়ে আছে হীন দৃষ্টিহীন দিন
হৃদয়ভর্তি রেলক্রসিং
পেপসি ভর্তি ভাঙা বোতল
রঙ চা ভর্তি রক্তের দলা!
ফিনফিন হাওয়া বুকে নিয়ে ফিরোজ শিশু
গল্প শোনায় উলঙ্গ ষাঁড়ের….!!
পৃথিবী শকুনের!
পৃথিবী শেয়ালের!
পৃথিবী রাক্ষসের।
দালান জাহান
১৭.০১.২১
——————————-
ভাবতে আমার অবাক লাগে
আলম কক্সিয়ান
তারিখঃ– ২০/০১/২০২২ ইং
ভাবতে আমার অবাক লাগে
কাঁদছো বসে তুমি,
তোমার বিষাদ আচরণেই
কাঁপতো বিশাল ভূমি।
তোমার কঠিন অত্যাচারে
অসহায় ছিলো জাতি,
দখল করতে পরের সম্পদ
আদালত ছিল সাথী।
কতো অসহায় তোমার ভয়ে
গৃহহীন হয়ে থাকে,
মজলুম তাই মুনাজাত করে
রবকে তারা ডাকে।
আসবে যখন এমন একদিন
শক্তি নাহি রবে,
ধনের মায়া ছাড়িয়ে তোমায়
একলা যেতে হবে।
তোমার যতো টাকার শক্তি
একদিন হবে মাটি,
মরণ ছোঁয়ায় হারিয়ে যাবে
শূন্য হবে বাটি।
যখন তোমার আসবে নতুন
আদালতের রায়,
তোমার সহায় নতুন প্রাসাদ
সে দিন হবে ছাঁই।
#সবারপ্রতি_শুভেচ্ছা_রইল