Breaking News
Home / Breaking News / “শব্দনগরের দিন সেরা চার সাহিত্য”

“শব্দনগরের দিন সেরা চার সাহিত্য”

# বিচিত্র মনুষ্যকুল
সিক্তা

ভারি অদ্ভুত এই মনুষ্যকুল!
কে যে কখন কোথায় হারিয়ে যাবে
কেউ বলতে পারে না, এই অস্থায়ী
জীবনটা কে কতো না ঝড় ঝাপটা
সইতে হয়। সীমিত জীবন! অথচ
চাহিদা সীমিত নয়, অন্যের শ্বাসরোধ
করেও ছিনিয়ে নিতে হবে।
কতো জন আছে ? বলে আরো বিদ্যা
চাই, আরো জ্ঞান চাই, আরো
মনুষ্যত্ব চাই! অমর কৃতিত্বর
দাগ রেখে যেতে চাই এই
ধরার বুকে, যা পরবর্তী
প্রজন্মকে আলো দেখাবে।
তাদের জন্য সুন্দর সুস্থ পরিবেশ
গড়ে যেতে চাই। যেন কোন ফুল
অকালে ঝরে না যায়, কোন
মায়ের দীর্ঘশ্বাসের বিষ বায়ু
ছড়িয়ে না পরে, কোন নারীর
সম্ভ্রম হারিয়ে চোখের জলের
বন্যায় প্লাবন না নামে !
অস্থিরতার ভারী বাতাসে —
শ্বাস নিতেও কষ্ট হয়। এক
টুকরো খোলা আকাশের নীচে
দাঁড়িয়ে, ইচ্ছে হয় চিৎকার
করে বলি ” ও আকাশ তোমার
উদারতা আমাদের মধ্যে —
সঞ্চারিত করো সঞ্চারিত করো “।

——————————
ছেঁড়া জামা

সবাই যে তালি দেওয়া জামা গায়ে
নির্লিপ্তভাবে বসে আছি,
আমরা যে শশব্যস্ত
তালিটাকে নতুন রঙের সুতোতে
দৃষ্টিমধুর করতে,
মাঝে মাঝে নতুনজামার স্বপ্নময় কবিতাগুলো
শ্মশানের শান্তিগুলোর মধ্যে
হৈ চৈ বাঁধিয়ে দেয়!

একটু আধটু প্রতিবাদী, বিপ্লবী
খেলার আবর্তে রোদ পোহাতে
বড় যে ভালো লাগে!
মিথ্যা আত্ম অহঙ্কার আর
আত্মকেন্দ্রিকতাকে তোষন করতে
আমাদের ভরাপেটে চাটনির প্রলেপ লাগায়!

আমাদের তো ছেঁড়া জামা
ছিঁড়তেই থাকে ছিঁড়তেই থাকে,
দিন রাত সব ব্যস্তই থাকে
নিত্য নতুন সুতোরই খোঁজে,
তালি শুধু বাড়তে থাকে আর বাড়তেই থাকে!
নতুন রঙিন জামার স্বপ্ন
রোজ নামচার নিষ্ঠুর যাঁতাকলে
স্বপ্নই থেকে যায়!

ওরা জানে,-
ভিখারীর স্বপ্ন, শুধু একটা আস্ত
পোড়া রুটি, ওরা সেটা জানে!
আর আমাদের স্বপ্ন,-
ভরপেটে শুধু দু’চারটে কবিতা লেখা,
ওরা সেটাও একশোভাগ জানে!

অমর——-

——————————
কবিতা~প্রতিশ্রুতি
কলমে-আমিনুল হক নজরুল।
তাং-১৮/০১/২২ইং

অবশেষে অভিযোগের কিছুই নেই,
সত্যিই কিছু নেই।
দাঁত পড়ে গেছে,
চুল পেকেছে,
যৌবন ভেসে গেছে কালের স্রোতে।

প্রত্যহে আমাদের চোখ তা দেখছে,
দেখে দেখে সব নিরবে গিলছে,
কান পেতে সব শুনছে,
আর-নিশ্চিন্তায় হজম করে নিচ্ছে।

আমরা সার্কাসের মতই দেখছি-
ভিন্ন ভিন্ন মৃত্যুর শ্রেণীকক্ষ।
প্রতিটা বিয়োগেই আমাদের জন্য রয়েছে বিদ্যালয়।
অথচ-আমরা সেখানে একেকজন দর্শক,
পাঠ শিক্ষা করি না।

এখানে কোনো ঘর নেই,
কোনো চিকিৎসা নেই,
কেবল এবড়োখেবড়ো পথে অযথা দৌড়ানো-
বাঁচতে মৃত্যু থেকে।

আমরা ভুলে গেছি-
আমাদের সেই ফিরে যাবার প্রতিশ্রুতি।
অথচ-দুনিয়া ছিল সামান্য সময়ের পরীক্ষাক্ষেত্র।
পরীক্ষাগৃহে বুদ্ধিমানেরা গৃহের তামাশা দেখে না।

————————————
# ইচ্ছার বেসাতি #৷
মাহবুবা আখতার

ও মানুষ, মানুষ গো,দেহার মরন অয়,জীবনের মরনের লগে।জীবনের কি মরন আছে?বাঁইচ্চা থাকনের ভয়,কিসের ভয়?ও-ও-মানুষ গো মাটির দেহা মিইশ্যা যাইবো মাটির বিছানায়।
পড়ি রইবে সোনার যৈবন,পীড়িতের কাওয়ালী, লাউয়ের খোলত মন্দিরা বাজাইয়া বে-ঘর করিলো সাধন যোগী।
বাসন্তীর ঘর ভাঙিলো,,জাত গেইলো,শরম খাইলো যৈবতীর পুড়া ফাগুনে।
আহা, দুঃখ দুঃখরে! ইচ্ছের ভাসানে চর জাগে রে উজান গাঙের জলে,

“সাধন যোগীর”মোহজালে সব হারাইয়া চিক্কুর পাইরা কাইন্দ্যা কাইন্দ্যা কেচ্ছা কয় বাসন্তী।” যোগী”বাসন্তীর ইচ্ছা খায়,সুখ খায়,স্বপন খায়,খায়া ফেলায় বেবাক
বসতি “যোগী”রে ভুইলা যায়না বাসন্তী, আগলাইয়া রাখে,আগলাইয়া রাখে পরানের গহীন পরানে।হাত বাড়াইলে তারে ছোঁওন যায়,ভাবের গীত গাওন যায় কিন্তুক সহস্রাব্দ ধইরা বাসন্তী গিঁট্টু বাইন্ধা রইছে বরফের নদীত,ছন্দ নাই বাসনার স্তুতি নাই,বাঁচনের ডাক দিবার মাইনষে নাই।

মাইনষেরা জাইগা থাকে,মইরা যায়,দেহা পঁইচ্চা যায়।অমাবইস্যার আন্ধার রাইতে চান্দের গ্রহন লাগে পুণ্যিমার লগে। খলবলাইয়া কাইন্দ্যা ওঠে পিথ্থিবী,
শ্বাসফাডা কষ্ট, কাঁপন ধরা জ্বর, তেঁতো-টকের অম্বল,
শরীলের উদোম গেরুয়া থান ———-
ঘর পুড়ে,জল পুড়ে,ম্যাঘের মইধ্যে ঠাডাপুড়ে,মিছিল পুড়ে,শ্লোগান পুড়ে,ঈশ্বর পুড়ে, রাজ্যি পুড়ে, পুড়ে জাগতিক নথিপত্র,”বাসন্তীর” এলেবেলে বিত্তান্ত পুড়ে।
জইমা থাকেনা আর কুনো ইচ্ছার বেসাতি।

তারিখঃ১৭.০১.২০২২খ্রি.
ঠাকুরগাঁও।

Powered by themekiller.com