কেঁদেছিল আকাশ
সারমিন জাহান মিতু
৩০-১২-২০২১
চলে যেতে যেতে পৃথিবীর গন্তব্য যেখানে শেষ – সেখানে থমকে দাঁড়ায় মন,
কি যেনো ফেলে গেছে পিছনের শতাব্দীর স্মৃতি বিভ্রাট ইতিকথা।
হয়তো জমাট বাঁধা রক্তের ভেতর তখনও তোমার নাম খোদাই করা কোন শিল্পযুগ – মুছে দিতে পারিনি মৃত্যুর কাল দূত।
জীবন বেলা শেষে সবুজ পাতায় হলদে রঙের ফুল আমি ঝরে গেছি আজ – মনে পড়ে না আর একদিন মানুষের অবয়ব ছিলো আমারও,
কিন্তু একটা মন ছিলো টের পাই – কারণ ওখানে তোমার চিরচেনা স্হায়ী আবাস আছে বলেই।
যা তুমি ছুঁতে চাওনি বলেই ছুঁয়ে দেখতে পারনি সে ব্যথা আমার,
আমার হিম হয়ে যাওয়া শরীরটা ইচ্ছে হলে ছুঁয়ে দেখো- কান্না শুনতে পাচ্ছো তুমি – তোমাকে জানাতে বিদায় কেমন করে কাঁদছে সে।
বুঝতে পারছো মনের এ কেমন পরিণতিতে বয়ে যায় স্রোতে স্রোতে পরাগমিলন -অনুভব করতে পারছো অশ্রু বিন্দুতে কেমন ভালোবাসার গন্ধ,
পারছো না তো – আমি জানি তুমি কোনদিনই পারবে না – কারণ তুমি ভালোবাসতেই জানোনা।
ভালোবাসতে জানলে তোমার বুকের মধ্যে ভালোবাসার গন্ধ – কাঁদাতো আমার জন্য,
কিন্তু তুমি ধারালো ইস্পাত-দৃঢ় শরীরে দাঁড়িয়ে ছিলে আমার জন্য কাঁদতে পারলে না।
অথচ আমি তিতির পাখির মতো অপেক্ষা করেছি যুগের পরে যুগ – তোমার বুকে ভালোবাসার গন্ধ মাখাবো বলে,
পারলাম না আমি হেরে গিয়েই জীবন্ত ইতিহাস পিছনে ফেলে চলে গেলাম – বৃষ্টি হয়ে কেঁদেছিল আকাশ।