ভো-কাট্টা
••• মির মহঃ ফিরোজ
১৪-১২-২০২১
হেমন্তের শেষ রোববার,
ঝরঝরে আকাশ,
সোনার ফসল কৃষকদের গোলায়,
মাঠে দেখা যাচ্ছে কদম ছাঁটে নাড়া,
খাওয়া দাওয়া সেরে দুপুরে —
ছেলেরা শুরু করেছে ক্রিকেট খেলা,
অনেক দিন পর হাসছে মাঠটা।
রবি ঈষৎ হেলে কিরণ দিচ্ছে,
যেন পথ দেখাচ্ছে সবার,
খেলা জমে উঠেছে , চলছে চিল চিৎকার,
জুনিয়র – সিনিয়রের ম্যাচ —
সিনিয়ররা ব্যাট করছে,
একটা করে বল আসছে, জুনিয়ররা উৎসাহ দিচ্ছে,
ছক্কা ছয়………. ছক্কা ছয়……… ছক্কা ছয়………।
আমি আবার বেজায় বেরসিক, খেলাধুলা লাগেনা খুব একটা ভালো,
তবুও বসে দেখছিলাম খেলা ; হঠাৎই চোখ গেল ঐ দূরে,
দেখি কয়েকটা ছেলে লাল, নীল, হলদে, সবুজ —
জামা গায়ে ছুটোছুটি করছে। ঘুড়ি ওড়াচ্ছে।
মন করছিল ছটফট ; যাই যাই করছিল, কিন্তু…..
হঠাৎ নোদো এসে বললো, চল্ ফিরোজ —
যাই ওপারে। বটতলায়। ঘুড়ি ওড়ানো দেখতে।
আমি তো বেজায় খুশি, বললাম চল্
গিয়ে দেখি বটতলায়, খাল পাড়ের মাঠে —
কতো রকমের ঘুড়ি উড়ছে ; যেন ঘুড়ির মেলা,
কেউ বলছে চেঁচিয়ে, জোরে প্যাঁচলাগা হারু,
ভো-কাট্টা, ভো-কাট্টা, ভো-কাট্টা, ঘুড়ি কেটে গেছে—
কি উচ্ছাস! ছোট বেলার কথা মনে পড়ে যায়,
আমি, বিশুদ্ধ, বাদশা, বাটু, নাজীব,জাকির….।
বেলা পড়ে আসে, আকাশে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি উড়ে চলে,
রাখালেরা গরু নিয়ে ফেরার তোড়জোড় করছে,
হাবুলের ফাঁদে দু’টো বক ধরা পড়েছে —
আশুথ গাছ টায় কাকেরা হল্লা করছে,
রবি লাল হয়ে খালে নেমে গেছে।
বাদল ভাই শেষখেপ জাল ফেললো ; কেল্লাফতে —
জাল ভর্তি মাছ টেনে তুলছে। নোদো বললো চল্ ফিরোজ বাড়ি যাই।
____________________________________________
( ২৭-শে অগ্রহায়ণ, ১৪২৮। মঙ্গলবার। মি. ম.ফিরোজ)