মফিজুল ইসলাম বাবুল,কচুয়াঃ
কচুয়া উপজেলার গোহট উত্তর ইউনিয়নের ৭৯নং হারিচাইল-হাসিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে আবারও অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কমিটি গঠনে অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও বিদ্যালয়ের গাছ কেটে নিজের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে স্থানীয় খোরশেদ আলম পাটওয়ারী নামে এক ব্যক্তি চাঁদপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে লিখিত দরখাস্ত দাখিল করলে বুধবার (১৫নভেম্বর) শাহরাস্তি উপজেলা সহকারী শিক্ষক অফিসার আক্তার হোসেন সরজমিনে এসে এর তদন্ত করেন। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মোঃ মহিনউদ্দিন তদন্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলে তদন্ত অফিসার রেজিষ্ট্রার খাতা দেখিয়ে বলেন এই স্বাক্ষর কি আপনার? না এ স্বাক্ষর আমার নয় প্রধান শিক্ষক আমার স্বাক্ষর জ্বাল করে অনিয়ম করেছে। একই ভাবে কমিটির সদস্য আব্দুল জলিলও তার স্বাক্ষর জ্বাল করেছে বলে তদন্ত অফিসারকে জানান। এসময় সম্প্রতি কমিটি থেকে পদত্যাগ করে চলে যাওয়া অন্যান্য নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা জানান, আমি কোন অনিয়ম দুর্নীতি করিনি, অর্থ যা আসছে তা দিয়ে বিদ্যালয়ের কাজ করেছি এবং অবশিষ্ট টাকা ব্যাংকে জমা রয়েছে।
তদন্ত অফিসার আক্তার হোসেন জানান, আজ আমি তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করতে আসছি এবং তদন্ত চলমান রয়েছে,তদন্ত শেষে আমার উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন দাখিল করবো।
উল্লেখ্য যে, এর আগেও এলাকাবাসীর এসব অভিযোগে কচুয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কার্যালয় থেকে একাধিকবার তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
Home / Breaking News / কচুয়ায় হারিচাইল-হাসিমপুর সঃপ্রাঃবিঃ প্রধান শিক্ষকের অনিয়মের অভিযোগে আবারও তদন্ত অনুষ্ঠিত