অনলাইন নিউজঃ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রিসোর্টে আট হাজার টাকার বিশেষ প্যাকেজে ঝর্নাকে নিয়ে উঠেন মামুনুল হক। ধর্ষণ মামলায় সাক্ষীতে রয়েল রিসোর্টের ম্যানেজার নাজমুল হাসান অনি একথা বলেন। সোমবার সাড়ে ১২টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে সাক্ষী দিয়েছেন রিসোর্টের ম্যানেজারসহ ৩ জন। সাক্ষীতে রিসোর্টের ম্যানেজার নাজমুল হাসান অনি, সুপারভাইজার আ. আজিজ পলাশ ও নিরাপত্তা কর্মী আনসার সদস্য রতন বড়াল সে দিনের ঘটনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ সময় বাদী ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর রকিবুজ্জামান রাকিব। সহযোগিতায় ছিলেন নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহসীন, হাসান ফেরদৌস জুয়েলসহ কয়েকজন। অপর দিকে আসামিপক্ষে ছিলেন আনিসুর রহমান মোল্লাসহ কয়েকজন। এর আগে মামলার বাদী প্রথম সাক্ষী দিয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) নাজমুল হাসান জানান, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মামুনুল হককে আদালতে হাজির করা হয়। এদিন ৩ জন সাক্ষী দিয়েছেন। পরবর্তী সাক্ষীর দিন পরে জানানো হবে। বিকাল ২টায় সাক্ষী শেষে মামুনুল হককে ফের কাশিমপুর কারাগারে নেয়া হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রাকিবুজ্জামান রকিব জানান, কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা সোনারগাঁও থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন। সেই মামলায় এ নিয়ে ৪ জনের সাক্ষী হয়েছে। সাক্ষীকে উভয় পক্ষ জেরা করেছেন।