সেই রাস্তাটা
—এম আশরাফ আলী।
০৭/১২/২০২০ ৮.৩০ এ এম
বুক পেতে আছে সেই রাস্তাটা
তোমার পদভারে মুখরিত হবে বলে আজ দিনান্তে আমাকে বলল —
ও পথিক, তোমার সাথী কই?
ফজরের পর যে তোমার হাত ধরে গল্প
করে করে হাঁটত?
আমি বললাম কেন?
রাস্তা বলল” ও পবিত্র পদে যখন আমার বুকে হাটে
আমি কি এক প্রশান্তি পাই—-বলব?
একমাত্র তুমিই বুঝবে সে কথা।
আমি বললাম কিভাবে?
— ও তোমার বুক ছুয়ে দেয় না?
___হ্যাঁ দেয়।
—তোমার বুকে প্রশান্তি আসে না?
–হ্যাঁ আসে।
জান? ওর সরল সরল ভাব, সততা, নিষ্ঠা আর স্বামী ভক্তি আমার খু–ব ভালো লাগে।
—আমি বললাম — তাই?
—হ্যাঁ পথিক। রোগে শোকে ভোগতে ভোগতে
ডায়াবেটিস, প্রেসার, গ্যাসট্রিকে
ও যখন অনেকটাই ফিকে—
তোমার বাহুতে ভর করে রোজ রোজ যখন হাটত–
কি সুন্দরই না লাগত!
আজ ও আসলনা কেন?
আমি ফুফিয়ে কেঁদে বললাম জানো হে পবিত্র রাস্তা?
কাল বেলা এগারোটায় তোমার বুক চিরে চলে গেছে
তোমার প্রিয় মানুষ। তুমি বুঝতে পারনি?
—না।বুঝতে পারিনি।
ও— ঠিক। কারণ ও চিরতরে চলে গেছে
অ্যাম্বুলেন্স চড়ে। আর আসবে না।
ছেড়ে গেছে খাটের দাবি —
ছেড়ে গেছে গরম পানির ব্যাগ,
জুতো, চিরুনি, চুলের বেন্ড,
ছেড়ে গেছে ভ্যানিটি জিনিস, শ্যাম্পু, ক্রিম।
সব মায়াজাল ছিন্ন করে চলে গেছে অন্তহীন একাকী।
ছেড়ে গেছে আমার অপেক্ষার দাবী –মান অভিমান।
ছেড়ে গেছে কুসুম কোমল বিছানা
জীবনের রঙ্গ মঞ্চ আজ কেবলই দাবানল।
রেখে গেছে বুক চিন চিন ব্যথার কামড়
রেখে গেছে একবুক নিরেট দহন
রেখে গেছে স্মৃতিময় ভগ্ন জাহাজ
যে জাহাজে হাতড়াই মনের অসুখ——
######################
সিলেট ৩১০০ স্বত্ব সংরক্ষিত