” ভিলেন ”
– রিটন মোস্তফা
মগজের এক প্রান্তে আস্তানা ছিল কামিনির
অন্য পাশে দখল নেওয়া আগ্রাসি শঠতার দল
বাকিটা আগেই পূর্ণ ছিল জঞ্জাল আর গুল্মলতা
আমাকে জীবন দেওয়া হলো, সাথে একটা খুন্তী।
স্রষ্টার হুঙ্কারে নির্দেশিত পথে আমি নেমে এলাম জগতে।
আমাকে হাঁটতে বলা হলো মানুষের ভিড়ে
মানুষকে ঠেলে ঘৃণ্য মননের বীজ বুনতে বলা হল,
লেগে গেলাম মানুষের ভিড়ে অমানুষ জন্মাতে
দু’হাত খুঁড়তেই বেরিয়ে এলো গবরে পোকা
আমি মানুষের ভীড়ে তবুও একজন পর পর
পুঁতে দিলাম আমার মগজে দুপাশের উচ্ছিষ্ট।
আমাকে বলা হলো তাদেরকেই বেছে নাও
যারা পঁচে গিয়ে সার হয়ে গেছে, দুর্গন্ধ ছড়ায়।
ওদের এক ধাপ পর পর গুঁজে দাও, জল ঢাল
বাড়তে দাও, কেউ বুঝে ওঠার আগেই সবুজ হোক
প্রতারণার একটা গাঢ় রঙ দাও পাতায় পাতায়
গন্ধ দাও,আকৃষ্ট করো, প্রয়োজনে ফুল ফোটাও।
আমার মগজের দুই প্রান্তের প্রস্রয়ে, উত্তপ্ত আমি
পৃথিবীর জনবসতিতে পঁচা মানুষ ও মননের ফাঁকে
রোপন করে বেড়ে উঠতে দিয়ে ফিরার পথে ফিরেছি
দীর্ঘদিন হলো,
এখন আমার ফল ও ফলাফল দেখছে ঈশ্বর।
চূড়ান্ত অমানুষের স্রেষ্ঠ পুরস্কার হাতে স্রষ্টার বিপরীতে
একটা নরম কেদারায় দুলতে দুলতে আমিও গর্বিত।
আমি এবং স্রষ্টা, নিজস্ব সাজান খেলায় সয়তান চূড়ান্ত।