Breaking News
Home / Breaking News / কবি মোহাম্মাদ ইয়ামিন এর সেরা কবিতা ” পথশিশু”

কবি মোহাম্মাদ ইয়ামিন এর সেরা কবিতা ” পথশিশু”

নাটকঃ পথশিশু
প্রকাশকালঃ১৫.১০.২০২১
রচনাকালঃ১৩,০৪.২০২০
মোহাম্মাদ ইয়ামিন

লর্ড এক্সঃ দীর্ঘদিন আমেরিকা থেকে এবার শীতে বাড়ি আসছে।কোটি কোটি টাকার মালিক অহংকারে পা মাটিতে পরতে চায় না।(কুয়াশায় ব্যস্ত রাস্তা দিয়ে যাবে গরম কাপড় পরে।সকালে একরকম বিকেলে একরকম দুপুরে একরকম। তিনবেলায় তিনরকমের গরম কাপড় পরে। আলমারি বুঝাই কাপড়ে।তার পার্টই আলাদা।

রাস্তার দ্বারে কিছু পথশিশু ছেঁড়া কাপড় পরে আছে।শীতে হীম হয়ে কাঁপছে তাদের আত্মাসহ।ঠিক এই সময় পাস দিয়ে যাচ্ছিলো লর্ড এক্স।
শিশুরা তার পা ধরে বলতে লাগলো-
“” স্যার স্যার ও স্যার আমাগোরে দশটা টেহা দেন না!
আমাগোর কেওই নাই শীতে মইরা যামু দয়া করেন স্যার।

লর্ড এক্স,, পা টা ছিটকে তাদের ছাড়িয়ে লাথি দিয়ে বলল দূর হো যত্তসব আবর্জনা! তোদের তো বাঁচার অধিকারি নেই। শালা জারজ। চোখের সামনে থেকে দূর হো।

(গ্রামের মেয়েঃ অপরূপ চারদিকে তার মাঝে গায়ের মেয়েটি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে তাতে অপরূপে আরো অপরূপা হয়েছে। ( যাচ্ছে স্কুলের উদ্দেশ্যে)

লর্ড এক্স,, তাকে দেখে তার কামযজ্ঞ করার ইচ্ছে জাগলো,ওয়াও বিউটিফুল ফিগার, বিউটিফুল স্কিন ওহ্ বেবি তোমাকে আমি চাই।,,,।পাগল হয়ে গেল সে তার রূপ দেখে।
বলল, হাই বেবি একটু এদিকে আসো না, আসো না গো একটু ছুয়ে দেই।চলো না একটু নির্জনে যাই।

মেয়েটি ভয়ে ভয়ে কান্নারুপ চেহেরা নিয়ে চলে গেল।

পরেরদিন একই টাইমে শয়তান টি দাঁড়িয়ে আছে তার উদ্দেশ্যে।আজ তার খারাপ উদ্দেশ্যে হাসিল করবেই যেভাবেই হোক।

মেয়েটি যাচ্ছে তো যাচ্ছে

হঠাৎ শয়তান টি সামনে দাঁড়ায়, এই সোনা তুমি আমাকে পাশ কাটিয়ে চলো কেন হু?
আমার সাথে চলো নির্জনে, তুৃমি যা চাইবে তাই দেব…
যতটাকা চাইবে ততটাকাই দেব বেবি।শুধু একটু সুখ দাও আমায় ছোতে দাও সোনা।
(জোড়া-জাড়ি করে নির্জনে কোথাও নিয়ে যাবে)

মেয়েটি শুধু চিৎকার আর চিৎকার করে বলছে বাবাসম আপনি প্লিজ আমাকে ছাইড়া দেন।আমার সর্বনাশ কইরেন না।যেতে দেন আমারে প্লিজ।

কোনো ভাবেই মানলো না শয়তান টা।অবশেষে–

নিথর দেহ পরে আছে ভাঙা বাড়িটির এক কোণে।ছেঁড়া জামা, পায়জামা, রক্তাক্ত গাল ক্ষত বিক্ষত শরীর।জরায়ু থেকে প্রবাহিত রক্তধারা।মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে আছে। শয়তান তার নপুংস কে শান্ত করে চলে গেছে মেয়েকে সর্বশান্ত করে। তখনি সে বিদেশ চলে যায়)

জ্ঞান ফিরলে কেনোরকম বাড়ি যায়।বাবা মাকে সব বললেও তারা গরিব তাই চুপ থাকতে বাধ্য।সমাজের লোক কত কটু কথা বলতে শুরু করছে।তার বাবা হার্ড এটাকে মরলো মা পাগল হয়ে গেল।
মেয়েটি ঘরের বাহিরে যায় না। লোক লজ্জার ভয়ে।কিছুদিন পর গর্ভবতী হয়। কিন্তু সন্তান প্রসব কালে মারা যায়।এমতাবস্থায় বাচ্চাটির কান্না শুনে এক মহিলা তুলে নিয়ে এতিমখানায় দেয়।সেখান থেকেই এতটুকু হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে।

সেই যে লাথি দিয়ে গেল শিশুদের,সেদিন রাতেই তার মৃত্যু হয়।কোনো কাপড় ছাড়া,সকল গরম কাপড় রেখে মাটি দেওয়া হয়।কিছুই নেওয়া সম্ভব নয়।

মন্তব্যঃ আমাদের দেশে এবং কি পৃথিবীতে ঘটে যাচ্ছে এমন অহরহ ঘৃণিত কর্মকাণ্ড। ধর্ষকসমাজ ধর্ষণ করেই যাচ্ছে। এর ফলে সৃষ্টি হচ্ছে তাদের মত জারজ সন্তান।কিন্তু তারা তো কোনো পাপ করেনি। তাদের কেন এই শাস্তি!
আজ এই সমাজের চোখে পাপের কালি পরেছে যার ধরুণ দেখতে পেরেও চুপ থাকে।
সমাজ কে পাল্টাতে হবে নতুন আঙ্গিকে। সকল পতিতালয়, ধর্ষণ স্বীকার থেকে রক্ষা করতে হবে দেশকে।তবেই আর থাকবে না কোনো পথে বসে শিশু। মারতে পারবে না কেউ লাথি।”আমরা শিশু দিবস পালন করি।কিন্তু নিজেদের শিশুদের কে নিয়ে।
কিন্তু পথে পথে যে শিশুরা বসে কাঁদে তাদের পাশে তো কেউ নেই। তাহলে কিসের শিশু দিবস আবার।
আসুন আমরা দায়িত্বশীল হই,দেশের প্রতি,দেশের মানুষের প্রতি আমরা দায়িত্ববান হই তবেই পাল্টে যাবে চার পাশের সমাজ।
” মানবতা তুই আয় ফিরে মানব সমাজ মাঝে
দেখ নারে কাঁদে শিশু সন্ধ্যা সকাল সাঝে।

Powered by themekiller.com