“প্রতি মা”
সোনালী আদক
————
মাটির মায়ের আয়োজনে, করিস বাড়াবাড়ি
রক্ত মাংসের মা যে তোদের, যাচ্ছে গড়াগড়ি।
খড়কুটোর মাকে আনিস, নানা ফন্দী এঁটে
কতো শতো মা যে আজ, কাঁদছে পথে ঘাটে।
লক্ষ কোটি ব্যায়ে তোরা, প্রান হীন মাকে জাগাস
তার কুটির থেকেই তোরা, নিজের মাকে ভাগাস।
রঙ তুলির মাকে দেখতে, দাঁড়াস দীর্ঘ লাইনে
ছাড়লি, যে করলো মানুষ নিজ প্রানের বলিদানে।
ঘরের মাকে ছেড়ে তোরা, পুঁজিস প্রতিমাকে
আশীর্বাদে মা যে তোদের, নিজের জীবন পাতে।
যে মায়ের প্রাণ নেই তারে, নৈবেদ্য ধড়িস যতনে
তোকে মানুষ করতে খিদে, লুকায় মা নারীর টানে।
দামি কাপড় গহনা সাজে, যাকে বরণ করিস
অন্ন বস্ত্রের অভাবে নিজের, মাকে বৃদ্ধাশ্রমে ভরিস।
যে মা তোরে চেনেই না, তার কৃপা লাভে ছুটিস
আপন মায়ের বুকে বসে, তার ধন সম্পত্তি লুটিস।
বিদ্যার দেবী বলে তোরা, যার চরণে পুঁথি রাখিস
হাতে ধরে বুলি শিখায়, সেই মাকেই ভুলে থাকিস।
কদিন পরেই বিসর্জনে, যে ড্যাঙড্যাঙিয়ে ছোটে
আসল নকল বুঝবি কবে তোরা, মানবতার ভোটে।
সহস্র ব্যায়ে শোভাযাত্রায় ,এই মায়ের হয় না বিসর্জন
বিসর্জন তো হয় ক্ষণে ক্ষণে, যে মায়ের আছে প্রাণ মন।
প্রতিমাতে মা থাকে, নাকি মা তে প্রতিমা
গর্ভধরিনী মা চলে গেলে , আর ফিরে পাবিনা।