কবিতা– সন্দেহ
শ্যামল ব্যানার্জী
২১/০৯ / ২০২১
আমি যখনই ভালো হতে চেয়েছি
তোমরা তীব্র সন্দেহের দৃষ্টিতে
এক আকাশের নীচে, জলে, জঙ্গলে
আমাকে পুড়িয়েছো।
অতীতের ক্ষতটাকে খুঁচিয়ে তুলেছো
কোনো নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া,
রক্ত ক্ষরণের আনন্দ নেবে বলে।
চিত্রনাট্য তখনও অসমাপ্ত ছিলো, যেদিন
ভালোবাসা নিরন্তর হলুদ বনের ঘাস পথ মারিয়ে,
হাঁটুগেড়ে বসেছিলো,
প্রেম নিবেদনের এক পথিক।
কামারশালের হাপরের শব্দে বুকের নীচে
হৃদয়টা কেঁপে কেঁপে উঠেছিল,
অ্যামাজনের জঙ্গল যেন দু হাত বাড়িয়ে,
গভীরতার জানান দিলো,
আর তুমি তখনও অবিশ্বাসের, ষড়যন্ত্রের
গন্ধে পাগল হলে,
শিকারী কুকুরের মতো।
আমার কলঙ্কিত চাঁদ তখনও ঋজু ছিলো,
ঋদ্ধ ছিলো,
এতটুকু বেঁকেনি কোথাও অথচ,
তোমার ধূসর চোখে আবছা কালো ধোঁয়া,
কবরের অন্ধকার ছিলো।
হে প্রেয়সী আমার,–
তবে এতো দ্বন্দ্ব কেন?
কেন, এত পৃথিবী উত্তাল করা ঘৃনা?
এসো আমরা দুজন গড়ে যাই নুতন ভুবন।
সব ভুলে এসো কাছে, দেখো, মিথ্যার
নেই কোনো পরিচয়।