চাঁদপুরে গ্রাম পুলিশের পরিবারের উপর অতর্কিত হামলায়, ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা সহ আহত-৫

চাঁদপুর প্রতিনিধিঃ
: চাঁদপুর সদরে ১২ নং ইউনিয়নে মদনায় গ্রাম পুলিশ হাবিব জমাদারের পরিবারের উপর অতর্কিত হামলায় ঘটনা ঘটেছে। এতে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা যুবতীর সহ ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছে।
বুধবার দুপুরে চান্দ্রা ইউনিয়নের মদনা গ্রামে গ্রাম পুলিশ হাবিব জমাদারের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদশীরা জানান, গ্রাম পুলিশ হাবিব জমাদারের ছেলে পার্শ্ববর্তী হীরা নামের এক মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্কে পরিবারের অমতে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে হয়।
এই ঘটনাটি উভয় পরিবার মেনে নিলেও কিছুদিন যেতে না যেতে পরিবারের মাঝে বাকবিতণ্ডা ও বেশ কয়েকবার হামলার ঘটনা ঘটে। হাবিব জমাদারের ছেলের বিরুদ্ধে তাদের স্ত্রী মামলা করলে সেই মামলা দীর্ঘদিন যাবৎ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সেই মামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৭ জুলাই বুধবার দুপুরে গ্রামপুলিশ হাবিব জমাদ্দারের বসত বাড়িতে এসে অহীদুল্লার ছেলে ফয়সাল হোসেনের(২৫) নেতৃত্বে হোসেনের নেতৃত্বে ৭/৮ জন অতর্কিত হামলা চালায়। এতে গ্রাম পুলিশ
হাবিব জমদ্দারের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৫৫),আফরীন (১৫), ইতি আক্তারসহ ৫ জন আহত হয়েছেন।
ঘটনার পরই আহতদের উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়েছে। ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা ষড়যন্ত্র করার কারণেই গ্রামপুলিশের বাড়িতে প্রতিপক্ষরা হামলা করতে সাহস পেয়েছে।

এ ঘটনায় গ্রাম পুলিশ হাবিব জমাদার জানান, ছেলের বউ সংসার করবে না বলে আদালতে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলা কিছুদিন পরে রায় হওয়ার কথা রয়েছে। মিথ্যা মামলায় হেরে যাওয়ার আশঙ্কায় ঘটনার দিন পরিকল্পিতভাবে বহিরাগত লোকজন নিয়ে এসে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে স্ত্রী সহ ৫ জনকে আহত করেছে। স্ত্রী ফাতেমা বেগম ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সম্পাদিকা হওয়া সত্বেও বিএনপি সমর্থিত সন্ত্রাসীরা একজন গ্রাম পুলিশের বাড়িতে এসে হামলা চালায়। হামলাকারীরা স্ত্রীর গলা থেকে স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয় ও ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে গরু বিক্রির ৬০ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। যেখানে গ্রাম পুলিশের নিরাপত্তা নেই সেখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দূরের কথা। তাই ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্ত করে এই হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাই।