বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কচুয়া উপজেলাধীন পৌর বাজারের পাট, ধান ও ছাগল বেচা কেনার টোল বাজারের অংশ লিজ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়ায় জনমনে প্রচন্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সাবেক ৮৩নং হাল ৯৯নং করইশ মৌজার কচুয়া পৌরবাজারস্থ সাবেক ৩১৫ দাগে কচুয়া পৌর বাজারেরর তালুকদার মার্কেটের দক্ষিণে পাবলিক টয়লেট সংলগ্নে উক্ত টোল বাজার দীর্ঘদিন থেকে পাট, ধান ও ছাগল বেচা কেনার স্থান হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এ টোল বাজারে প্রতি শনি ও মঙ্গলবারে উল্লেখ্যযোগ্য পরিমাণে পাট ও ধান বিক্রি হয়। এছাড়া প্রায় বাজারেই শতাধিক ছাগল বেচা কেনা হয়। উক্ত অংশের জায়গা লিজ দেওয়া হলে পাট, ধান ও ছাগল বেচা কেনার দারুন সংকট সৃষ্টি হবে বলে বাজার ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা অভিমত প্রকাশ করছে।
এ ব্যাপারে কচুয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) একি মিত্র চাকমা বলেন- ধান, পাট ও ছাগল বেচা কিনার টোল বাজারের পশ্চিম অংশে ফেরি ফেরি শ্রেনীভূক্ত জায়গা লিজ দেওয়ার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। কেউ যাতে অবৈধ ভাবে এ জায়গা দখল করে নিতে না পারে সে লক্ষ্যে লিজ দেওয়ায় জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছি।
কচুয়ার পৌর সভার মেয়র নাজমুল আলম স্বপন জানান, টোল বাজারের জায়গা লিজ দেওয়া হলে নতুন করে পাট, ধান ও ছাগল বেচা কেনার জন্য নতুন স্থান নির্ধারনের দারুন সংকট সৃষ্টি হবে। এমনকি স্থানের অভাবে কচুয়া উপজেলার প্রসিদ্ধ পণ্য পাট, ধান ও ছাগল বেচা কেনা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই জনস্বার্থে উক্ত টোলবাজারের জায়গা লিজ না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট ক’মাস পূর্বেই পত্র প্রেরন করেছি। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কচুয়া অসনের সংসদ সদস্য ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও উক্ত পত্রের অনুলিপি দিয়েছি। তারপরও কচুয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের পিয়ন কাউছারের পিতা -ছিদ্দিকুর রহমান সহ আরো কয়েক ব্যক্তির নামে লিজ দেওয়ার প্রস্তাব পাঠানো বিষয়ে আমি বিস্মিত।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে বাজারের ক’জন ব্যবসায়ী জানান, লিজ গ্রহন করে দোকান পাট নির্মাণ শেষে যখন ব্যবসা চালু করবে তখন টোল বাজারের সব জায়গা যে তারা ব্যবহার করবে বা জোর দখল করে নিবে তাতে সন্দেহ নেই। এতে করে উক্ত টোল বাজারের সম্পূর্ন বিলুপ্তি ঘটবে। বাজার ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা উক্ত টোল বাজারে জায়গা লিজ না দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।