মোঃ হোসেন গাজী।।
চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২ নং চান্দ্রা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড বাখরপুরের বাসিন্দা মোঃ মজিবুর রহমান (মজু)খান (৬০) নামে এক বৃদ্ধকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
এঘটনায় সাথে সম্পৃক্ত সন্দেহে ২ জনকে জিঞ্জাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তাদের ব্যাপক জিঞ্জাসাবাদ করা হচ্ছে। চাঁদপুর সদর উপজেলা ১২ চান্দ্রা ইউনিয়ন ২ নং ওয়ার্ড বাসিন্দা মোঃ মজিবুর রহমান মজু খাঁন(৬০) নামে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ২২ জুন মোঙ্গলবার সন্ধ্যায় মধ্যে বাখরপুরের ওই বাসিন্দা ১ নং ওয়ার্ড মধ্যে বাখরপুরের বিলে মাছ ধরার চাই বসাতে গেলে দুর্বৃত্তরা তাকে গলা কেটে হত্যা করেন।নিহতের স্ত্রী ছায়রা বেগম দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলে স্বামী বাড়ি ফিরে না আসায় তাকে না পেয়ে অনেক খোজাখুজি করে। পরে সন্ধ্যার দিকে খুঁজতে বের হলে ক্ষেতের আইল হাঁটু সমান পানির উপর গলাকাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ডাক চিৎকার করলে স্থানীয়এলাকাবাসী ও লোকজন ছুটে আসে।
পরে ১২ নং চান্দ্রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খান জাহান আলী কালু পাটোয়ারীকে জানালে তিনি তাৎক্ষণিক এক কমর পানি দিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। চেয়ারম্যান খান জাহান আলী কালু পাটোয়ারী, চাঁদপুর মডেল থানায় খবর দিলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় ও অফিসার ইনচার্জ আঃ রশিদ সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে রাতেই ছুটে যান।খুন হওয়া মজিবুর রহমান খানের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে পেরন করেন।
গতলাক বুধবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় চাঁদপুর মডেল থানায় উপস্হিত হয়ে মজিবুর রহমান হত্যার বিষয়ে আটক উজ্জল বেপারী ও হাবিব মোল্লা কে ব্যাপক জিঞ্জাসাবাদ করা হয়। তিনি বলেন, আমরা হত্যার পর ঘটনাস্হল থেকে ২ জনকে জিঞ্জাসাবাদের জন্য আটক করেছি।তাদের জিঞ্জাসাবাদ করা হচ্ছে। তাছারা মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আঃ রশিদ বলেন, জবাই করে হত্যার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্হল সরজমিনে পরিদর্শন করেছি। লাশ উদ্ধার করে আইনি ব্যবস্হার জন্য ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করেছি। ঘটনার স্হল থেকে সন্দেহ জনক উজ্জল হোসের বেপারী (৪২) ও হাবিব মোল্লা (৩০) কে ২ জনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। হত্যার কাজে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। চান্দ্রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খান জাহান আলী কালু পাটোয়ারী বলেন, আমার ইউনিয়নে এ ধরনের হত্যার ঘটনা এই প্রথম। যারা প্রকৃত অপরাধী তারা যেন দৃস্টান্ত মূলক শাস্তি পায়।নিরপরাধ কোনো ব্যাক্তি যেন হয়রানির স্বিকার না হয়।
খুন হওয়া মোঃ মজিবুর রহমান মজু খাঁনের ছেলে সোলায়মান খান বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় ৪ জনের নাম প্রকাশ করে অঞ্জাত আরো কয়েক জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। তিনি জানান, আমার পিতা আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলো মিটার দূরে মনা মাস্টারের পাট ক্ষেতে জাল দিয়ে মাছ ধরতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়। রাত ৯ টা বেজে গেলে বাড়ি ফিরে না আসায় আমার মা আমাকে বললে আমি ভাই ও বন্ধুদের নিয়ে খুজা খুজি করে রাত সাড়ে ৯ টায় মনা মাস্টারের পাট ক্ষেতের হাটু পানিতে জবাই করাবস্হায় দেখতে পাই। দীর্ঘ দিন ধরে মজিবুর রহমান মজু খাঁনের সাথে তার আপন ভাইয়েদের সম্পত্তিত গত বিরোধ চলে আসছিল। তারা বহুবার মজিবুর রহমান মজু খাঁনকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে এ সম্পত্তিগত বিরোধের জের ধরেই হত্যার ঘটনা ঘটতে পারে।