নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে গৃহবধূ মালা আক্তারের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে।
ফরিদগঞ্জ ৯ নং গোবিন্দপুর ইউনিয়নের নয়ারহাট বাজার সংলগ্ন সিরাজ বেপারীর ছেলে গফুর বেপারির দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে এই ঘটনাটি ঘটে।
গুরুতর আহত অবস্থায় মালা আক্তারকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
শুক্রবার বিকেলে হামলাকারী গফুর বেপারী ও তার স্ত্রী সুমি আক্তারের কাছে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল চাইতে গেলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেন আহতের পরিবার।
বর্তমানে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে অবস্থায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে গৃহবধূ মালা আক্তার ভর্তি রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান,১২ নং চান্দ্রা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মনু মিয়া শেখের মেয়ে মালা আক্তারকে চার বছর পূর্বে ফরিদগঞ্জ ৯ নং গোবিন্দপুর ইউনিয়নের নয়ারহাট বাজার সংলগ্ন সিরাজ বেপারীর ছেলে মিলন বেপারীর সাথে বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকে মালা আক্তারের ভাসুর গরুর বেপারী ও তার স্ত্রী সুমি আক্তার প্রায় সময় ঝগড়া বিবাদ করত।
মিলন বেপারির বিদ্যুৎ মিটার থেকে গফুর বেপারি তার ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়। কিন্তু সাত মাস বিদ্যুৎ বিল বকেয়া হওয়ায় ঘটনার দিন মিলনের স্ত্রী মালা আক্তার বিদ্যুত বিলের টাকা চাইতে যায়। এসময় বখাটে নেশাখোর গফুর বেপারী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে মালা বেগমকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
এ ঘটনায় মালা বেগমের স্বামী মিলন বেপারী জানান, প্রায় সময় বড় ভাই গফুর বেপারী স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করতো ও আজেবাজে কথা বলতো। ঘটনার দিন বিদ্যুৎ বিল চাইতে গেলে সে সুযোগ বুঝে চাপাতি দিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করে। এ সময় স্ত্রীর গলার ও হাত থেকে স্বর্ণালঙ্কার তারা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাই।
আহত মালা আক্তারের বাবা মনু মিয়া জানান, মেয়েকে নির্মম ভাবে তারা কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে এই সন্ত্রাসী হামলা কোনো অবস্থাতেই মেনে নেওয়া যায় না। এই হামলাকারী গফুর বেপারী তার স্ত্রী সুমি আক্তারকে আইনের আওতায় এনে কঠোর বিচার দাবি জানাই।
হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার জানান, আহত মালা বেগম এর অবস্থা আশঙ্কাজনক তার মাথায় ২০ সেলাই ও হাতে ৬ সেলাই দেওয়া হয়েছে। তার শরীর থেকে ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়েছে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।
এদিকে গৃহবধূর ওপর এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তার বাবা মনু মিয়া বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানা যায়।