Breaking News
Home / Breaking News / জামালপুরের শ্রীপুরে রাস্তার গাছ খেকু মিঠু আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী

জামালপুরের শ্রীপুরে রাস্তার গাছ খেকু মিঠু আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী

নিপুন জাকারিয়া:—

জামালপুর সদর উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বানাড়েরপাড় এলাকায় পৌনে ৭শ মিটার রাস্তা স্থানীয় সরকার প্রকল্পে, পাকা করণের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

রাস্তায় থাকা শত শত গাছ নিজের ক্ষমতা খাটিয়ে কেটে নিচ্ছে অনেকে। গতকাল সরোজমিনে গেলে দেখা যায়, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী, নাজমুল হুদা মিঠু, তার পুকুর পাড় সংগ্লন রাস্তায় থাকা, সেগুন, মেহগনি, ইউকিলেপ্টাসহ প্রায় অর্ধকোটি টাকার সরকারী গাছ নিজের ক্ষমতা খাটিয়ে কেটে নিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে সরাসরি নাজমুল হক মিঠু জানান- আমার পুকুরে পাতা পড়ে বানির্জিক ভাবে, মাছ চাষ হচ্ছে না। বিধায় আমি গাছ গুলি কেটে ফেলেছি। এসময় তিনি রাস্তায় থাকা সরকারি গাছ নিজের বলে দাবী করেন।

অপর দিকে স্থানীয়রা বলেন, রাস্তার সাথে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদকের গাছের বাগান রয়েছে। তিনি রাস্তার গাছের ফল খেতে পারবেন, দামী দামী গাছ গুলি কেটে নিতে পারেন না। তারা আরো জানান, চেয়ারম্যান না হয়েও তিনি ক্ষমতার জুড়ে রাস্তার গাছ কেটে নিয়ে গেছেন। চেয়ারম্যান হলে তিনি, উন্নয়নে উন্নত করবে নিজের পকেট।

তৃনমুল জনগন মনে করেন, যিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মেগনেট নেওয়ার আগেই দলের ইউনিয়ন সাধারন সম্পাদকের দাপট খাটিয়ে, রাস্তার গাছ, নিজের বলে কেটে নিতে পারে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ তাকে মনোনয়ন দিলে, সাধারন জনগন উন্নয়ন ও তথা ইউনিয়নের উন্নয়নে তিনি এক হাত দেখিয়ে, সম্ভল-কম্বলে আরো পরিপূর্ন হয়ে ফুলে উঠবেন। তারা আরো বলেন, তিনি সরকারী দলের লোক, সরকারী গাছ তো তারায় কাটবে।

গাছ কাটার বিষয়ে, সদর উপজেলা ভুমি কর্মকতা তাহমিনা বেগম জানান, আমি এ বিষরের সাথে রিলেটিভ না। সদর উপজেলা নির্বার্হী কর্মকতা সাথে কথা বলতে পারেন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিটুস লরেন্স চিরানের সাথে মুটো ফোনে যোগাযোগ করলে, তিনি বিষয়টি দেখার আশ্বাস প্রদান করেন।

এ বিষয়ে, ইউনিয়নের নায়েব মো. রাফিউল জানান, গাট কাটার বিষয়ে আমাকে কেউ জানায়নি। জানলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতাম। ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক ফনি জানান, বানাডেরপাড়ের রাস্তাটি টেন্ডার হয়েছে, প্রায় পৌনে ৭শ মিটার পাকা করন হবে। গাছ কাটার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান। স্থানীয় জন সাধারনের প্রশ্ন, আসন্ন ইউপি নির্বাচনে এমন নেতারা যদি, দলের সিনিয়র নেতাদের নজর কেড়ে, মনোনয়নে এগিয়ে থাকেন, তাহলে নৌকার বিজয় সু-নিশ্চিত করা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। সরকারের সুনাম নষ্ট কারী, এসব নেতাকে আটকানো না গেলে, রাজনৈতিক ভাবে দল ক্ষতির সম্মুখিন হবে। সিনিয়ন নেতা ও প্রশাসন নজর দিয়ে তাদের আটকানোর এখনি সময়।

Powered by themekiller.com