Breaking News
Home / Breaking News / চাঁদপুর চান্দ্রায় মেম্বার প্রার্থীর বাড়িতে নবম শ্রেণীর ছাত্রীর বাল্যবিবাহ

চাঁদপুর চান্দ্রায় মেম্বার প্রার্থীর বাড়িতে নবম শ্রেণীর ছাত্রীর বাল্যবিবাহ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২ নং চান্দ্রা ইউনিয়নে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মেম্বার প্রার্থী বাদশা গাজীর বাড়িতে ১৪বছর বয়সী স্কুলছাত্রী বাল্যবিবাহ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
চান্দ্রা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড মদ্য মদনা গ্রামের ওয়ার্ড মেম্বার প্রার্থী বাদশা ভূঁইয়া গভীর রাতে তার ভাগ্নিকে বিয়ে দেয়।
মঙ্গলবার রাতে ৫নং ওয়ার্ড মধ্য মদনা গ্রামের
কালু ঢ়াড়ির ছেলে জুম্মন ঢ়াড়ির সাথে দক্ষিণ বলিয়া গ্রামের আলমের মেয়ে চান্দ্রা ইয়াকুব আলী স্বরক উচ্চ বিদ্যালয় নবম শ্রেণীর ছাত্রী খাদিজা আক্তারের (১৪) বাল্যবিবাহ হয়।
চান্দ্রা ইউনিয়নের কাজী ছাইদুর রহমানের নির্দেশে তার সহযোগী ইসমাইল সাড়ে ৪ লক্ষ টাকায় কাবিনে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করে।
বাল্য বিবাহের ঘটনা জানতে পেরে চান্দ্রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খান জাহান আলী কালু পাটোয়ারী তাৎক্ষণিক মডেল থানা পুলিশকে অবহিত করেন। মডেল থানার ওসি আব্দুর রশিদ রাতেই এএসআই আবুল কালামকে ঘটনাস্থলে পাঠান।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাল্য বিয়ের বিষয়টি সংগঠিত হতে দেখার পরেও ব্যবস্থা নেয়নি।
এ সময় স্থানীয় কয়েকজন নেতা পুলিশকে ম্যানেজ করে সেই বাড়ি থেকে পাঠিয়ে দেয়।
চান্দ্রা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও মেম্বার প্রার্থী বাদশা গাজী পেশী শক্তি ব্যবহার করে সরকারি নিয়ম না মেনে তার বাড়িতে বাল্যবিবাহ সংগঠিত করে আইন লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে বাদশা ভূঁইয়া জানান, ভাগ্নি খাদিজা আক্তারের বয়স কম হওয়া সত্ত্বেও ভালো ছেলে পাওয়ায় বিয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ আসলেও তাদেরকে বুঝিয়ে শুধুমাত্র তেল খরচের টাকা দিয়ে তাদেরকে বিদায় করে দেওয়া হয়েছে।
বাবা-মা গরিব বলে ভাগ্নিকে যৌতুক ছাড়া বিয়ে দিয়েছি।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান খান জাহান আলী কালু পাটোয়ারী জানান, মধ্য মদনা গ্রামে বাল্য বিয়ের ঘটনা জানতে পেরে তাৎক্ষণিক পুলিশকে অবহিত করা হয়। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের সাথে ম্যানেজ হয়ে ফিরে চলে যায়। এ কারণে বাল্যবিয়ে বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। রক্ষক যদি ভক্ষকের ভূমিকা পালন করে তাহলে কী করার আছে। আমরা জনপ্রতিনিধি হিসেবে খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করি কিন্তু তারাই সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ। এই বিয়ে যদি ইউনিয়ন কাজীর মাধ্যমে হয়ে থাকে তাহলে দেশের প্রচলিত আইনে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মনে করছি।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন কাজী সাইদুর রহমান ও তার সহযোগী ইসমাইল কাজীর মুঠোফোনে ফোন করে রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মডেল থানার এসআই আবু কালাম জানান, ইউনিয়নের জনৈক ব্যক্তি ফোন করে বাল্যবিয়ের ঘটনাটি পুলিশকে অবহিত করে। তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় বিয়ে কাজ পূর্বে সম্পন্ন হয়েছে। তাই ওসি সাহেবের নির্দেশে তাদের নাম ঠিকানা লিপিবদ্ধ করে সেখান থেকে চলে আসি।

Powered by themekiller.com