Breaking News
Home / Breaking News / চাঁদপুর চান্দ্রায় জেলেদের চাল নিয়ে দুর্নীতির ঘটনায় অভিযোগ, তদন্তে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

চাঁদপুর চান্দ্রায় জেলেদের চাল নিয়ে দুর্নীতির ঘটনায় অভিযোগ, তদন্তে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২ নং চান্দ্রা ইউনিয়নে জেলে পরিবারের জাটকা চাল নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন জেলেরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চান্দ্রা ইউনিয়নের বাখরপুর গ্রামের জেলে ছানাউল্লাহ খা বাদী হয়ে অভিযোগটি দায়ের করেন।
অভিযোগ পাওয়ার পরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ চালের দুর্নীতির ঘটনায় সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সুদীপ ভট্টাচার্যকে প্রধান করে তদন্ত টিম গঠন করেন।
জেলেদের চাল কম দেওয়ার বিষয়ে সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন।

চাল নিয়ে দুর্নীতি ও চাল চুরির অপরাধী অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান খানজাহান আলী পাটোয়ারী ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করার চেষ্টা চালাতে দেখা যায়।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজের সাথে দেখা করতে গেলে ইউপি চেয়ারম্যান খানজাহান আলী কালু পাটোয়ারীকে চাল কম দেওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ও যেসব জেলেদের চাল কম দিয়েছে তাদেরকে বাকি চাল দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান খানজাহান আলী কালু পাটোয়ারী জানান, জেলেদের যে পরিমাণ চাল বরাদ্দ হয়েছে সেই পরিমাণ চাল সিএসডি গোডাউন থেকে আনার সময় তারা কম দিয়েছে। এই কারণে জেলেদের চাল ৩৩ কেজি করে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাটি সমঝোতার চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ জানান, জেলেদের চাল কম দেওয়ার ঘটনায় জেলেরা অভিযোগ করেছে। তাই তদন্ত টিম গঠন করে সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তাকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন আসার পরই ঘটনার সত্যতা প্রমাণ পেলে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২ নং চান্দ্রা ইউনিয়নে জেলেদের জাটকার চাল কম দেওয়ার ঘটনায় বুধবার শতাধিক জেলেরা একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ করে।
জেলেদের ৪০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও চান্দ্রা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খান জাহান আলী কালু পাটোয়ারী প্রতি জেলেকে ৩১ থেকে ৩২ কেজি চাল দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী জেলেরা।
১৯৫৮ জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ ২ কিস্তির চাল একসাথে মঙ্গলবার সকাল থেকে দেওয়া শুরু হয়। প্রতি জেলেকে একসাথে দুই কিস্তির চাল নিয়ম অনুযায়ী না দিয়ে তাদেরকে ৬২ থেকে ৬৪ কেজি চাল দিলেও বাকি ১৪ থেকে ১৬ কেজি চাল কম দেওয়া হয়।
জেলেদের চাল নিয়ে দুর্নীতি ও প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষ টাকার চাল আত্মসাৎ করার কারণে ইউপি চেয়ারম্যান খান জাহান আলী কালু পাটোয়ারী বিরুদ্ধে জেলেরা বিক্ষোভ করেন। অবশেষে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু পাটোয়ারী ইউনিয়ন যুবলীগের নেতৃবৃন্দ সহ অন্যান্যরা চাল কম দেওয়ার কারনে বাধা দেন ও তীব্র প্রতিবাদ করেন। এই ঘটনা তাৎক্ষণিক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হলে চাল দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়।

Powered by themekiller.com