Breaking News
Home / Breaking News / চাঁদপুর চান্দ্রা ইউনিয়নে জাটকার চাল নিয়ে দুর্নীতি জেলেদের বিক্ষোভ

চাঁদপুর চান্দ্রা ইউনিয়নে জাটকার চাল নিয়ে দুর্নীতি জেলেদের বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২ নং চান্দ্রা ইউনিয়নে জেলেদের জাটকার চাল কম দেওয়া নিয়ে বিক্ষোভ করেছে শতাধিক জেলেরা। চাল নিয়ে দুর্নীতি করার কারণে অবশেষে চাল দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয়রা।
জেলেদের ৪০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও চান্দ্রা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খান জাহান আলী কালু পাটোয়ারী প্রতি জেলেকে ৩১ থেকে ৩২ কেজি চাল দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী জেলেরা।
১৯৫৮ জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ ২ কিস্তির চাল একসাথে মঙ্গলবার সকাল থেকে দেওয়া শুরু হয়। প্রতি জেলেকে একসাথে দুই কিস্তির চাল নিয়ম অনুযায়ী না দিয়ে তাদেরকে ৬২ থেকে ৬৪ কেজি চাল দিলেও বাকি ১৪ থেকে ১৬ কেজি চাল কম দেওয়া হয়।
জেলেদের চাল নিয়ে দুর্নীতি ও প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষ টাকার চাল আত্মসাৎ করার কারণে ইউপি চেয়ারম্যান খান জাহান আলী কালু পাটোয়ারী বিরুদ্ধে জেলেরা বিক্ষোভ করেন। অবশেষে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু পাটোয়ারী ইউনিয়ন যুবলীগের নেতৃবৃন্দ সহ অন্যান্যরা চাল কম দেওয়ার কারনে বাধা দেন ও তীব্র প্রতিবাদ করেন। এই ঘটনা তাৎক্ষণিক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হলে চাল দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়।

করোনাভাইরাস এর দ্বিতীয় ধাপে ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব এর মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার জেলেদের চাল বিতরণ করা হয়। চাল নিতে আসা জেলেরা সারিবদ্ধ ভাবে লাইনে বাড়লেও সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখা ও তাদের মুখে মাক্স না থাকার কারণে অনেকের মাঝে করোনা ছড়ানোর সম্ভাবনা দেখা দেয়।

জেলেরা অভিযোগ করে বলেন, মার্চ এপ্রিল দুই মাস নদীতে মাছ ধরা বন্ধ থাকা সত্ত্বেও জেলেদের প্রতি মাসে জাটকার চাল নির্ধারিত সময় দেওয়ার কথা থাকলেও ইউপি চেয়ারম্যান এবছর অভয়াশ্রম শেষ হওয়ার পরে দুই কিস্তির চাল একবারে দেওয়া শুরু করে। প্রতি জেলেকে ১৪ থেকে ১৬ কেজি চাল কম দিয়েছে। চাল কম দেওয়ায় জেলেরা বিক্ষোভ করে ও হত দরিদ্র অসহায় জেলেদের জাটকার চাল নিয়ে দুর্নীতি করার কারণে প্রতিবাদ জানায়।
এ ঘটনায় সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজিম দেওয়ান জানান, জেলেদের জাটকার চাল কম দেওয়ার কোনো বিধান নেই প্রতি জেলেকে ৪০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে চান্দ্রা ইউনিয়নে চাল কম দেওয়ার অভিযোগ জেলেরা করেছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছি।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ জানান, জেলেদের চাল কম দেওয়ার বিষয়ে তারা অভিযোগ করার কারণে চাল দেওয়া আপাতত বন্ধ রয়েছে। প্রতি জেলেকে ৪০ কেজি করে চাল দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। চাল কম দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। জেলেদের চাল কম দেওয়ার বিষয়টি তদন্ত করে প্রমাণিত হলে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Powered by themekiller.com