Breaking News
Home / Breaking News / রোজা রাখার ভাতের ব্যবস্থা নেই পরিবারের, গণপরিবহন চালুসহ তিনদফা দাবিতে জামালপুরে স্মারকলিপি প্রদান

রোজা রাখার ভাতের ব্যবস্থা নেই পরিবারের, গণপরিবহন চালুসহ তিনদফা দাবিতে জামালপুরে স্মারকলিপি প্রদান

নিপুন জাকারিয়া:—

রোজা রাখার জন্য খাদ্যের ব্যবস্থা নেই পরিবারে, বৃ্দ্ধ পিতা-মাতা সহ পরিবারের সবাই নির্বাক।
গণপরিবহন চালুসহ তিনদফা দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে জামালপুর জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন।

দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসক মোর্শেদা জামানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

স্মারকপিলি প্রদানে উপস্থিত ছিলেন জামালপুর জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাহবুব আনাম বাবলা, সাধারণ সম্পাদক মো. মসিউর রহমান বাবু ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. ছানোয়ার হোসেন ছানুসহ শ্রমিক নেতৃবন্দ ।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসে সীমাহীনভাবে সংক্রমণ ও মৃত্যুরহার বৃদ্ধি পাওয়ায় জীবন বাঁচানোর জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে। আমাদের দেশেও সরকার কর্তৃক লকডাউন ঘোষনা করা হয়। আমরাও লকডাউনের বিরোধীতা করছিনা। চলমান লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিল্প প্রতিষ্ঠান, শপিং মল, বাজার, অফিস, আদালত শিথিল করা হয়েছে। গণপরিবহন বন্ধ করার কথা থাকলেও লক্ষ করা যাচ্ছে যাত্রী সাধারণ অটোরিক্সা, কার, মাইক্রোবাস, মিনিট্রাক এবং নদীপথে স্প্রীটবোড, ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী, অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে যাতায়াত করছে। অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলাচল মোটেও নিরাপদ নয়। এ সকল যানবাহনে যাত্রী সাধারণ দূর-দূরান্তে চলাচলের ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। অন্যদিকে যাত্রীদের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করেও নানা হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। গণপরিবহণ ব্যতিত সড়ক পথে সকল যানবাহন চলছে। গণপরিবহণ শ্রমিকদের ৭০ লাখ পরিবার বর্তমানে অভুক্ত অবস্থায় জীবন যাপন করছে। এমতাবস্থায় তিনটি শর্ত সাপেক্ষে গণপরিবহণ চলাচলের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।

শর্তগুলো হলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন ও পণ্য পরিবহন চলাচলের ব্যবস্থা গ্রহণ, সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের আর্থিক অনুদান ও খাদ্য সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং টার্মিনাল গুলোতে শ্রমিকদের জন্য ১০ টাকা কেজি ওএমএস এর চাল বিক্রির ব্যবস্থা গ্রহণের স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়।

যানা যায়, স্মারকলিপি প্রদানের দুই দিন আগে জামালপুরের বাস শ্রমিকরা কেন্দ্রিয় কার্মসূচী অংশ হিসাবে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

স্থানীয় শ্রমিকদের অনেকেই প্রতিবেদক জানান, আমরা পরিবহনে কাজ করে দৈনিক শ্রমিক হিসাবে জীবিকা নিরবাহ করি। এখন এই রমজানে পরিবারের মুখে নূন ভাত তুলে দিতেও কষ্ট হচ্ছে। অন্য এক শ্রমিক জানান, আমার ঘরে ৮ বছরের শিশু, বৃদ্ধ বাবা-মা সবাই রোজা করে, আমি সেহেরি ও ইফতারে তাদের মুখে ডাল-ভাত তুলে দিতে পাচ্ছি না। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে এক বাস শ্রমিক চা দোকানে বসে ছিল, তার পাশে গিয়ে বসতেই, দু,চোখে তার অঝড় ধারে কান্না লুকানোর চেষ্টা, বুজতে বাকী রইলো না, যে মানুষটার সাথে দেখা হলেই প্রথমে চা খাওয়াতে ব্যস্থ হয়, সেই মানুষটা আজ পরিবারের জন্য চাল নিয়ে, বাড়ী যাবে, লগডাউনের কারনে, সে পথটা বন্ধ হয়ে রয়েছে। সিমিত পরিসরে সহ কিছু যেহেতু সচল রয়েছে, কান্না লুকানো এই পরিবহন ভাইদের বাচাঁনোর জন্য সকারের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি। জয় হোক মানবতার, জয় হোক পরিবহন শ্রমিকদের।

Powered by themekiller.com