Breaking News
Home / Breaking News / লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসার পথ খোঁজা হচ্ছে

লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসার পথ খোঁজা হচ্ছে

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
লকডাউন বা কঠোর নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থার কারণেই দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ নিচে নেমে এসেছে। তবে লকডাউন দীর্ঘমেয়াদি কোনো সমাধান নয়। এ ক্ষেত্রে দেশে করোনা সংক্রমণ থেকে সুরক্ষায় লকডাউন পরিস্থিতি থেকে ধাপে ধাপে বেরিয়ে আসার পথ খুঁজছে সরকার। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে মাস্ক ব্যবহার,স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, শারীরিক দূরত্ব ও টিকা নিশ্চিত করাকে। সেই সঙ্গে গণপরিবহন, পর্যটন, সভা-সমাবেশ, সামাজিক আয়োজন আরো কিছুদিন বন্ধ রাখার কথাও বলা হচ্ছে।
গতকাল রবিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সিটি করপোরেশন ও বিভিন্ন সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল বৈঠকে আলোচকরা এসব বিষয় তুলে ধরেন। বৈঠকে লকডাউনের সময় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমজীবী ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জরুরি সামগ্রী বিতরণেরও আহ্বান জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। আরো অংশ নেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, মন্ত্রিপরিষদসচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, অন্যান্য জ্যেষ্ঠ সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিভিন্ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও বিশেষজ্ঞরা। বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষের বেপরোয়া চলাফেরার কারণে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ তৈরি হয়েছিল, অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সরকারের কঠোর ব্যবস্থার কারণে এখন সেই সংক্রমণ অনেক নিচে নেমে এসেছে। পাশের দেশে যে অবস্থা চলছে, সেটা যদি বাংলাদেশে হয় তবে সামাল দেওয়া যাবে না। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা ও লকডাউন বাস্তবায়নে এবং কালোবাজারি, মজুদদারি ও অহেতুক পণ্যের দাম বাড়ানো রোধ করার জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেও জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করতে ডিএনসিসি এলাকার কয়েকটি কাঁচাবাজার পাশের সুবিধাজনক মাঠ বা উন্মুক্ত জায়গায় স্থানান্তর করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় নগর সংস্থাটির পক্ষ থেকে জনকল্যাণমূলক সর্বাত্মক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

Powered by themekiller.com