এখন আর গা জ্বলে উঠেনা,
এম. আর হারুন
……………………………
আপনের কাছ থেকে দুঃখ পেতে পেতে
সহ্য হয়ে গেছে দেহের মাংশপিন্ড
আঘাতের পর আঘাত
কতইবা সহ্য করা যায়।
ঘর ছাড়লাম, বাবার ভিটে মাটি ছাড়লাম
তারপরও যেনো দুঃখরা আমার পিছু ছাড়েনা
আমিতো কবেই পর হয়ে গেছি।
পৈতৃক ভিটেমাটিতে ঘরের জানালা খুলে
বৃষ্টির খেলা দেখতাম,
হাঁসের দল উঠোনের মাটি খুঁড়ে নাচতো,
কাগজের নৌকা ভাসিয়ে দিতো
পাঁচ কিংবা ছয় বছরের শিশু।
এখন আর মনে পড়ে না ইতিহাস
যাদের নিয়ে সংসারের সব দায়িত্ব পালন করতাম,
একটু সন্মানের আশায়,
একটু ভালোবাসায় আশায়,
তাদের কাছে পেলাম না সুখ।
কোথা থেকে একটা ঝড় আসলো
ভেঙ্গে চুরে চুরমার করে দিলো
আমার উপরে উঠার সিঁড়ি।
এটা ভুল করে কেউ করেনি
নিজের স্বার্থের কারনে,
নিজেও শেষ হয়েছে আমাকে শেষ করেছে।
আমি এখন পর হয়ে গেছি
আমাকে ব্যবহার করেছে আপনজনরা,
লুটেপুটে খেয়েছে আমার কষ্টের অর্থ।
স্বার্থের জন্য সন্মান দেখিয়েছে,
আমি এখন বুজি।
কিন্তু আমার যে সব শেষ,
সন্মান নেই, শ্রদ্ধা নেই,
অথচ তারাও ভালো নেই।
নিজের কথাই বলি,
ঘরের মানুষ যদি অতি চালাক হয়
মানুষের কান কথা শুনে বিদ্রুপ সৃষ্টি করে,
এক সময় তারও ভুল ভাঙ্গবে
আমি সে অপেক্ষায় থাকলাম।