ওরা যৌনকর্মী তাই..
এম আর হারুন
————-
মানুষে মানুষে ভেদাভেদ তুলে ধরে যারা
তাহলে কি ওরা মানুষ
লাশ কাঁধে নাও, দাফন করো
জানাজা পড়াও
মাটি চাপা দাও
ওরা ঘৃনিত মানুষ নও
ওরা জন্মেজে কোনো না কোনো
নারীর গর্ভে, লালন পালন হয়
ঐ মায়ের কোলে
আদর সোহাগ ভালোবাসার কমতি ছিলোনা
তাহলে তারা কেনো অবহেলিত।
আজ ওরা সমাজের কাছে অবহেলিত নারী
পুরুষের ভোগের শিকার
তারপরও ওদের মন আছে
ওদের সন্মান আছে
ওরা মুসলমান কিংবা বিধর্মী হতে পারে
কিন্তু ওদের কাছে যারা রাত কাটায়
তারা কি কখনো জানতে চেয়েছে
ওদের শিশু কালের ইতিহাস
ওদের হাসি কান্না কিংবা সুখের বারতা
না জানতে চায়নি।
রাত পোহালে টাকা দিয়ে ফিরে আসে
কেউ কি নিয়েছে খোজ
কেউকি নিয়েছে আাগামীর ভাবনা
কেউ কি নিয়েছে ওরা কতকাল বাঁচবে
অথবা কতকাল এ পথে জীবন কাটাবে।
ওরা আসে টাকার বিনিময়ে রাত কাটাতে
সুখের পর সুখ নিতে
দেহটাকে লেলিয়ে খায় দু চার ঘন্টা।
পেটের দায়ে ওরা সমাজচ্যুত হয়
পেটের দায়ে হাত বদলায়
পেটের দায়ে নীরবে সহ্য করে বিবর্ন
এমন কেনো হয় বলো।
কেউতো মায়ের পেট থেকে শিখে আসেনা
ওরাতো অমানুষের শিকার হয়ে
এ পথে পা বাড়িয়েছে
তাহলে কেনো ওদের জানাজা হবে না
কেনো তারা কবস্থানে ঠাঁই পাবে না
কেনো তারা অবহেলার মানুষ হিসাবে
পৃথিবীর মাঝে নিজস্ব অনুভুতি প্রকাশ করতে
পারেনা।
মানুষ নামে অমানুষ গুলো এ পথে কেনো
ডেকে এনে বারবনিতা তৈরী করে।
ইমাম সাহেব জানাজা দিতে চায়না
মানুষ নামে অমানুষ গুলো কাঁধে তুলেনা
মসজিদে পরে থাকা চার খুটির পালকিতে
চড়তে দেয়না ওদের
কারন ওরা যৌনকর্মী।
এমন পরিস্থতি কেনো ওদের জীবনে
ঘোর অন্ধকার হয়ে আসে
ওরাওতো মানুষ, গর্ভধারনি,
কারো মা কিংবা কারো বোন
কারো ভোগ লীলায় রাতের সঙ্গী
কারো আপনের চেয়ে আপন।
আমি বলি, আজকের সমাজ ধৃত অশান্তি
মুল্যায়নের দিকে নিজের স্বার্থ খুজে
রাতের গহীনে কতইনা আপন হয়ে উঠে
দিবালোকে ওরা ঘৃনিত বলে গালমন্দ করে
কেউ বলে মাগী, কেউ বলে অশভ্য
আবার কেউ বলে পাপিষ্ঠ নারী।
আমার জ্ঞান ধারনায় আমরাই মানুষ না
আমাদের মধ্যে মুল্যবোধ নেই
আমরাই স্বার্থপর, আমরাই ভোগ বিলাসী
আমরাই চোখের পলকে পাল্টে যাই
আমরাই অমানুষ, ওরাতো মানুষ
এক থেকে একশ পুরুষের বিছানা সঙ্গী
কিন্তু ওরা যৌনকর্মী।
ওদেরও মাটি আছে, ধর্ম আছে, ইবাদ আছে
তাই বলে ঘৃনা নয়, ওদের প্রাপ্য
আমরা সচেতন মানুষ ফিরিয়ে দিতে পারি
ভোগ বিলাশ নয়।
মানুষের উপর মানুষ সত্য, এই উপমায়..