অনলাইন ডেস্ক :গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ১৭ নং ওয়ার্ডের চান্দনা এলাকার একটি মাদ্রাসায় মঙ্গলবার ভোরে জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে। নিহতরা হলেন হুফফাজুল কোরআন মাদ্রাসার পরিচালক মো. ইব্রাহিম খলিলের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (২১) ও মাদ্রাসার নুরানী বিভাগের ছাত্র মো. মামুন (৮)।
বাসন থানার ওসি মো. মুক্তার হোসেন জানান, মঙ্গলবার সকালে চান্দনা এলাকায় জোড়া খুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। মাদ্রাসার পরিচালক মো. ইব্রাহিম খলিলের বসত ঘরে লাশ দুইটি পড়েছিল। মাহমুদার গলায়, গালে ও কানে এবং মামুনের ঘাড়ে, মাথায় ও পিঠে ধারোলো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘরের ভেতর থেকে রক্তমাখা একটি দা ও দা ধার দেয়ার কাজে ব্যবহৃত একটি কাঠের খণ্ড উদ্ধার করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, প্রায় দুই বছর ধরে ইব্রাহিম ওই কোর-আন হেফজ’র মাদ্রাসা পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছেন। মাদ্রাসার একটি কক্ষেই সপরিবারে বাস করতেন তিনি। তিনি নিজেও ছাত্রদের কোরআন শিক্ষা দেন।
ইব্রাহিম জানান, মঙ্গলবার ভোরে স্ত্রী মাহমুদা এবং তার দুই সন্তান হুযায়ফা (৫) ও আবু হুরায়রাকে (৩) বসত ঘরে রেখে তিনি পাশের মসজিদে ফজরের নামাজ পড়ার উদ্দেশে বের হয়ে যান। নামাজ শেষে ঘরে ফিরে বিছানার উপর স্ত্রী মাহমুদা এবং দরজার কাছে মামুনের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। এ বিষয়ে তিনি আর কিছুই জানেন না।
বাসন থানার অপর কর্মকর্তা এসআই আল আমিন মাদ্রাসার ছাত্র সাব্বিরের বরাত দিয়ে জানান, ‘সোমবার রাতে হুজুরকে (ইব্রাহিমকে) উদ্ধার হওয়া দা টি ধার দিতে দেখেছে। আর মঙ্গলবার ভোরে ফজরের নামাজে যাওয়ার আগে সাব্বিরকে দিয়ে নিহত মামুনকে মাদ্রাসার অন্য কক্ষ থেকে হুজরের কক্ষে ডেকে পাঠায়।’
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমান মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় ঘটানাস্থল পরিদর্শন।করেছেন।