হাইমচর অফিস ঃ
হাইমচরে এ কেমন নির্মমতার শিকার হলেন আড়াই বছর বয়সী শিশু তাহহিদ ইসলাম শিহাব। যাদের নির্মম আঘাতে অচেতন হয়ে বর্তমানে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে শিশুটি। কয়েক ঘন্টা পর তার জ্ঞান ফিরে এলেও মাথায় প্রচন্ড আঘাতের কারনে তার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে। একই সাথে তাদের মারধরের শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন শিশুর মাতা শাহিদা বেগম (৩২)। ১৩ নভেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাইমচর উপজেলার চরভাঙ্গা গ্রামের গাজী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশু ওই বাড়ির বিল্লাল হোসেনের ছেলে।
আহত শাহিদা বেগম জানান, ঘটনার ১৫ দিন আগে পার্শ্ববর্তী বাড়ির ইসমাইল কাজীর মেয়ের ঘরের শিশু নাতীর সাথে খেলাধুলা করতে গিয়ে তার সন্তান তাহহিদের সাথে মারামারি হয়। শিশুদের ওই ঝগড়াকে কেন্দ্র করে একসময় সে ঝগড়া বড়দের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। আর তাদের উভয় পক্ষের সে ঝগড়া বিবাদ মিমাংসা করার জন্য স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা শালিস বৈঠক করেন। তারা জানান, বৈঠকে সিন্ধান্ত হয় শিশুরা যাতে একজন অন্যজনের ঘরের কাছে গিয়ে খেলাধুলা বা ঝগড়া বিবাদ না করতে পারে সেজন্য তারা যেনো তাদের বাড়ির সীমানায় বেড়া দিয়ে রাখেন। তার প্রেক্ষিতে ক,দিন আগে শাহিদা বেগমের পরিবারের লোকজন তাদের বাড়ির আঙিনায় টিন দিয়ে বেড়া দিলে, ঘটনার দিন সকালে প্রতিপক্ষের লোকজন সে বেড়া ভেঙ্গে উপরে ফেলে দেয়। আর সেগুলো স্থানীয়দের দেখানোর জন্য তারা চুপচাপ থাকেন। তাদের অভিযোগ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আহত শাহিদা বেগমের ভাতিজি রাস্তা দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় নাসির কাজীর স্ত্রী সালমা বেগম তার পথ প্রতিরোধ করে তাকে মারধর করতে দেখে শাহিদা বেগম তাকে ছাড়ানের জন্য এগিয়ে যান। তখন সালমা বেগম কাঠ, বাঁশ দিয়ে শিশু তাহহিদের মাথায় আঘাত করে। একই সাথে ইসমাইল কাজীর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম এবং নাজির কাজীর স্ত্রী নাসিমা বেগমও তাদের মা ছেলেকে এলোপাতারি ভাবে আঘাত করেন। তাদের এমন নির্মম আঘাতে শিশু তাহহিদ জ্ঞান হারিয়ে ফেললে, বাড়ির অন্যান্য লোকজন তাদের মা ছেলেকে সেখান থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। ঘটনার পর থেকে প্রায় ৫/৬ ঘন্টা পর তার জ্ঞান ফিরেছে বলে জানিয়েছেন তার পিতা বিল্লাল হোসেন। তিনি জানান, এ বিষয়ে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে হাইমচর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ব্যপারে তিনি সুবিচারের জন্য পুলিশ প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।এ বিষয়ে হামলাকারীদের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে বেশ ক বার কল দিয়েই তাদেরকে পাওয়া যায়নি।