উষ্ণ পরশে
নিস্তেজ হয়ে আসা রাতের কোলে ঘুমন্ত ভোর – চেয়ে আছি একটু উষ্ণতার জন্য,
হায় শ্রাবণের মেঘ কেন এতো নিরুত্তাপ তুমি – একটা সূর্য উঠুক এবার – আমি সূর্য স্নানে প্লাবিত হই একবার আবার।
হিম হয়ে আসা আমার আপাদমস্তক – চেয়ে থাকা আমার হৃৎপিণ্ড একটু উষ্ণ মরুভূমির ঝড়ের কাঙাল,
আমাকে সে ঝড়ের তান্ডবে মাতাল হওয়ার স্বর্গ সাধ দাও- আমি পৃথিবীর শ্মশান নীরবতা ভেঙে – আবার পাখিদের কলতানে মুখরিত করি।
বয়ে যাক পাথরের বুক চিরে ঝর্ণা ধারা – আমি পাথুরে পথে পথে ফুল ফোটাই আরও একবার,
প্রিয়- প্রিয় আমার হেঁটে যাক সে পথে – মন পবন বাঁশির সুরে আবার কোকিলের কন্ঠে বসন্ত নামুক।
মন বলে সুখের আয়নায় দেখো লজ্জা রাঙা আকাশ জুড়ে আজ আনন্দ অবগাহনে সূর্য ওঠেছে,
আমি শিশির সিক্ত ঘাসের ডগায় দেখলাম – সাদা ঘাসফুলে মন ভ্রমরের মুখ – আলত পরশে উষ্ণতা ঢেলে দিলাম।
ভালোবাসার নদীতে তখন স্নিগ্ধ ঢেউ – কূল খুঁজে পেলো পালা ছেঁড়া নৌকা,
আমি ভেসে গেলাম শ্রাবণ পেরিয়ে – শরৎ সাজের আকাশে – সেখানে এখন নানা রঙ ভালোবাসার বন্ধনে চন্দ্রমল্লিকার সুঘ্রাণ ।