মফিজুল ইসলাম বাবুল,কচুয়া:
কচুয়া উপজেলায় বন্ধ হচ্চে না ভুমি দুস্যদের তান্ডব লীলা। সম্প্রতি এ নিয়ে গনমাধ্যম কর্মীরা একাধিক সংবাদ প্রকাশ করলেও দেখা যায়নি প্রশাসনের বড় কোন ভূমিকা। উপজেলার সর্বত্রে চলছে ভূমি দস্যুদের ভেকু দিয়ে আবাদি ফসলি জমি ও বিভিন্ন কৃষি জমির প্রজেক্ট থেকে মাটি কাটার মধ্যে অবৈধ ট্রাক্টর ও হাইড্রলিক পিকআপ গাড়ি চলাচলে কাঁচা পাকা সড়ক চুর্ণ বিচুর্ণ হয়ে যাচ্ছে। দেখার যেন কেউ নেই। এ প্রতিনিধি সম্প্রতি থেকে তথ্য সংগ্রহে ঘুরে-ফিরে দেখতে পায় কচুয়া-গৌরিপুর সড়কের মধ্যখানে কচুয়া উপজেলার ৪নং পালাখাল মডেল ইউনিয়নের বাছাইয়া ব্রিকফিল্ড নামক সড়কের পূর্বপাশে বিশাল কৃষি জমির মাঠের প্রজেক্ট থেকে দীর্ঘদিন যাবত ভেকু দিয়ে কতিপয় ভূমিদসু্যুরা প্রকাশ্যে ও রাতের অন্ধকারে মাটি কেটে অবৈধ ট্রাক্টরের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। একই ভাবে কড়ইয়া, গোহট উত্তর, গোহট দক্ষিন, আশ্রাফপুর ইউনিয়ন সহ উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়ন গুলোতেও চলছে ভূমিদস্যুদের এ রমরমা ব্যবসার তান্ডব। এ
দিকে পালাখাল মডেল ইউনিয়নের রুস্তম আলী ডিগ্রি কলেজ সড়ক গেইটের পূর্ব পাশে একটি বিশাল কৃষি জমির মাঠের মধ্যখানে চলছে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলন।
বিষয়টি পালাখাল মডেল ইউপি চেয়ারম্যান হাবীব মজুমদার জয় নিশ্চিত করে বলেন-আমার ইউনিয়ন সহ পাশাপাশি অন্যান্য ইউনিয়ন গুলোতে মাটি কেটে অবৈধ ট্রাক্টর ও ড্রেজারে মাটি উত্তোলনের মধ্যে কৃষি জমি বিনষ্ট করে আসছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আছে এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। কিন্তু কিছু লোক এ নির্দেশনা অমান্য করে ভেকু ও ড্রেজার দিয়ে মাটি কেটে কৃষি জমি বিনষ্ট করে যাচেছ। আমরা জনপ্রতিনিধিরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
কচুয়া উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ সোফায়েল হোসেন বলেন-সম্প্রতি লক্ষ্য করা গেছে কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন বাড়ির মাটি ভরাট ও ব্রিকফিল্ড সহ অন্যান্য ডেভেলপমেন্ট তৈরি করার জন্য মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যা এটি একটি ক্ষতিকর ও আত্মঘাতি কাজ। একজন কৃষক কৃষি মাঠ থেকে মাটি বিক্রি করলে, পাশাপাশির জমির কৃষকরাও মাটি বিক্রি করতে বাধ্য হচেছ। কৃষকরা যেন মাটি না বিক্রি করে, সে জন্য আমরা প্রচার-প্রচরনা চালিয়ে যাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে আমরা উপজেলা প্রশসানেরও সহযোগিতা চাচ্ছি এদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে যেন এসব বন্ধ করা হয়। যদি এসব মাটি বিক্রি বা মাটি কাটা বন্ধ করা না হয়, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে যতই সার কীটনাশক ব্যবহার করি না কেন, আমাদের আবাদি জমি গুলো অনাবাধি হয়ে পড়বে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: নাজমুল হাসান জানান, আমরা যেখানে অবৈধভাবে মাটি কাটার খবর পাচ্ছি, সেখানেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এবং তা চলমান রয়েছে।