Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

আমায় প্রশ্ন করে
—–

এক চিলতে রোদ ছুঁয়ে ঠিকই গহীন গভীর পদ্য লিখো
তেমন করে কবে বলো ছুঁয়েছিলে হৃদয় আমার
অকথিত কথারা সব সেই ঠিকই তো উঠে এলো
শব্দ বাক্যে এমন করে নিটোল আমায় ডাকোনি তো

বুঝোনি তো পাথর চাপা বুকের ভেতর
লকলকিয়ে বেড়ে উঠা লতার মতন
অদ্ভুত এক পাথরকুচি সূর্যমুখী ফুলের মতোই
বর্ষা শেষের মেঘের ভেতর ডমরু ডাকের দ্রিমিদ্রিমি বেজেছে কী ভীষণ রকম

অথচ ঠিক এই তুমিই জলের ভেতর ফাঁতনা কাঁপা মাছেদের দুখ
চাড় মাখানো বড়শিতে যেই উঠিয়ে নিলে নিপুণ হাতে
বয়সী সব বর্ণমালায় কী নিদারুণ ঢেকে দিলে আঁশটে গন্ধ নিবিড় শরীর
বলো তো ঠিক কবে আমায় তেমন করে ছুঁয়েছিলে, চেয়েছিলে কখনো কী ঠিক কতটা পূর্ণতাতে

একটা আকাশ ঝলসে দেয়া আলোয় ঠিকই নিচ্ছ জেনে
গভীর কিছু অসুখ সুখ আর আজন্ম সব সলজ্জ সাধ

আমারও যে এরকমই একটা কিছু থাকার ছিলো, আছে কিম্বা থাকতে পারে, হোক একান্তই ব্যক্তিগত

তোমার কিছু শব্দ বাক্য বলো তো ঠিক কতটা এই আমায় চেনে!
——————————————–

প্রকাশকাল-১৮/১২/২২

ওরফে “শান্তি দেবী” বলছি-
_____________________নুপুর বিশ্বাস

আমরা সবাই কি জাতিস্মর?
আমিও কি তবে,তাই?
কালের অতল থেকে বেরিয়ে আসা
কোন এক “লুগোডি”
ওরফে “শান্তি দেবী”?
জন্মান্তরবাদ তাইতো বলে,
আর তাইতো বুঝি-
যাপিত জীবনের ফাঁকে ফাঁকেই
স্বপ্নের ঘোরে আবছাভাবে
ঝাপসা হয়ে যাওয়া ধূসর স্মৃতিগুলো
মাঝে মাঝেই স্পষ্ট হয়ে ওঠার জন্য
প্রাণপন যুদ্ধ করে।

তাইতো মাঝে মাঝেই-
কোন অপরিচিত মানুষ
অথবা জায়গাকে
হঠাৎই খুব চেনা মনে হয়,
কিছু কিছু ঘটনা দেখলে মনে হয়
এটা যেন প্রথমবারে নয়,
আগেও ঘটেছে এমন ঘটনা বহুবার,
বর্তমানে যা ঘটছে তা যেন সিকুয়েন্স,
সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি,
আর তাইতো সিন্ধু নদের অববাহিকায়,
সুমেরীয় অথবা ব্যাবিলনীয় সভ্যতায়
নীরবে খুঁজে চলে মন-
আমার হারানো অস্তিত্বকে,
নিজের হারানো অতীতকে।

রহস্যময় নীল জ্যোৎস্নায়
ডুবে যায় রাতের পৃথিবী,
আর আমি ডুবে যাই নিঝুম নিস্তব্ধতায়,
স্মৃতি হাতড়ে হাতড়ে করি রাত কাবার,
গভীর দাগ কেটে যাওয়া কিছু বিস্তৃত স্মৃতি
হয়তো মাথার মধ্যে-
আচমকা চাগাড় দিয়ে ওঠে,
কিছু অস্পষ্ট শব্দ ফুটে ওঠে বোবা ঠোঁটে
কিছু অব্যক্ত যন্ত্রণার গোঙানি ওঠে,
কঁকিয়ে কেঁদে উঠি।

কখনো আবার-
অজানা ভালো লাগায় ভরে যায় মন,
অনুভবে মিশে যাই,
আবারো চোখ বুঁজি-
নতুন কোনো এক জন্ম খুঁজি,
কিছু স্মৃতি বেশ স্পষ্ট,
কিছু বা তার অস্পষ্ট,
হয়তো কিছু কিছু বুঝি না-
আবার হয়তো কিছু বুঝি,
খুঁজি-
তবুও খুঁজি-
হাতড়ে হাতড়ে নিজেকেই খুঁজি ।

রচনাকাল-১৭/১২/২২
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ছবি সংগৃহীত
——————————————–

আমার কাল্পনিক গ্রামের বাড়ি……..
কলমে ______পম্পা
তারিখ___১৮/১২/২০২২

গ্রাম যে আমার ভীষণ প্রিয়। ভালো লাগে মাটির গন্ধ। ইট কংক্রিটের দালান ভর্তি শহরে ,, নাই এত আনন্দ।।
গ্রামের মানুষ সরল কত ,, সাদা সিধে ওদের মন।
জটিলতা বোঝে না ,, মানুষকে করে সহজে আপন।। ফুলগুলি গাছে সুন্দর শোভায় আছে প্রতি ঘরে ঘরে পিতা মাতাকে শ্রদ্ধা করে গ্রামের মানুষ ,,সেবা যত্নও করে।। প্রকৃতি শুধু সবুজ,, নির্মল বাতাস নিশ্চুপ ।
চাষিরা ভোরবেলা জমিতে যায়,, গৃহিণী গৃহের কাজে নিপুন।।
শিশুগুলি ধুলো মাটিতেই মানুষ,, কাটে ওরা নদীতে সাঁতার।। ওদের আবেগগুলি আনন্দে খেলাধুলায় মজে করে চিৎকার ।। গ্রাম খানিতেই করব বাড়ি,, থাকবো চুপচাপ ।। বাড়ির খাদ্যই খেয়ে বাঁচবো শরীর হবে টিপটাপ।।
অনেক বড় বাড়ি হবে,, চারিপাশে ফুল সবজিতে ভরে যাবে।
নিজের হাতে সেগুলি তুলে খাটি জিনিস খেতে পাবো। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হবে,, গ্রামের জল কাদা তাও সহ্য করব ।।
অনেক বড় জায়গা হবে ,, মাঝখানেতে ছোট্ট মাটির ঘর বানাবো ।। তাতে আল্পনায় এঁকে সুন্দর করে সাজাবো ।

চারিপাশে ফুল বাগান,, একটি ডোবা থাকবে সেথায়। মাছ চাষ করবো হেথায় ।। জমি থেকে ধান তুলে এনে নিজে হাতে চাল বানাবো ।। সেই চালেতে শীতকালেতে পিঠেপুলি পায়েস হবে।। জমির থেকে সকল রকম ডালের কলায় তুলে এনে নিজে হাতে ডাল বানাবো।। টাটকা ডালে রান্না হবে ,, সারা বাড়ি গন্ধে ভরে যাবে।। নিজের হাতে নানান রকম পাপড় আর বড়ি বানিয়ে রোদে মেলে শুকোতে দেবো।। হাতে তৈরি চালের গুঁড়ো করে পৌষ সংক্রান্তি পালন করব।। নিজের বাড়ির খেজুর গাছের খেজুর রস উনুনে জ্বাল করে সেই গুড়েতে পায়েস বানাবো।। পরের দিনের বাসি পায়েস মজা করে খাব। কিংবা পয়লা অগ্রানে নতুন ধানের শীষ তুলে এনে নবান্ন উৎসব পালন করব।। আমার বাড়িতে গরু থাকবে অনেক কটি, তাদের মাঠে থেকে ঘাস কেটে এনে নিজে হাতে খাওয়াবো ,, আর জমির টাটকা সবজি খাওয়াবো। ওদের নিজের হাতে দুইয়ে সেই দুধে গো পূজা করে গোপালের ভোগ নিবেদন করব এবং গ্রামের সকল মানুষকে খাওয়াবো ।। এই শীতের মধ্যাহ্নভোজের পর রোদে বসে পিঠ দিয়ে ,, আমি নকশি কাঁথা তৈরি করব ।। কখনো আবার বাড়ির সকলের জন্য সোয়েটার বুনব। বিকেলের পুকুরপাড় থেকে আমার হাঁসগুলি যখন প্যাক প্যাক করতে করতে আসবে আমি ওদের খেতে দিয়ে,, ওদের ঘরে রেখে দিয়ে,, আমার উঠোনে তুলসী তলায় বাতি জ্বালবো আর হরিনাম সংকীর্তন করব।।
——————————————–

“পূর্বসূরীদের আলোর পথ চাই”
/
রোস্তম
/
শুধুই কথাই বললে তার সাথে
মিলিয়ে হাসলে না !
ঐ হাসি
যাতে আকাশের গ্রহ নক্ষত্র খসে পড়ে।
/
তুমি স্টাইল করে ইনিয়ে বিনিয়ে
হেসে মানুষকে মাতিয়ে রাখতে পারো।
হেসে নাও যত খুশি
এর পরে কথার সাথে হাসি নাও আসে পারে।

তোমার হাসি সব সময়ই
কালের চিরাচরিত নিয়মের বিরুদ্ধে
শিশু ও কৈশোরে যা শিখেছিলে
তা সবই মিথ্যে হয়ে গেছে
একটা দুঃচরিত্র,লোভী বদলোক
যার ললাটে জাহান্নামের চিহৃ
তার কথার মায়াজালে পরে !!!
/
তুমি জান ওৎবা’র দ্বিমুখী
ভূমিকার কারনে
তার জীবনের পরিনতি কত কঠিন হয়েছিল
তার বংশধরের প্রতি নাল্লৎ যুগে যুগে চলছে।
/
ওৎবার জীবন ও তার বংশধরের
ধারাবাহিকতা কারো জীবনে আসুক
তা কি কেউ চায় ?
/
যাদের প্রতি নিয়তির নাল্লৎ
তাদের পদাঙ্ক দেখিও না
সহজ সরল জীবন চাও
পূর্বসূরীদের আলোকিত সরল পথে
জীবন কাটাতে চাই।
এই কামনায়, আমিন।
/
তারিখঃ ১৮/১২/২০১৭ ইং
——————————————–

আবেগ চাষী
কলমেঃ মনোয়ার হোসেন।

আমার একটা গোপন মাঠ আছে,
উন্মুক্ত প্রান্তর বলতে পারো।
সেখানে চাষ হয়-
আবেগের চাষ।
রাশি রাশি সোনালী আবেগ।
বসন্তে সবুজ শোভিত –
গ্রীষ্মে ধূসর।

আজকাল মাঠেই থাকি
বীজতলা বুনি,
সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি।
যখন নিকষ কালো অন্ধকার নামে- নিশীথ রাত্রি
মাঠে বিচরণ করি,
ফসলের ক্ষেতে চুম্বন করি
ললাটে আবির রংয়ের লজ্জা আঁকি,
যত্ন করি
রুক্ষ হাতে আদর করি
ভালবাসার গল্প বলি।

এই যে তোমাদের শহরে এতো আবেগ বেঁচি-
সব তার ঐ মাঠ থেকেই নিয়ে আসি।
ওজন ও দামে কখনও করি না বেঈমানী
আমি একজন আবেগ চাষী
বিশ্বাস করো- আমি একজন আবেগ চাষী।
নিজ হাতে বুনে আবেগ বেঁচি-
ধূসর সবুজ সোনালী রাশি রাশি।
——————————————–

কবিতা: শীতের বেলায় ঘরের কাজ
কলমে: আবুল হাসমত আলী
স্বরবৃত্ত ছন্দ:৪+৪+৪+২
তারিখ:১৮/১২/২২
__________________________________________

শীতের হাটটি সেজে আছে_
নানান সবজির সারে,
বাঁধাকপি আর ফুলকপি_
পরে যে নজরে।

টমেটো আর মটরশুঁটি_
আছে অনেক মূলো,
কোনটা তোমার পছন্দ ভাই_
আমায় খুলে বল।

বেগুন, পালং সবার প্রিয়_
বেচাকেনা ভীষণ,
লাউ কুমড়ো তো ছড়াছড়ি_
তাই হাট দৃষ্টিনন্দন।

ছেলে বুড়ো আসে যতো_
হাটটি জমে তত,
তাদের দেখে হেটো সকল_
সবজি বেচতে ব্যস্ত।

“দাদা! কপি কত করে?”
জিজ্ঞেস করে ক্রেতা,
“দশ-পনেরো_ আগে বলুন_
দরকার কোন কপিটা?”

হাটের পাশে ফলের ঝুড়ি_
সুন্দর করে রাখা,
শসা, কলা আঙ্গুর, ডালিম_
কিনতে থাকে ক্রেতা।

এভাবে হয় বেলা দুপুর_
গিন্নি রেগে আগুন,
শান্ত হয় সে যখন দেখে_
তেল চুকচুকে বেগুন।

পরক্ষণে গিন্নি বলে_
কাটো তুমি সবজি,
মাছটি কেটে রান্না করি_
আনি রান্নার সাজি।

এমনি করে কেটে যায় যে_
শীতের ছোট্টবেলা,
কাজের সময় পেরিয়ে যায়
একটু করলে হেলা।
——————————————–

Powered by themekiller.com