Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

স্বাধীনতা তুমি
শ্যামল চন্দ্র ভাওয়াল
(তা–১৬/১২/২২)

স্বাধীনতা তুমি –
সন্তান হারানো মায়ের অশ্রু মাখা হাসি,
স্বাধীনতা তুমি-
বাবার ভালোবাসার ঋদ্ধ চেতনার যুদ্ধের স্তুতি।
স্বাধীনতা তুমি –
শত বাঁধা অতিক্রম করার দুঃসাহসিক গল্প কথা,
স্বাধীনতা তুমি –
কৈশোরের উচ্ছ্বাসের স্বপ্নে গোলকধাঁধা।

স্বাধীনতা তুমি –
তিরিশ লক্ষ শহীদের রক্তের আল্পনা,
স্বাধীনতা তুমি –
চার লক্ষ মা বোনের নির্মম নির্যাতন আর ইজ্জত লুন্ঠনে বেদনা।
স্বাধীনতা তুমি –
নির্মম গনহত্যার প্রতিরোধে আপামর বাঙালির খিপ্র প্রতিবাদ,
স্বাধীনতা তুমি –
রক্তের দামে পাওয়া মুক্তির চির আশীর্বাদ।
স্বাধীনতা তুমি –
হাজার বছরের সুপ্ত আঙ্খার প্রতিফলন,
স্বাধীনতা তুমি
মুক্ত চিন্তা চেতনা গতিরোধের তিব্র আস্ফালন।
স্বাধীনতা তুমি
বন্ধন হারা পথ চলার অনুপ্রেরণা,
স্বাধীনতা তুমি
দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা।
স্বাধীনতা তুমি
মত প্রকাশের মুক্ত আকাশ,
স্বাধীনতা তুমি
নির্মল বাতাসে প্রাণবন্ত নিঃস্বাস।
——————————————–

বোধোদয়
———-
১৬/১২/২০২২ইং।
———*-

প্রিয় এসেছ তুমি
আমায় চিনতে চাও অবেলায়,
মেঘে মেঘে সময় পেরিয়ে গেছে
আমি তো প্রাণ ঠেলে দিয়েছি দূর অজানায়।

মরুর বুকে এখন বৃষ্টি হয় অহরহ
পরিবেশ পাল্টে গেছে মানব কীর্তিতে,
স্বপ্ন সিড়ি আজ বড় অচেনা আমার
আর আবেগ তাড়িত হই না কোন স্মৃতিতে।।

আকাশ ভরা তাঁরা স’বে
জোছনায় প্লাবিত করে ধরাতল,
খসে পড়া তাঁরার হয় মরণ
তাকে মনে রাখে না মুগ্ধতার ছল।।

পাহাড় চিরে ঝর্ণা নামে
গন্তব্য তার কোন এক জলরাশি ,
ঝর্ণা নিজের ঠিকানায় চলে গেলে
তার রূপের বাহাদুরি নাই ভালবাসি।।

মেঘ বলে রোদকে
তোমায় করলাম গ্রাস,
বৃষ্টি বলে মেঘকে
আমি এসে চূর্ণ করব তোমার ত্রাস।।

সবুজের বুকে খরা এলে
মুগ্ধতা নিমিষে হয় বিলীন ,
ক্ষণিকের পৃথিবীতে এত উল্লাস
ভাবে না বিষের বাশী অঙ্গে আনে কষ্ট অচিন।।

কচিপাতা যৌবন পেরিয়ে
পরিণতি শেষ অধ্যায়ে দাড়িয়ে আছে ,
ইচ্ছা পাখি আহত হয়ে ডানা ঝাপটায়
তাই প্রবল চাওয়াার পরও যাবে না কভু অতি কাছে।।

NH Chowdhury Biplob
——————————————–
কবিতা
শিরোনাম =বিজয়া দিবস
কলমে=চন্দনা
তারিখ=16.12.22

বিজয় রথে আশার আলোয়, উড়িয়ে জাতীর নিশান
দুঃশাসনকে রুখে দিতে, চাই প্রতিবাদের ঐক‍্যতান।
এ দেশটা কার? উত্তালা বাংলয় জয় হোক জনতার ।
দেশের বুকে উড়ছে নিশান, রক্তেরাঙা স্বধীনতা
পেয়েছি আমরা স্বাধীন দেশের, বিজয়ী পুণ্য ছাতা ।
যারা জীবন বাজি রেখে, নিয়ে এল বিজয়ের গৌরব
তাদের কষ্টার্জিত জীবনের কথা,এখন কলরব ।
তবুও আজ অনাহারের জ্বালায়, কেন জ্বলছে মানুষ ?
প্রতিরোধ আর প্রতিবাদের রক্ত ঝরছে
অনাহারে অর্ধাহারে মানুষ মরছে ।

বিজয়ের পর যারা নিয়ে এল মুঠায় ভরে ভাত
তাদের হাতে ছিল না কেনো, স্বাধীনতার স্বাদ ?
দেশের যত বীর গুণিজন শত্রুকে নিল চিনে
দেশের মুক্তি পতাকার, প্রতীক নিলাম জেনে ।
রক্ত ঝরানো স্মৃতির গর্বে, গর্বিত সৈনিক
হৃদয় মাঝে রাখবে মনে তাদের দৈনিক।
এমন দিনে দূর হোক যত দুঃখ ভরা ইতিহাস
মুক্তির সংগ্রামি যোদ্ধাদের জানাই হাজার সেলাম
প্রতিটা ঘরে ঘরে হোক, একতা ও সততার সংগ্রাম।
ভাইভাই মিলে এক সাথে,হাতে হাত রেখে গাই বিজয়ের গান
আমরা তোমাদের রক্তের যেন, রাখি যোগ্য সম্মান।।
——————————————–
[মহান বিজয় দিবস ১৬-ডিসেম্বরে
মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের প্রতি জানাই
বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।]

একটি পতাকার জন্যে
মোসলেম উদ্দনি মনির,
।।
একটি পতাকার জন্যে সাত কোটি জনাতার উচ্ছ্বাস,
উত্তাল সমুদ্রের তরঙ্গায়িত ঢেউয়ের মতো –
বিস্ফোরিত হয়েছিল একাত্তরের ৭ মার্চ
মুখরিত হয়েছিল মিছিলে মিছিলে রেসকোর্স ময়দান ;
ইতিহাসের মহানায়ক মুক্তিকামী জনতাকে শোনালেন তাঁর জ্বালাময়ী সঙ্গীত,
সাত কোটি বাঙালির রক্তে মিশে গেল ধ্বনি-প্রতিধ্বনি হয়ে,
শুধু একটি পতাকার জন্যে;
যে পতাকার বুকে আঁকা সবুজের মাঝে রক্ত লাল সূর্য।

উদ্দীপ্ত উজ্জীবিত উত্তাল জনতা পেল বিপ্লবের চূড়ান্ত বীজ মন্ত্র ,
ঘরে ফিরে এলো মায়ের কোলে,
আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে
এ মরণ খেলায় নাও ফিরতে পারি ঘরে
বিহঙ্গ যেমন ব্যাধের কবলে শিকার হয়ে বিহঙ্গীর নীরে।
আশীষ দাওগো মা,
তোমার ছেলে যুদ্ধে যাবে;
পাষানে বেঁধে বুক সন্তানকে করেন আশীষ,
শুধু একটি পতাকার জন্যে।
পঁচিশ মার্চ অসুর তাণ্ডবের বীভৎসতা আরো তেজদীপ্ত করে তোলে
রক্তে ধরে আগুন
শক্তি আসে দ্বিগুণ।
নিরস্ত মুক্তিপাগোল জনতা
শুধু মনের জোরে ঝাঁপিয়ে পরে
নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও পতঙ্গ যেমন আলোর পানে ছুটে চলে।
নয় মাস অপেক্ষা-
১৬ ডিসেম্বর লাল সবুজের পতাকা পত পত উড়ে মুক্ত বাতাসে
ত্রিশ লক্ষ মা আর ত্রিশ লক্ষ পিতা অপলক চেয়ে থাকে
শহীদ সন্তানের শোক ভুলে যায়
শুধু একটি পতাকার জন্যে।
——————————————–
কবিতা: শহীদের স্বপ্ন।
কলমে: তরুণ কুমার ভট্টাচার্য্য।
তারিখ: 16/12/2022

তারপর অবশেষে…
এলো সেই জয়,
হাজার স্বপ্ন দেখা
দিবস বিজয়!
আঁখি জলে বুক ভাসে
এখনও সবার,
অকালে ঝরেছে প্রাণ
লক্ষ হাজার!
দুঃখের বানে ভাসে
হৃদি ভূমি পাড়,
অগণিত মানুষের
লাশের পাহাড়!

আকাশে বাতাসে আজও
তবু হাহাকার,
বিজয় দিবসে লেখা
সেই সমাচার!
তারপর হয়ে গেল
দেশটা স্বাধীন
কিছুটা স্বাধীন আর
কিছু পরাধীন।
হাতে হাত সাথে সাথ
কাজ করা চাই,
স্বাধীনতা ঋণে ঋণী
দেশের সবাই।
অসফল স্বপ্ন‌ যে
আজও আছে পড়ে,
সবাই মিলেই দাও
নব দেশ গড়ে।
বিভেদ দ্বন্দ্ব নয়
মানুষের বেশ,
শহীদের চোখে দেখা
স্বপ্নের দেশ!
——————————————–
কবিতাঃ বহুকাঙ্খিত বিজয় দিবস
কলমেঃ সঞ্জয় বৈরাগ্য
১৬-১২-২০২২
✍️আজ ‘বিজয় দিবস’-এ, আপামর দেশবাসীকে জানাই শুভেচ্ছা ও সালাম।

এলো ফিরে, বহু আকাঙ্খিত সেই খুশির ১৬ ই ডিসেম্বর
দীর্ঘ নয় মাসের সংগ্রাম শেষে ‘নিশঙ্ক চিত্ত, সুউচ্চ শির’।
চিরস্মরণীয় হয়ে আছে মুক্তিযোদ্ধা ভাইদের রক্তক্ষয়ী অবদান
পাক-হায়নাদের বিতাড়ন করে দেশবাসী গাইল বিজয়ের গান।
উঠলো রাঙাপ্রভাতে নতুন সূর্য, দিক দিগন্তে লাল-সবুজের বিজয় কেতন
দেশমাতার ত্রিশ লক্ষ সন্তানের প্রাণের বিনিময়ে অবশেষে হল স্বপ্নপূরণ।

বছর ঘুরে লাল-সবুজের খামে বিজয়ের চিঠি আসে
স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে আজ পদ্ম-শালুক হাসে।
বাংলা মায়ের হে বীর, বিপ্লবী সন্তানদল, এইদিনে করি তোমাদের স্মরণ
তোমাদের আত্মবলিদানের বিনিময়ে, ‘বিজয় দিবস’-কে করেছি আমরা বরণ।
‘বিজয় দিবস’-এ আজ তাই প্রাণ খুলে গেয়ে উঠি —
‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।
——————————————–

Powered by themekiller.com