শিরোনামঃ “মাটি হবো”
কলমেঃ এইচ,এম আমিরুল ইসলাম।
তারিখঃ ১০/১২/২০২২ইং
!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!<<<>>>!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
এক দিন আমি মাটি হবো, তার ইশারায়
হয়তো সে দিন সাক্ষাৎ হবে, শুধু তার মায়ায়।
দুই দিনের এই ভবো পারে, থাকবো কত আর?
ডাক পরিলে সাঙ্গ হবে সব, হুকুম হলে তার।
আত্মীয় স্বজন ভীড়বে হয়তো, সেই সময়ে
চলে যাবো সব ছেড়ে আমি, বলো কী নিয়ে?
আজকে আমার সংঙ্গের সাথী, হবে তবো পর,
এক বার যদি যাই চলে, ফেরা হবে না আর।
শেষ বিদায়ে দিবে মাটি, নছিবে থাকলে
বিনে দ্বিধায় চলে যাবো আমি, তিনি ডাকলে।
গোর খুড়িবে তখন দিবে মাটি, জনমের মতন
থাকবো না আর ভবের মাঝে, হবে না যতন।
এমনি করে যেতেই হবে, এ ভবে যাদের আশা
কোন আশায় করছে সবে, তবো যেন বাসা?
আপন সত্তা ভুলে সবাই, মন চায় করা জিন্দেগি
বুঝ আসে না করতে হবে, তবো তার বন্দেগি।
এই মাটিতে সৃষ্টি হয়ে, বিলীন হবো এ মাটিতে
দেখো বন্ধু আপন দৃষ্টিতে, করছি কী এ ঘাটিতে।
দিনে দিনে পূর্ণ হয়েছে কী, তোমার যত আশা?
এতো ভীড়ে খোঁজা হয়নি, মোদের অন্তিম বাসা।
হবো মাটি ফিরবো তবো, আপন সত্তার কাছে
মাওলা তুমি বলো আমায়, কাছে কী নিবে?
তোমার হুকুমে চলিনি আমি, সারা জীবন ভর
কী হবে বলো আমার গতি? সহে না তবো তর।
আমার আমি চিনিনি আজও, মুখে আছে বুলি
তাইতো মনে জাগে সংশয়, কীভাবে হাত তুলি।
তবো আমি যে মাটি হবো, মহান রবের ইশারায়
স্বার্থক হবে জীবন তবে, পরি যদি তার মায়ায়।
——————————————–
ফরাসী রীতিতে রচিত সনেট
শিরোনামঃ– স্ত্রী ও নারী
কলমে– শ্রী নেপাল বিশ্বাস
দিনাঙ্ক–১০/১২/২০২২
নারী আর স্ত্রীর মধ্যে কিছু তফাৎ আছে,
নারী হলো মনুষ্যের লিঙ্গ ভেদ রূপ ।
নারী পুরোপুরিভাবে জঞ্জালের স্তূপ ।
নারী সমানাধিকার সর্বদাই যাচে ।
স্ত্রী স্বর্গের দেবী, যাঁর জন্য সবে বাঁচে,
স্ত্রী-রা আলোকিত করে অন্ধকার কূপ ।
স্ত্রী হলো সর্বদা আলো, আলোর স্বরূপ ।
স্ত্রী-ই তো মনুষ্য কুল ধ’রে রাখে কাছে ।
স্ত্রী হচ্ছে বান্ধবী-সমা প্রতি পদে পদে,
স্ত্রী সর্বদা রক্ষা করে বিপদে আপদে ।
স্ত্রী কখনো অধিকার চায় না সমান,
তাঁরা শুধু দিতে জানে, প্রাপ্তি-ক্ষেত্রে কম ।
মায়ের পরেই তাই স্ত্রীর অবস্থান,
সকল স্ত্রীদের তাই জানাই প্রণাম ।
———————-_——————–
শিরোণামঃঃআমন্ত্রণ
কলমেঃঃ সুব্রত সেন
তাং ০৯/১২/২০২২
আমার অনেক দিনের শখ
কিছু শব্দ নিয়ে ঘর বাঁধবো, কবিতা লিখব আজ
বেলা শেষ,সন্ধ্যার আসরে উজ্জ্বলতার রেশ
কবিতা কে দেখতে এসেছিল
দেখা হয়ে ওঠেনি,অশান্ত হয়ে উঠেছিল আকাশ ৷
অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল
ফেলে দেওয়া বইয়ের পাতা থেকে
কয়েকটা শব্দ খুঁজে নেব আজ
ওদের সাথেই কাটুক না একটা রাত ৷
ফুটপাত, খোলা আকাশ আর তারা ভরা জ্যোৎস্না রাত৷
ওদের থেকেই ছিটকে আসুক অক্ষর ,শব্দ , ভাব ও ভাবান্তর
এক সাথে হয়ে উঠুক ছন্দ -কবিতা,
যেমনটা বর্ষার কুমারী সবুজ ধানগাছ হেমন্তে পরিপূর্ণতা পায় ৷
রাত গড়িয়ে আছে, শেষ রাতের ট্রেন
দূর থেকে ভেসে আসে ট্রেনের শব্দ ৷
নির্জন লোকালয়ে ফাঁকা প্লাটফর্মে
নিশুতি পাখি আর শীর্ণকায় কয়েক টা ছায়া
পুষ্টিহীনতায় অন্ধকার থেকে অন্ধকারের পথে রক্তের দাগ
একা একা হেটে যায়…কবিতা
স্টেশনের শেষ কোথায় কে জানে ,
তবুও ছুটতে হয়,ছুটতে ছুটতে ধরতে হয় ট্রেন ৷
সন্ধ্যা আসরে কবিতা কে আমন্ত্রণ জানিয়েছি কাল ৷
——————————————–
০৯/১১/২০২২
শিরোনাম ঃ ” স্বপ্ন চিঠি ”
কলমে ঃ প্রসেনজিৎ সেন (যীশু )
তুমি কি সেই দেশে গিয়েছো কোনোদিন
যে দেশ দাঁড়িয়ে থাকে
আলো-আঁধারির চৌকাঠে পা রেখে
যেখানে রাতভর বৃষ্টি হলে
স্বপ্নগুলো সব
ভালোবাসা হয়ে যায়,
দু-ফোঁটা লোনা জল
রেখে দেয় মাটি ,
কুসুমজাত কীটেরা
হাজার হাজার বছর
হেঁটে যায়
বাসা বাঁধে,
সময় পেরিয়ে যায়
লতারা আশ্রয় খোঁজে
ঘূর্ণিজল ছুঁতে চায়
সকালের আলো,
কোথাও না গিয়েও আমি
প্রতিরাতে স্বপ্নের মধ্যে হেঁটে
পৌঁছে যাই সেই দেশে
মাঠ ঘাট
মাটির ভিতর,,,,,
স্বপ্নসম্রাট এক স্তব্ধ বাউণ্ডুলে !!
( বাউণ্ডুলে )
——————————————–
____”নুনের কতো রক্তাক্ত রহস্য “___
কলমে_কৃষ্ণ গোপাল ঘোষ
তারিখ _____09/12/2022
নুন পড়লে জোকের মুখে,
রক্তাক্ত ছবি দেখে দেখে।
কতো যন্ত্রণার বিষণ্ণ কষ্ট,
সব সুখের একরাশ স্বপ্ন ভ্রষ্ট।
সেই জীবনের নেই কোন গভীরতা,
আছে শুধুই অনন্ত একরাশ ব্যর্থতা।
নুন খেলে গুণ তো গাইতেই হয় ,
সেথা থাকবে না কোন ভয় ।
যেকোন তরকারি হবে না সুস্বাদু,
নুন যদি ভুল করেও না পড়ে যাদু।
লবণাক্ত সাগরের জল কতো নোনা,
আছে শুধুই অনন্ত একরাশ দুঃখে বোনা।
কতোছিল আনন্দ লহরীর সুখ,
গুণ গাওয়ার স্বপ্ন সর্বস্ব মুখ।
শুধুই নুন দেবে না খালি পাতে,
আছেই কতো সুখ এই বসন্তে ।
উচ্চ রক্ত চাপে তো চলবে না নুন,
যতই গাও না কেন তার গুণ ।
নুন যদি দাও পরিমাণে বেশি,
খেতেই পারবে না যত খুশি।
তাই নুন হতে, হবে খুবই সাবধান,
এই তো দিলে জীবনের বিধান।
শ্যামনগর উত্তর চব্বিশ পরগনার
সময়___13_20
@কপিরাইট লেখকের
——————————————–
অভিনন্দন মরক্কো
– শিহাব ইকবাল
ব্যাপারটা নয় উড়ুক্কু,
সেমির দলে মরক্কো,
ইতিহাসের প্রথম তাই
অভিনন্দন অসংখ্য।
প্রথম কোনো আফ্রিকান
লিখলো এমন উপাখ্যান,
বিশ্বকাপের মাঠ হলো
লাল বরণের ফুল বাগান।
ফাইনাল খেলবে কোন দুদল
ভাবনা রাজ্যে ঝড়-বাদল,
মরক্কো যে খেলবেনা
বলবে এখন কোন পাগল?
সাবধান থেকো এমবাপ্পে,
মরক্কোতে মাঠ কাঁপবে,
ফাইনালিস্টের তালিকায়
হয়তো নতুন নাম আসবে।
অভিনন্দন মরক্কো,
শুভেচ্ছা নাও অসংখ্য,
বাঘা বাঘা দেশগুলোর
তুমিই নতুন আতঙ্ক।
——————————————-