Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দৃশ্যপট
_________// সজীম শাইন,

রাজনীতির পাঠশালা থেকে সরে যেতেই পারে যে কেউ,
আমার মতো নষ্ট হতে পারে কারো জীবন
কবিতা লেখার আবেগে।

আমার মতো করে জীবনে ভুল সিদ্ধান্ত নিতেই পারে, কিংবা
উৎসবের শেষ সুর শোনার জন্য জেগে থাকতেই পারে।

সুখ কিনতে গিয়ে দুঃখ কিনে যে কেউ আমার মতো ছাড়পত্র দিতেই পারে,
তাই আমি এখন জনতার কাতারে দাঁড়িয়েছি
যে কেউ ছুঁয়ে দিতে পারো অবহেলায়।

সময় স্থির থাকে বলে দিন-রাত্রিকে স্পর্শ করা যায়
কিন্তু মানুষকে স্পর্শ করা যায়না অবলীলায়।

আমার শেষযাত্রার দৃশ্যপট দেখার জন্য কেউ কী রাস্তার মোড়ে এসে দাঁড়াবে।
০৬/১২/২২
সভাপতিঃ দুর্গাপুর সাংবাদিক সমিতি।
——————————————–

❗নিমগ্নে ভাবানুষঙ্গ
🖋️এম এ হালিম শিশির
🧾০৬/১২/২০২২ ইং

কতো দেখেছি মরা নদীর চিৎকার
কেউ তাকে দিলো না অশ্রু’বানে সান্ত্বনা একবার,
দিলো ঐ অসীম আকাশ প্রেমানুরাগের বিশুদ্ধ জলরসে তার ফাটল বক্ষে জীবনানন্দের চঞ্চল ভাবানুষঙ্গ।
নদীর ম্রিয়মাণ করুণ সুর বুঝলো সেই আকাশ,
আল্লাহ বলো,ঈশ্বর বলো কিংবা ভগবান,
অদৃশ্যের পর্যবেক্ষণেই সৃষ্টির সকল অনুরাগ।
খোঁজো তুমি দিবারাত্রি নিজ আত্মার চারণভূমি
তোমার মাঝে খোঁজ তোমাকে, সেই আত্মাই হলো অন্তর্যামী।
নিজকে খোঁজো তুমি অন্যের মুখোবাক্যে নিজের জ্ঞানাক্ষর,
নিজেই নিজে ডুবাও জ্ঞানের সাগরে জ্ঞানান্বিত হবে সকল।

আত্মশুদ্ধিতে নিমগ্ন মন তাতেই পাবে বিশ্ব
কুণ্ঠিত মনোবৃত্তিতে ভাবসঞ্চার হবে না কখনোই পুঞ্জিভূত।
দয়ার সাগর নিমজ্জিত মন মরণেও হাসে হিম দেহ
মরণেও আমি আমোদিত যদি প্রজ্ঞাময় হয় প্রাণিত।
জীবনে যৌবন সবই যে বৃথা যদি ধ্যানেজ্ঞানে মিলে না লক্ষ্য,
অঙ্কুরিত মানবতার থাকে যদি অভিসন্ধি আঁধারেও পাবে মাওলার অনুষঙ্গ।

! এম এ হালিম শিশির!
~কিউর মেডিসিন কর্ণার,চিটাগাং রোড, মিনার মসজিদ সংলগ্ন, হিরাঝিল আবাসিক এলাকা।
——————————————–

আঁধারে শুভ্রতা
হাজি মোঃ মাহবুবুল আলম
৬ ডিসেম্বর ২০২২ খ্রি. মঙ্গলবার।

দিগন্ত জুড়ে কুয়াশা আঁধারে শুভ্রতা ছড়াছড়ি চৌদিকে,
কী যে এমন মুগ্ধতা মনোরম বেশে মনোহরণে
কুয়াশা আঁধার নেমে আছে চারদিকে মধুময়ে,
দেখো তাকিয়ে হৃদয় মন্দিরে জাগিয়ে ভরে।
অধিক সুন্দর শোভে রূপে চারদিকে,
সীমার আনন্দ সুখে সীমার বাঁধন হারিয়ে
অজানা স্বপন খুঁজে তোমার প্রকাশ দেখে দেখে,
হৃদয় মন্দিরে ভরে।
তেমারই কাছে এসে হৃদি অন্তঃপুরে
আঁধার শুভ্রতা দেখে সুখের দুখের মাধুর্য সুধা ঢেলে,
নিবিড় বনের মধ্যে শুভ্র তাঁরা খুঁজে
বুকের গহীনে ডুবে আঁধার শুভ্রতা পেয়েছি সংগোপনে।
তরী সারাদিন বেয়ে ডুবে যায় কোন কূলে,
উদাস আঁধারে গিয়ে দাঁড়ায় তোমার তরী এখানে।
এখানে এক নতুন উৎসব সৌরভে
সব সময় জেগেছে এক ধরনের সুখ আনন্দ,
কুয়াশা আঁধার জমে কখন আবার ফিরেছে শিশির জলে
সোনালি আলোয়ে ভরে।

আবারো কুয়াশা জ্বলে আলো ঝলমলে ঘাসে,
এক নূতন উৎসবে –
অপরূপ রূপে সেজে অফুরান সুরে,
মনে হয় এইখানে কুয়াশার শুভ্র আবরণে –
জ্বলে আবার শিশির ঘাসে করতলে শত অনুরাগে। আলো ঝলমলে সুখে প্রভাতের রোদে,
ঘাসে মায়াবীর মতো আলো জ্বলে দ্বীপ্ত আলোয়ে
যেনো সব একাকার হয়ে যায় দূরে ঘাসের নগরীতে,
মুগ্ধতা ছড়িয়ে ভরে।
নিসর্গ সৌন্দর্য সাড়া চারদিকে রূপে একটা সৌন্দর্য,
পৃথিবী নিবিড় হাসে শুভ্র যতোদূর যায় –
নিস্তব্ধতা ভেঙে দূরে, সুনীল জোছনা ছুঁয়ে।
——————————————–

কচুরিপানা
সুখেন্দু বিকাশ দে
০৫/১২/২২
*********************
পুকুর জলে কচুরিপানা চক্র বৃদ্ধিহারে বাড়ে
আজ যা কাল হয় দ্বিগুণ সবার নজর কাড়ে।
অল্পতে তার লাগাম না টানলে
পুকুর গিলে খায়
কচুরিপানার স্বভাব মন্দ শান্তি কাড়ে মাছের
মাছের শান্তি নিলে ও কেড়ে পুষ্টি যোগায় গাছের।
ছায়া দিয়ে শীতল রাখে বৃক্ষ কূলের প্রাণ
পঁচে গলে সার হয় সে বাড়ায় শস্যের যোগান।
মাটিকে সে উর্বর করে ফলন বাড়ায় শস্যের
গোলা ভরায় কৃষকজনের ঘাটতি মেটায় খাদ্যের।

ভালো মন্দ দুইয়ে মানুষ কচুরিপানার মতন
মন্দকে দূরে ঠেলে ভালকে করলে যতন
জীবন বৃক্ষ ফুলে ফলে হয়রে সুশোভন।
মন্দকে যদি প্রশ্রয় দেবে গিলবে সুখ শান্তি
জেনে শুনে কেনরে ভাই পোহাবে ভোগান্তি।
অল্পতে মন্দে না টানলে লাগাম মন্দের শক্তি বাড়ে
পরাক্রমশালী মন্দতে জেনো জীবন যায় ছারেখারে।
——————————————–

শিরোনাম :- হেমন্তের এই রাতে
কলমে :- নির্মল বরাট
তাং :-05/12/2022

মায়া মেদুর জ‍্যোৎস্নায় ভিজেছে হেমন্তের এই রাত,-
এই রাতের অনেক ছবি মনের অতলে লুকিয়ে আমার,
হয়তো আরো অনেকের,–
ঝিঁঝিঁ ঢেকে চলেছে অনবরত,–
একটা অপূর্ব কলতান আরো বেশী মেদুরতা বাড়ায় এইক্ষণ,–
এই ক্ষণে শুধু প্রেম জমে মনে হয়,–
প্রকৃতির নিষ্ঠুর খেলা অবশ্যই গভীর ঘুমে নিশ্চয় ।

আমার বুকের পরে এই রাতে জমে চলে যে শিশিরের জল,
তুমিও কি অনুভবে আঁকছো সেদিনের সেই তাই ,–
তার স্বাদ হয়তো একটু পরেই আমাকে শান্তি দেবে, পরম শান্তি!
আর তোমার ওখানে কি?
হেমন্তের ভরা সোনালী আদর নাকি আরো এগিয়ে শীতের ন‍্যাড়া মাঠ,–
তারা নাহয় না ঝরুক এই রাতে,–
এখানে জমুক এক নিগূঢ় প্রেম আধ ফালি চাঁদে।
——————————————–

জীবনের লাভ
(পয়ারছন্দে লেখা)

ঠাকুর বিশ্বরাজ গোস্বামী

বহুজনে ডিগ্রী পেয়ে করে ডিগ্রী জারি,
নিজেকে ভাবে মহান অতি জ্ঞানী ভারি।
জ্ঞান আর পাঠ্য শিক্ষা ভাবো এক নয়,
ডিগ্রী ছাড়া মানুষেও শ্রেষ্ট জ্ঞানী হয়।
সুশিক্ষা যার ভিতরে বিন্দু মাত্র নাই,
সমাজের বিপদ সে ভেবে দেখো ভাই।
ডিগ্রী পেয়ে বহুজনে অন্ধকারে থাকে,
এই শিক্ষা মুল্যহীন বোকা বলে তাকে।
ভেবে দেখো যে শিক্ষাটি মনুষ্যত্বহীন,
সে শিক্ষা নয় সুশিক্ষা সত্য চিরোদিন।
জ্ঞান আর পড়াশুনা হলে এক যোগে,

ভোগে না সে কোনদিন ঘোর তমরোগে।
জ্ঞানীজনের সুসঙ্গে ত্রিনয়নটি খোলে,
ফানুষ দেখে কুজনে সত্যটাকে ভোলে।
মহামানব মানবী দিয়েছেন বাণী,
যাননি ঐ শিক্ষালয়ে সকলে তা জানি।
শিক্ষা নিয়ে গৌরব সে বোকামির ভাব,
জ্ঞান আহরণ করা জীবনের লাভ।
——————————————–

Powered by themekiller.com