রঘু বাবু
ইব্রাহিম খলিল
রঘু বাবু লিখেন ভালো,সব লেখা তার চমৎকার
তিনি সবার শ্রদ্ধাভাজন,এই কথাতে অমতকার?
গল্প বলেন নাটক বলেন,সব লেখাতেই দক্ষ সে
আগামীতে রঘু বাবুর,নোবেল পাওয়াই লক্ষ্য যে।
আশেপাশে লিখছে যারা,অবাক তারা হচ্ছে খুব
রঘু বাবুর লেখার ভেতর,প্রতিদিনই ভিন্ন রুপ।
লিখছে বাবু নিজের মতোই,ছড়াগুলো বেষ্ট লুকে
নিত্য নতুন বিষয় নিয়ে,লিখছে বাবু ফেসবুকে।
অবাক হয়ে পড়ছি সবাই,রঘু বাবু খুব জ্ঞানী
সেলিব্রেটি কবি ভেবে,তাকে সবাই পীর মানি।
হঠাৎ করে তার ফলোয়ার,শুন্য থেকে লক্ষ দশ
দেশটা জুড়ে রঘু বাবুর,বাড়তে থাকে নাম ও যশ।
রঘুর এমন খ্যাতি দেখে,গ্রামের প্রেমিক যুগলে,
ভালো করে জানতে আরো,সার্চটা দিলো গুগলে
কান্ড দেখে সব মানুষে,একটু ভেবে পাচ্ছে না,
ছন্দ তালের ছড়াগুলো,একটাও তো রঘুর না।
রঘুর লেখা নিয়মিত,বলতো যারা গুড আর বেষ্ট
দেখলো তারা লেখাগুলো,গুগল থেকে কপি পেষ্ট
লজ্জা পেলো পাঠক সমাজ,পায়নি একটু রঘু দা
রঘুর মতো মানুষ নিয়ে,চিন্তা করাই বেহুদা।
শব্দার্থ :- বেহুদা=অযথা।
——————————————-
মায়াবতী
কে এ জ্যোতি।
পান্টী, কুমারখালি, কুষ্টিয়া।
তাং ২৬-১১-২০২ইং।
তোর চোখেতে মায়া দীঘির জল দেখি,
তোর ঠোঁটেতে মায়াবিনীর ছল দেখি।
দীঘির জলে ডুববো নাকি ছলনাতে ভাসবো।
ভালো যদি বাসিস আমায় হৃদয় জুড়ে রাখবো।
হৃদয় জুড়ে বইছে আমার তোরই মায়ার রেশ,
ভয় যে ভীষণ মায়ার ছলে হই যদি রে শেষ।
মায়ার ছলে মন হারিয়ে শুধুই কিরে কাঁদবো,
ভালো যদি বাসিস আমায় হৃদয় জুড়ে রাখবো।
সোনা পাখি রাখবো তোরে মন মোহনার বাঁকে,
হাত ছেড়ে তুই যাবি না তো অন্য কারও ডাকে।
হোস যদি তুই আমার প্রিয়া,শুধুই ভালবাসবো,
ভালো যদি বাসিস আমায় হৃদয় জুড়ে রাখবো।
——————————————–
“খেজুর গুড়”
আল এমরান
অগ্রহায়ণে ব্যস্ত গাছি খেজুর গাছে হাঁড়ি,
রস বেচিয়া গাছির বৌ পড়ছে নতুন শাড়ি।
গাছে গাছে হাঁড়ি পাতা সকাল বেলার কান্ড,
চাদর গায়ে জোয়ান বুড়ু নিয়ে আসে ভান্ড।
কাছা মেরে গাছি বেটা উঠে যায় গাছে,
কোটা একটা বান্দা থাকে কোমরের পাছে।
রসের হাঁড়ি নামিয়ে আনতে নিদারুন কষ্ট,
রাতের বেলায় বাদুর পাখি হাঁড়ি করে নষ্ট।
কাঁচা রসের পায়েস খাচ্ছে গায়ের যত লোক
আগুন জ্বেলে ঠান্ডা শীতে তপ্ত উপভোগ।
ঘ্রাণ নিয়ে বলতে পারো খেজুর গাছের গুড়,
একদিন ঐতিহ্যের সেরা ছিলো প্রিয় ফরিদপুর।
মুছি গুড়,পাটালি গুড়, নারিকেল গুড়ের মিষ্টি,
বর্তমানে বাদাম গুড়ের নজর কারা সৃষ্টি।
মুড়ি ভাজা ঝোলা গুড়ে সকাল বেলার নাস্তা,
ফরিদপুরের খেজুর গুড় সব মানুষের আস্থা।
চরভদ্রাসন
ফরিদপুর
২৫/১১/২০২২
——————————————–
কবিতা — তবু বেঁচে আছি
কলমে — কাব্যহীনা
এখন মধ্যেরাত–
কিছু সারমেয় রাতের নীরবতা কে খান খান করে জানান দেয় নিজেদের অস্তিত্ব ।
কালো দীঘির জলের মতো নিস্তরঙ্গ আকাশ আর মাছের আঁশের মতো ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘ — বিক্ষিপ্ত ।
বিক্ষিপ্ত মন- বিক্ষিপ্ত জীবন- বিক্ষিপ্ত চারপাশ ,
একটা সম্পর্ককে বাঁচিয়ে রাখার মরিয়া প্রচেষ্টা
জীবন শিখিয়ে দেয় সাপ লুডু খেলা ।
টালমাটাল পায়ে এগিয়ে চলি এই নিস্তব্ধ পুরীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ।
ঘন কুয়াশায় ঢাকা এ মধ্যরাত আর গন্তব্যহীন শহরের গলি ।
বুদ্ধি বিবেক মানবতার পচে যাওয়া গন্ধ ঢাকতে শিখেগেছে শহর ——-
উগ্র আতর দিয়ে ।
এর থেকে রাস্তার কুত্তার জীবন অনেক ভালো
কিছু প্রেম এখনো বেঁচে আছে ওখানে ।
ডাস্টবিনে পচা খাদ্যের মতো পচে যাওয়া জীবন ,
সস্থি কোথাও মেলে না ।
তবুও বেঁচে থাকা , বাঁচতে বাঁচতে লড়াই
লড়তে লড়তে জীবন ।
জন্ম লগ্ন থেকে যে লড়াইয়ের শুরু আই সি ইউ শেষ —
এটাকেই জীবন বলে ।
বিবেক দংশন জেগে ওঠে মাঝে মাঝে এক একটা লাল গোলাপের মতো— কাঁটার মাঝে ।
কস্তুরীর গন্ধ দিয়ে ঢেকে চলা আধুনিকতার ছাপ্পা দেওয়া বিলাসী জীবন ।
মানুষের দুঃখ কষ্টগুলোকে চেটে খাই হুইস্কির গ্লাসে
বিবেক বিক্রি করেছি নব্য নিয়ন আলোয় ।
ঈশ্বরের উচ্ছিষ্টে যখন জীবন কেটে যায় তখন চোখ বন্ধ থাকাই শ্রেয় ,,,,,
তবু —
পোস্টমর্টেম টেবিলে প্রতিনিয়ত কাঁটা ছেড়া হয় জীবনের
নেশা লাগে জীবনের,,,,,,আত্মাকে তাই মমি করে রাখি ।