Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

হাশরে
———- তাহমিনা চৌধুরী

নয়নের দৃষ্টিতে দেখে যে সবাই
অন্তরের দৃষ্টিতে দেখে ক’জনা
ভালোর মাঝেতে আছে যে সবাই
হৃদয়ের কথা থাকে অজানা

নিত্য নতুন স্বপ্ন সাজাই
বাহারি রঙের সাজে
এক এক করে দিন কেটে যায়
সকাল, বিকাল সাঁঝে

জন্ম থেকেই হয় যে শুরু
পাপ, পূন্যের হিসেব
অযাচিত ভাবে করি বিচরণ
পাপ রয়ে যায় বেহিসেব

ভুলেতে ভুলেতে জীবন ভরা
ভুলের নেইকো শেষ
নীল গগনে ফানুস উড়াই
লাল আভার নেই রেশ

রঙের দুনিয়ায় মত্ত থেকে
রঙে জীবন রাঙাই
কতই সুখের স্বপ্ন গড়ি
আখেরে কিছুই নাই

হানাহানি আর কাটাকাটিতে
যৌবন করি পার
ইহকাল করি আলোকিত
আর পরকাল যে আঁধার

পরপারের ধ্যান ত্যাগ করে
ভাবনা কেবলই ধনের
আসল ছেড়ে নকল ধরি
বুলি আওরাই জ্ঞানের

হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ-লালসা
হৃদয়ে লালন করি
কি জবাব দিব তাঁরই কাছে
কেন না কভু ডরি

বেলা অবেলায় কেটেছে বহুকাল
এই বুঝি ডাক আসে রে
পবিত্র করি অন্তর খানি
কি জবাব দিব হাশরে!

——————————————–
#তবু_ভূতে_কিলায়_না
আমি অনেক সুখে থাকি
তবু ভূতে কিলায় না
মুঠিমুঠি ভালোবাসাও
অকারণে বিলায় না।
.
ভূতের সাথে আমার আছে
মস্ত বড় দুস্তি
দুজন মিলে শাপলা বিলে
নিত্য করি কুস্তি।
.
আমি হারলে কাঁদে যে ভূত
ভূত হারলে আমি
কখনোবা মাঘের শীতে
ঝিনাই নদে নামি।
.
পূর্ণিমাতে গভীর রাতে
বসে বটের ডালে
রাত্রি কাবার নেচে-গেয়ে
হরেকরকম তালে।
.
থাকতে সুখে কিলায় ভূতে
যে বলেছে, মিথ্যে…
ভূতের সাথেও ভাব থাকিলে
সুখ পাওয়া যায় চিত্তে।
. বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, ঢাকা, বাংলাদেশ

——————————————–
দেয়াল
——-

একটা নিরেট দেয়াল আঁকো, ওদিকটাতে শুন্য থাক
এদিকটাতে পদ্মপুকুর, অনেকটা দূর পথের বাঁক
অনেকটা দূর আকাশ থাকুক মেঘেদের ঝুল বারান্দায়
কিছুটা রোদ বিকেল জড়াক ধূসর হলুদ পাখীর গায়
আরোও দূরের গুমোট মাঠে বাতাস কাঁপাক গাছের সার
জল আর হাওয়ায় সন্ধ্যে নামুক, দেয়ালটা তো জেগে থাক!

——————————————–

শিরনামঃবৃক্ষের দুঃখ
কলমেঃগৌতম চন্দ্র
তারিখঃ১৩ ১১২০২২খ্রিঃ
#বৃক্ষের দুঃখ
বৃক্ষরাজি বলছে আজি
আমায় ডেকে ডেকে,
দেখো ভাই মোর কথা
কেহ নাই শোনে।

নিরবে দাঁড়িয়ে একা আমি
দিচ্ছি অক্সিজেন,
সবার অন্ন যোগাতে গিয়ে
হারাচ্ছে মোর প্রাণ।

ঝড় বৃষ্টি বাদল এলে
নিচ্ছে আশ্রয়স্থল,
আমি যে ভাই দাঁড়িয়ে একা
মোকাবিলায় অটল।

হিজল গাছটা ডেকে এবার
বলল আমায় শোনো,
বিলুপ্তপ্রায় আমি যে ভাই
আমায় রক্ষা করো।

এত কিছু করার পরেও
দাবি তেমন কিছু নাই,
বাঁচাও মোরে বাড়াও মোরে
এই যে বলতে চাই।।

——————————————–
____”ডানায় ভর করে উঠে দাঁড়াও”____
কলমে_কৃষ্ণ গোপাল ঘোষ
তারিখ ___13/11/2022
কতো যন্ত্রণার বিষণ্ণ অনুরাগের এক অজ্ঞাত স্বপ্ন,
ডানায় আছে চিরদিনের ইচ্ছের দ্বন্দ্ব বিধুর উল্লাস ।
কতোদিনের সঞ্চারিত এই প্রাপ্তির নেই কোন প্রভাত,
শুধুই মনোবীণার জ্বলন্ত প্রদীপের মুগ্ধতার ছোঁয়া।
তবুও মনের একান্ত জীবনের বৃত্তান্ত আজও ভীষণ স্তব্ধ,
ছিল বিরহের অপার বিস্ময়ের অপার্থিব বন্ধন মুক্ত।
নেই কোন গভীর অনুরাগের অজ্ঞাত স্বপ্নের বিচ্ছুরণ,
তখনও সেই বিশ্বাসের উন্মত্ত একরাশ ইচ্ছের দ্বন্দ্ব,
যদিও অভিযোগ করার এক অনর্গল শব্দের উচ্ছ্বাস।
নেই কোন গভীর ইচ্ছের স্পর্শ অনুক্ষণ লাঞ্ছিত,
আজও ভীষণ কলরোলের এক অজ্ঞাত জীবনে।
সেই ঐতিহাসিক এক জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রহেলিকা,
হয়তো সেই প্রাগৈতিহাসিক আদিম মানুষের ইচছা,
আজও পিরামিডের গহ্বরে এখনো রেশ ছড়িয়েছে।
সেই ফারাওএর মমির হাসি আর কতো যন্ত্রণার,
আছৃ ডানা মেলে উড়ে যাওয়ার নেই অবসর।
তবুও সেই সুন্দরীর উদ্যমের এই প্রাপ্তির যোগ করা।
কতো যন্ত্রণার বিষণ্ণ এক উড়ান বাতিল হলো না।
সিক্ত আত্মার অস্তিত্ব ছিল ঐক্যবদ্ধ সৌন্দর্যের উত্তাপে,
এই জীবনের মুক্তির অভিশাপের করুন বন্ধন মুক্তি।
হে মানব ,সভ্যতার এই মুক্তির দিনে উঠে দাঁড়াও ,
পাখা মেলে উড়ে যাওয়ার নেই কোন বাধা ।
শ্যামনগর উত্তর চব্বিশ পরগনা
সময়___08_45
@কপিরাইট লেখকের

——————————————-
শিরোনাম:- বিচিত্র সভ্যতা
কলমে- বিশ্বরঞ্জন ভট্টাচার্য্য
তারিখ:-১৩/১১/২০২২

বহু ঝড়-প্রলয়-মহামারী-দুর্ভিক্ষ পেরিয়ে…
রক্ত,প্রাণ ও সতীত্বের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা,
সভ্যতার সারনি বেয়ে —
প্রগতি আজ আলো আঁধারির গোলকধাঁধায়
পথ হারিয়ে — বিপথে;

গণতন্ত্র সমাজের প্রধান স্তম্ভ,
যা আজ প্রহসনের এক নাম,
মিথ্যা বেসাতি ছাড়া বুঝি হয় না দেশসেবা!
অর্থ আজ পরমার্থ,
নিকট আত্মীয়তার সম্পর্কের চেয়েও…
ধনের লোভ আর পদের অহঙ্কার
মানুষকে করেছে অন্ধ;

সংস্কারের ধূয়া তুলে-কুসংস্কারকে করেছ হাতিয়ার,
প্রশাসনের প্রচ্ছন্ন মদতে দিবালোকে নেশায় মত্ত ;
বিচারের বাণী আজ আর নিভৃতে কাঁদে না ,
বরং সোচ্চার হয়
নিজস্ব পছন্দ অপছন্দের হাত ধরে—

ভোটব্যাঙ্কের ভয়ে
নীচের জল উপরে ওঠে বিনা প্ররোচনায় ,
ক্ষমতাসীন ‘বাবু’ রা ….
অসহায়ের অসহায়ত্ব নিয়ে করে নির্মম পরিহাস,
একটুখানি ফ্যানের টোপ দেখিয়ে –“ফ্যান” বানায় ;

জুয়ার আসর প্রকট ও প্রচ্ছন্ন ভাবে মদতপুষ্ট,
আর দেহব্যবসা এখন খুল্লামখুল্লা–
নারীরা আজও–
ধর্ষিতা হওয়ার পরেও সতীত্বের পরীক্ষা দিয়ে মরে!
আর বহুগামী পুরুষ কিন্তু ধোয়া তুলসী পাতা;
পরকীয়াতে পড়েছে শীল মোহর –অবাধ ছাড়পত্রে

আধুনিক মনষ্কতার অত্যাধুনিক সমাজের মানুষ-
সময় কাটায় মুঠোফোন হাতে ;

বহু জ্ঞানী সবে নাস্তিকতার বাহারে
শাস্ত্র কেও করে চলে চরম অস্বীকার ;
বলিদানের বিরোধীতা করে চলে দিনরাত…
দিনের পর দিন বা ফি হপ্তা
লাইনে দাঁড়িয়ে সময় কাটায় মাংসের দোকানে,
তারিয়ে তারিয়ে দেখে “মাংস কাটা ”
ভালো মন্দের বিচার করে—

কবিরা আজকাল দৈনন্দিন
ডজন ডজন কবিতা করিছে রচনা,
করিছে কাব্য রসের চাষ,
প্রেম-বিরহের কাহিনী মুহূর্তে করিছে সৃজন !
তবুও মাঝে কাব্য হেন জঘন্য কাজ ঘটে…
মিথ্যা রাজা সাজার সুচতুর অভিনয়!

শুধুই বেড়ে চলে পৃথিবীর বয়স
ক্রমে চলে আদিমতার পথে……..

Powered by themekiller.com