Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

#শিরোনাম_ভালোর_ভাল
#উৎপল_রাউত
২০|১০|২২

ভালো লাগার ভুলভুলাইয়া
ঘুরছি দেখো আমরা সবাই,
আরো ভালো আছে কাঁহা ?
খোঁজার কোনো শেষ নাই।

ছিল তখন মনটা খুশি
বাহন তখন সাইকেল,
হঠাৎ মন বাজায় বাঁশি
চাইল মোটর সাইকেল।

বাইক কেনা করে দেনা,
জীবন হল গতিময়,
করছি যেন অশ্বচালনা,
বাঁচে এখন কত সময়!

রোদ বৃষ্টি বড্ড জ্বালায়
বড়ই কষ্ট হয় খামকা ,
পোকা ঘোরা শুরু মাথায়
এবার চাই চার চাকা।

চার চাকা মোটর গাড়ি
চালাই এখন মনের সুখে,
গাড়ির ভিতর ঠান্ডা ভারি,
ভালোর ভালো দেখি চেখে।

ভালোর ভালো খুঁজতে গিয়ে
গ্রাস করে ভোগের চোরাবালি,
সুখের নদে যাই তলিয়ে
অদৃষ্ট দেয় করতালি।

——————————————-

আমি ভাত চাই ক্ষুধা নিবারণে
✑ মিটু সর্দার

আমি স্বাধীনতা চাইনা, ভাত চাই ভাত
ভাত না পেলে একলক্ষ সাতচল্লিশ হাজার –
পাঁচশত সত্তুর বর্গকিলোমিটারের মানচিত্র চিবিয়ে খাবো
ক্ষুধার যন্ত্রণায় আমি মাটি কামড়িয়ে খেয়েছি —
জ্বালা মিটিয়েছি নাড়ীভুঁড়ির।
আমি এক কোটি বছরের তৃষ্ণার্ত, পিপাসিত অন্তর
পান্তা আর লঙ্কাবাটা-ই আমার জন্য কোরমা পোলাও
তা-ও যদি না পাই লোহিত রক্ত পিকে উদর পুর্তি করবো।
আমাকে তিনবেলা তিন মুঠো ভাত খেতে দিলে —
আমি আমৃত্যু শান্ত থাকবো, মন্থর থাকবে গতি
খাবার না পেলে পতাকা পুড়িয়ে ছাঁই খেয়ে উদর পুর্তি করবো
অবরোধ করবো রাজপথ —
ইট খুলে খাবো সংসদ ভবনের —
কণ্ঠনালী চেপে ধরবো দক্ষিণা পবনের–
মুক্তির ঝাণ্ডা উড়াবো নিপীড়িত নির্যাতিত মজলুমের।
এই ভদ্র সমাজে নগ্নতা আবরণে পোশাক চাইনা
আমি এক মুঠো ভাত পেলে গাছের বাকলে নগ্নতা ডেকে নেবো
আমি ভাত চাই ক্ষুধা নিবারণে —
নির্মল জল চাই হৃদয়ের তৃষ্ণা তুষ্টিতে —
তোমরা তো দিনাতিপাত করছো পুষ্টিতে।

১৮/১০/২০২২ইং, সৌদি আরব

——————————————-

লাশকাটা ঘরে
বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত

ছোট্ট একটা গ্রাম-
সুদীপ্ত আর সমীরণ ঐ গ্রামেরই দুইজন।

জন্মাবধি ওরা খেলতো ক্ষেতের আলে আলে
দুলতো গাছের কচি ডালে
গাইতো পাখির কলতানে।

সুদীপ্ত এখন কোনো এক পতাকা তলে।

ফাঁকা সময় এখন একটু কম পায় সুদীপ্ত
মাঝেমাঝে সমীরণের সাথে দেখা করে
সুখদুঃখের কথা বলে;তারপর যে যার কাজে…

সামনে ভোটযুদ্ধ-মসনদ দখলের লড়াই।

এবার সমীরণও পতাকা নিয়েছে কাঁধে
তবে সেটা সুদীপ্তদের নয়।

যুদ্ধের প্রচারে দুইজন দুই পথে।

একদিন তমসা ঘেরা রাতে এক বিকট আর্তনাদে
ঘুম ভাঙে গ্রামের লোকের-
সুদীপ্তর তলোয়ারে সমীরণের রক্তে ভিজে
এতদিনের শান্ত গ্রামের শাদা মাটিতে
কালির আঁচড় লাগে।

পরেরদিন ভোরে-
পাখিরা ডাকেনি শাখে শাখে
দোলেনি তরুলতা বাতাসে বাতাসে!

পতাকায় বিভাজনে সমীরণের মৃত্যুতে
এক শ্মশানের স্তব্ধতা নামে গ্রামের পথেঘাটে।

রক্তাক্ত মনে সমীরণের নিষ্প্রাণ দেহটা
পতাকা দুটোয় ঢেকে সুদীপ্ত নিয়ে চলে একা-
লাশকাটা ঘরে।
@শ্রীসেন
কাব্যগ্রন্থঃ’একটি ভ্রূণের কান্না’

——————————————–

কবিতার নামঃ আমার মা আমার বাবা
মো.আব্দুর রাজ্জাক
মায়ের কোল জান্নাত সম
পাই সুখ আরাম
মা বাবার সেবা করেই
হবো সফলকাম।
মা আমার অমূল্য ধন
অন্ধকারে জ্যোতি,
বাবা আমার বৃক্ষের ছায়া
জীবনে আনে গতি।
মা বাবার উছিলায় আমি
এসেছি দুনিয়ায়,
বড় হয়েছি আমি
তাদের স্নেহ ছায়ায়।
নিজেদের প্রতি নেই খেয়াল
আমার চিন্তা মনে,
সারা জীবন রাখে আমায়
হৃদয় নয়নে।
অনেক সময় থাকলেও তারা
নানা সমস্যায়,
বুঝতে দেয়না আমায় তা
না খেয়ে খাওয়ায়।
বুঝেনা শীত গ্রীষ্ম
আমার দিকে মন,
অসুখে প্রার্থনা করে,
“আল্লাহ করোআরোগ্য দান। ”
আমার সফলতায় তাদের
গর্বে ফোলে বুক,
ব্যর্থতার খবর শুনলে
মনে পায় দুখ।
মা বাবার কাছে আমার
অপরিশোধ্য ঋণ,
গায়ের চামড়ার জুতা পরালেও
শোধ হবেনা সে কোনো দিন।
অবাধ্য তাদের না হই কভু
সদা মেনে চলি
অবস্থা যা-ই হোকনা কেনো
হাসি মুখে কথা বলি।
১৮ অক্টোবর ২০২২ ।

——————————————-

“আল্লাহু আকবার”
রচনায়: মোঃ আলমগীর হোসেন
১৮.১০.২০২২ ইং।

আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার,
চিরন্তন এক ধ্বনি;
এই ধ্বনির যে অবাধ্য হয়,
কপালে আছে শনি!

এই ধ্বনিতে দিনে-রাতে
মুখরিত বিশ্ব;
এই ধ্বনি যার ভাগ্যে হয়নি,
সে অতিশয় নিঃস্ব।

সৃষ্টি করেই শ্রেষ্ঠ নহে
মহাবিশ্বের প্রভু,
সর্ব দিকে খেয়াল রাখতে
ভুলে যায় না কভু।

যা কিছু প্রয়োজন ভবে
টাকায় কেনা যায় না;
তা দিয়েছে বিনামূল্যে,
করতে হয়নি বায়না।

আলো, পানি, বায়ু যদি
টাকায় কিনতে হতো;
এইগুলো কী টাকা দিয়ে
কেহ কিনতে পারতো?

ঐ যে আসমান দাঁড়িয়ে আছে,
আছে কী কোনো খুটি?
‘আল্লাহু আকবর’ মানতে পারো না,
তুমি তো চুনোপুঁটি!

তুমি তো বড়ো অকৃতজ্ঞ,
চক্ষু যুগল কানা;
দেখো না পাখি কেমন করে
আকাশে মেলে ডানা?

দেখোনি তাদের প্রভু যাদের
ধ্বংস করেছে মূলে;
অবাধ্যদের জ্বালানো হবে,
চড়ানো হবে শূলে।

হয়তো দেখছো কিছুই হয় না,
অবাধ্যতা করলে;
ছাড় দিলেও মহান প্রভু
ছেড়ে দিবে না ধরলে।

অপরাধের মাফ পাবে না
ফকির মিসকিন গনি;
আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার,
চিরন্তন এক ধ্বনি।

——————————————–
শেষ বিদায়ঃ
==========
একদিন নিশুতির বৈঠক বসবে!
নিশিরাতে নিশুতির বৈঠক।
সেদিন বাতাসে থাকবে আগরবাতির ঘ্রাণ,
হয়ত কাঁদবে কারো হৃদয় কাঁদবে কারো প্রাণ।
সেদিন আমার নিথর দেহে রইবেনা আর প্রাণ!
তারপর?
হঠাৎ একদিন থমকে যাব থমকে যাবে সবাই,
সেদিন বিশাল ঘটা করে হবে আমার শেষ বিদায়,
সেদিন হঠাৎ হারিয়ে যাব নিস্তব্ধ হবে চারদিক,
শেষ বিদায়ের আয়োজন করতে সবাই ছুঁটবে এদিক-সেদিক।
কেউবা যাবে ঘর বানাতে কেউ কাটাবে কাঁচা বাশ,
সেদিন আমার নাম হবে শুধু মরা লাশ!
সেদিন আমি আর চেয়ে দেখবোনা করোদিকে পড়ে রইবে আমার নিথর দেহ,
নিশ্চল নির্জীব নিথর দেহ ।
সেদিন আপনা থেকেই উবে যাবে জীবনের সকল মোহ।
যেদিন অকাজের হয়ে যাবে আমার এ দেহ!
সেদিন আমায় বিদায় জানাতে অশ্রু ঝড়াবে আকাশ,
আমায় বিদায়ের শোকে সেদিন ভাড়ি হবে বাতাস।
চারিদিকে বদ্ধ সবাই করবে হাশ-ফাস!
আমায় আপন ঠিকানায় পাঠাতে গড়বে মাটির ঘর,
সেদিন প্রাণ প্রিয় প্রেয়সীও হয়ে যাবে পর’;
সেদিন মা-বাবা ভাইবোন আত্নীয় সবাই হবে পর,
শেষ বিদায়ের পরে ওই মাটিই হবে আমার ঘর।
শেষ বিদায় জানাবে আমায় সেদিন মসজিদের পালকি তুলে।
নিয়ে যাবে চারজনের কাঁধে ত্বাকবির ধ্বনি বলে।
তারপর!
হারিয়ে যাব আমি সেদিন কুল ভাঙ্গা নদীর স্রোতের টানে,
রক্তিম সুর্যের সাথে হারিয়ে যাবো আমি অচেনা দিগন্ত পানে।
সেদিন আমার জন্য কাঁদবে সবাই ঝড়াবে অশ্রু বৃষ্টি,
তবে সেদিন দেখবার জন্য রইবেনা আমার দৃষ্টি।
সেদিন আমায় সবাই ভালবাসবে,
আহাজারির কান্নায় বুক ভাসাবে।
সবাই কাঁদবে সবাই যে কাঁদবে!
মা-বাবা আমার কাঁদবে সেদিন কাঁদবে আর সবাই,
অবেলা করে ফেলে যাওয়া প্রেয়সীও সেদিন জানাবে শেষ বিদায়।
সাদা তিনখানা কাপড়ে জড়িয়ে বিদায় দিবে আমায়,
শেষ বিদায় হবে সেদিন আমার আপন ঠিকানায়।
সেদিন হবে আমার শেষ বিদায়!
—–জাদুকর লেখক;
মোঃআসাদুল্লাহ আল-(গালিব)
১১/০৬/২২

Powered by themekiller.com