Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য পড়ুন

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য পড়ুন

শিরোনামঃ বাইশে শ্রাবণ
কলমেঃ রুমী মজুমদার
তারিখঃ৮/৮/২২

বাইশে শ্রাবণে অশ্রু বিসর্জনে
কবিকে জানিয়ে বিদায়,
গোলাপ ফুলের স্নিগ্ধ চয়নে
বিনম্র চিত্তে স্মরি
প্রাণের প্রিয় রবি।

অপার তোমার সৃষ্টির মহিমা
ধন্য জগৎ ভূমি,
মহিমান্বিত সাহিত্য দর্শনে
মননে রয়েছো তুমি।

সাহিত্যে চরণ মুগ্ধতা সম
হৃদয়ের অনুভূতি খুলি,
সুমধুর তোমার অনন্যতা
অপূর্ব রাঙানো তুলি।

তোমার কল্পনা অমূল্য রতন
বাংলা ভাষার স্নিগ্ধতার ঝুলি,
তোমার কবিতা মনেতে মেতে ওঠে
আপন অনুরাগে বলি।

অশ্রুধারায় তোমাকে হারাই
প্রতিটি বাইশে শ্রাবণ ক্ষণ,
তোমার শূন্যতা কোনো দিন ও
কখনো পাবেনা পূর্ণতা
কাঁদায় অনুক্ষন।

রাখির বন্ধনে
বেঁধেছো দেশকে ভাতৃবোধে,
তোমার কবিতা গানের সমাবেশে
বিরহ দহনে শয়নে স্বপনে,
রেখেছি তোমায় অনুভূতির সাথে।

——————————————–

০৯.০৮.২০২২
————–
শোকার্ত তরবারি
হাসান ওয়াহিদ

ছেলেটি জানে আমাদের রাষ্ট্রের নাম মৃত্যু
আমাদের শাসকের নাম মৃত্যু
আমাদের পুলিশের নাম মৃত্যু।
মৃত মানুষেরা শুয়ে থাকে, কথা বলে না,
দাঁড়ায় না।
কীভাবে মরতে হয় আমরা তার কায়দাকানুন শিখছি,
একই সাথে শিখছি চিৎকার করার নিয়ম।

ছেলেটি ভাবছে, আমরা মরতে মরতে কাঁদবো
নাকি বলবো, এ মৃত্যু আমাদের জন্য নয়।
ছেলেটি দেখছে,
আমাদের দিনগুলি কাপুরষের দিন,
আমাদের রাতগলি কাপুরুষের রাত।
রাস্তার ধারে কড়ইগাছ আড়াআড়ি পড়ে থাকলে আমরা বলতে পারি না, সরিয়ে নিন।
আমাদের অগোচরে রয়ে গেছে
বাতাস কোনদিকে উঠে
বয়ে যাবে কোনদিকে।
প্রিয় দুপুর ভাত ডিঙিয়ে চলে যায়
আমরা হাড়িতে দুটো গরম ভাত ফোটাতে পারি না।
আমাদের ঠোঁট নষ্ট হয়ে সব কথা পচে গেছে।

ছেলেটি ভাবছে, যতই খচিত হোক
মধু ও লাম্পট্যে
তৎক্ষনাৎ তার উদভ্রান্ত খোঁপাটি খুলে যাবে
আমরা যদি সাহস করে বাচাল রমনীকে
তুলে নিই হাতের তালুতে।

ছেলেটি দেখছে, আমাদের দীর্ঘমেয়াদি বিষণ্ণতা।
নতুন নতুন কূপ ও জলাধার তৈরির প্রত্যাশায়
আগামী দিনের জন্য ব্যাগভর্তি সুর্যোদয় নিয়ে
ছেলেটির কলমটি এখন শোকার্ত তরবারি।

——————————————–

শব্দ নগর
শিরোনাম : মৌমাছির অকাল মৃত্যু
কলমে : মায়া রানী মজুমদার
তারিখ : 08/08/2022.

পাখা মেলে উড়তে চায় ছোট্ট নতুন মৌমাছি,
দূরে পারে না যেতে, থাকে খুব কাছাকাছি।
উড়তে গিয়ে মৌমাছি পড়ল গিয়ে জলে,
বহুচেষ্টায় ব্যর্থ,কিছুতেই উঠতে নারে স্থলে।
পাচ্ছিল না ভেবে সে, করবে কি যে নিজে,
উঠতে নারে মৌমাছি, পাখা গেছে ভিজে।
চেষ্টা করেছিল প্রচুর, বাঁচাতে তার প্রাণ,
চেষ্টায় বিফল হলো, করলো জীবন দান।
অকালেই মৌমাছির মৃত্যু ঘটলো যে জলে,
মৃত্যু হলো মৌমাছির উড়তে চাওয়ার ফলে।
এই বুঝি নিখুঁত লেখা ছিল বিধির খাতায়,
বিধি সবার কথা লিখেন পাতায় পাতায়।
ভালো ভাবে চললে দিশা পাওয়া যায়,
ধরাতে চলে সব কিছুই বিধির ঈশারায়।

——————————————–

হে শেখ মুজিবুর রহমান
কলমে– মোঃ আব্দুল হাদী

সবুজ সুষমায়, নদী-বিল জলে, বাংলার বাতাসে
শোনো পেতে কান,
গুমরে কাঁদে, ঢেউয়ের ছন্দ তালে, ভাসে সুঘ্রাণ,
শেখ মুজিবুর রহমান।

পরাধীনতার বেড়াজালে ঘেরা, সাত কোটি সন্তান,
আশায় বাঁধে বুক, সাহসে গড়ে প্রাণ,
হৃদয়ে ছন্দ তুলে গাহে, বজ্র কণ্ঠের গান,
শেখ মুজিবুর রহমান।

কোথায় নেতা, স্বাধীন চেতা, স্বাধীনতার প্রতীক,
মানসপুত্র বিদ্রোহী কবি, বিশ্ব রবি-র আধ্যাত্মিক।
বক্ষে তোমার স্বাধীন প্রীতি, কণ্ঠে অগ্নি ঝরে,
সব মানুষেরে বুকে টেনে নিলে, ভালোবাসায় বুক ভরে।
অঙ্গে তোমার সোনার কাদা, মাটির হৃদয় গড়া,
বাংলার ঘরে, মেঠো পথ ধরে, ঘুরেছো পাগল পারা।

সারা অঙ্গ জুড়ে, চোখ মুখ ভরে,
ললাটে ভাসে মায়াভরা দীপ্তি,
মুক্ত বাংলা, সোনার বাংলা, স্বাধীনতার স্থপতি,
জালিমের ত্রাস, বাংলার রূপকার, দুখিনীর সন্তান,
শেখ মুজিবুর রহমান।

নীল ভরা আকাশে, মিটি মিটি তারা হাসে,
জোস্নারা গাহে গান,
পায়রা ময়ূর নাচে, সারি সারি বক ভাসে,
বাতাসে সুরের তান।
হায়েনার দিন শেষ, নাচে রণ গীতে দেশ,
জুলুমের হবে অবসান,
মুষ্টিবদ্ধ কোটি বাহু, ত্রাসে কাঁপে পাক রাহু,
উল্লাসে জনতার ময়দান।
ভয়াল রাতের বুলেট, হাসে জয়ের স্যালুট,
চেতনায় স্বাধীনতা অম্লান,
তুমি নেই পিতা, রেখে গেছো গীতা
রেসকোর্স ময়দান।

সারাটা জীবন ভরে, কাটিয়েছো কারা ঘোরে,
হাসি মুখে শাসকের নির্যাতন,
সহে দুর্জয় প্রাণ, ছিড়ে শৃঙ্খল বন্ধন
বাংলায় আনো জাগরণ, স্বাধীনতা অর্জন।
জন কল্যাণে এক তারে বাঁধো, হিন্দু মুসলমান,
বঙ্গাকাশে জ্বলে নেতা, ভাস্বর মহান,
শেখ মুজিবুর রহমান।

নহে প্রতিরোধ, নহে প্রতিশোধ, তোমরা আমার ভাই,
সব কিছু ভুলে, হাতে হাত মিলে, এ দেশ গড়তে চাই।

নরম হৃদয় খুড়ে, গড়ে স্বার্থের ঢাল,
ওঁৎ পেতে থাকা, ধূর্ত মাবিয়ার দল।
কুঁড়ে কুঁড়ে খায় দেশমাতা আর তোমার হৃদয়,
ধীর পদে আসে, কৃষ্ণ আঁধার নামে, সমাজ অবক্ষয়।
মসনদ ভোগী, ক্ষমতার লোভী, লোভাতুর শয়তান,
কাক ডাকা ভোরে, অগ্নি গোলা ছোড়ে, পড়ে জীর্ণতার কাফন।

মৃত্যু দুয়ারেও তুমি নির্ভীক প্রাণ,
ভাসে বজ্র কণ্ঠের আহ্বান,
” কে আছিস তোরা আয়,কোথায় নিয়ে যাবি চল,
ভেঙ্গোনা হৃদয় মসজিদ সম এ জাতির মনোবল।
কোথায় রণ শার্দূল সম, জনতার বিপ্লব,
জাতির ললাটে, কলঙ্ক তিলক আঁকে,ঘাতকের উৎসব।”

হায় স্বার্থের বীজ বোনা, সব ভীরু কাপুরুষের দল,
সদ্য বঁধুর খুন ঝড়া ভুমি, কেঁদে ফেরে নিষ্ফল।
রক্ত গড়ায় পথে, লাল টকটকে, উষ্ণ স্বাধীন ভোরে,
প্রভাত আলোয় দেখা, বিষাদ বেদনা মাখা,
কাঁদে বিবেকের দ্বারে।

ঊদিলে এ ভূমে, জাগিলে ” বঙ্গবন্ধু ” নামে,
হে স্বাধীনতার সন্তান,
বাংলার আকাশ ভূমি, তোমার ললাট চুমি
গাহে সত্যের জয়গান।

সাতই মার্চের ভাষণ, ‘বজ্র কঠিন শপথ ‘
তোমার সে ত্যাগের দান
বৃথা যাবেনা, রবে চির-অম্লান
হে শেখ মুজিবুর রহমান।

——————————————–

♦ ওগো পথিক~♦
শ্রীস্বদেশ সাধক সরকার
২২শে শ্রাবণ ১৪২৯ /০৮/০৮/২০২২
ওগো পথিক,পথ চলা হয় নি শেষ
নিত্য দিন তুমি পূজারী হৃদয় মননে
শান্তির বারতা লভি শুধু পথ চলি
কেন যেন কালো মেঘ বাকরোধ করি ।
হাঁটাহাঁটি চলাচল ৭১ বছর নিয়ত সচল
চির জাগরুক চির শাশ্বত মনন বিজ্ঞান
অমর কথা অমর জ্যোতি পথের সোপান
বিভেদ বিভাজন স্বচ্ছ দৃষ্টি অমোঘ অবিচল।
ধর্মের জেহাদ গুণি বিরোধ দেয়াল তুলি
নদী যেন ভাঙ্গে বাঁধ বিধ্বংসী মূর্তি
ওলট পালট রূপ রুচি সভ্যতা সংস্কৃতি
বিভ্রান্ত মনন উল্টায় পাতা সত্য সন্ধানী ।
দিন গেলে রাত আসে নক্ষত্র বিচরণ
, ডুবে রবি উঠে চাঁদ আলো বিকিরণ
মেঘ জমে পূর্ণিমা অমাবস্যা শুধু পরিক্রমণ
আলো আঁধার মাঝে খেলা শুধু বিনোদন ।
স্মরণে বরণে পূজারী তুমি বাইশে শ্রাবণ
এসেছো আবার চলে নৌকা সদা আহ্বান
চুকিয়ে দেবো বেচাকেনা মানে নি মনন
লেনাদেনা আনাগোনা তুমি আজীবন
অহরহ বিচরণ ।
যুদ্ধের বিরুদ্ধে শান্তির পক্ষে মূর্ত প্রতীক
সত্যরে লও সহজে অমর সে বাণী
হে সত্যসন্ধানী,হে দূরদর্শী ,হে অগ্রপথিক
নেই তুমি ,তবু আছ -তুমিই মোদের ঋষি ।
আসবে যাবে কালের গতি বিকাশ উন্নতি
মিথ্যার বেসাতি অতল গহ্বর কেন কু-মতি
নব আনন্দে জাগো পথে পথে অপসংস্কৃতি
দূর হোক অমানিশা বাজুক নতুন বাকধ্বনী ।
আজি বাইশে শ্রাবণ লও সবার প্রণতি
ঘরে ঘরে জাগাও দিশা সাহস সঞ্চারি
অন্যায়ের বিরুদ্ধে একলা চলো বাণী
জীবনের জয়গানে ভয়ডর হানি -পথিকৃৎ
তুমি ।

——————————————-

শিরোনাম**** আমার রবীন্দ্রনাথ ** 8/8/22

কলমে **** ধীরাজ কুমার গিরি ****

নও শুধু বাঙালির কিংবা ভারতের কবি,
তুমি যে সবার বিশ্বকবি।
আকাশে অসংখ্য তারার মাঝে উজ্জ্বল
আলো এক নক্ষত্র সূর্যরবি।
কতটুকুই মোরা নিতে পেরেছি গো সবাই,
দিয়েছো যত শত-শত গুণ।
শিখবো, চলবো, তোমার চলার পথ ধরে,
ভুলবোনা তোমাকে কোনোদিন।
অহংকার ভুলিয়ে অহিংসা শিখিয়েছো।
পরিয়ে দিয়েছো হাতে রাখী।
আজ তুমি নেই, শুধু আছে তোমার বাণী,
এই আশীর্বাদটুকু মাথায় মাখি।
অন্তরে অন্তরে সবার তুমি থাকবে চিরদিন
যতদিন উঠবে পূবে রবি।
শতকোটি প্রনাম জানাবে এই বিশ্বজগৎ
ভুলবো না কভু বিশ্বকবি।
তোমার চরণে আজ সবাই লয়েছি স্মরণ
ধরেছে সবাই কাগজ কলম।
তবু রাখি ভয়, অগাধ সংশয় বাঙালিয়ানা
রয়েছে ভীরুতা হারিয়েছি সংযম।।

Powered by themekiller.com