যাচ্ছি আমি…
রূপালী রায়
০১/০৭/২২
সবুজ ধানে মাঠ গিয়েছে ভরে,
কু..ঝিক ঝিক ট্রেন ছুটেছে জোরে।
গাছ গুলো সব দাড়িয়ে আছে ঠায়,
মেঠো পথ ধরে যাচ্ছে কেউ তার গাঁয়।
পাশেই দেখি ছোট্ট নদীটি,
কাটছে সাঁতার,ডুব দিলো মেয়ে একটি।
আকাশে দিচ্ছে উকি মেঘমালা,
এবার বুঝি বৃষ্টি নামার পালা।
যাচ্ছি আমি, যেতে চায় মন,ওই সুদূরে,
যেথায় পাবো শামুক,ঝিনুক,সাগর পাড়ে।
মনের মাঝে ইচ্ছেরা সব দিচ্ছে উকি,
ইচ্ছে হচ্ছে ছুট্টে গিয়ে সাগরটাকে দেখি।
দেখবো আমি সাগরের ওই উত্তাল ঢেউ,কেমন
করে আছড়ে পড়ে,সাগর কিনারে।
ঘুরবো সেথায়,মন ভরাবো,চোখ জুড়াবো,
বসবো আমি,সাগরের ওই পাড়ে,
দেখবো সাগর মন ভরে।
🙏
——————————————–
পদ্মা সেতু
গৌতম সোম
০১/০৭/২০২২
বাংলা আর বাঙালির সোনালি প্রহরের এক অসামান্য খ্যাতির সৌম্যদর্শন,
স্মৃতিপটে কালজয়ী কাব্যকথা আর চিত্তে তৈরী হোলো প্রসন্নতার অতি ভারী বর্ষণ,
অতলান্ত হৃদয়ের গভীর সমুদ্রে এতদিন ভরা ছিল যে এক প্রতি-মুহূর্তের শূণ্যমন ,
হৈ হৈ করে দেখা দিল দুরন্ত উচ্ছাসের স্বপ্নের সম্ভারে সাজানো উজ্জ্বল চন্দ্রিমার সাগর দর্পন,
দিগন্ত ঝলসানো অপেক্ষার প্রহরে উপস্থিত হোলো সেই সুখের বাহক আর তার এক ভয়ানক সুখস্মৃতি,
বিজয়ের দিশায় স্বপ্নীল আখির ইশারায় রচিত হোলো অশুভ অন্ধকারের চিরতরে ইতি, চাকচিক্যতায় ঢাকা পৃথিবীর কোমল বক্ষে নেমে এল এক উত্তরণের সর্বোচ্চ চূড়া আর ক্লান্তিহীন মুক্তির দীর্ঘস্থায়ী মহড়া, দুঃসময়ের দুঃস্বপ্ন দূর করে প্রেমের সবুজ দুয়ারে হাজির হোলো উন্নয়নের অসংখ্য বর্ণমালার শৈল্পিক পথ চলা আর স্বর্ণালী মুগ্ধতার এক স্বচ্ছ চেহারা,
সব প্রশ্নের হোলো অবসান সব উৎকণ্ঠার সমাপ্তি ঘটলো দূর হোলো সমস্ত অবকাশ সব হেতু,
বিশ্বের সমুখে উপস্থিত হোলো নিজস্ব প্রযুক্তির আর এক মুক্তি-যুদ্ধ-জয় নাম তার পদ্মা সেতু ll
——————————————–
বিষয়:- রথযাত্রা।
শিরোনাম:- জয় জগন্নাথ।
কলমে:- সুব্রত চক্রবর্ত্তী।
তারিখ:- ০১/০৭/২০২২
পুনঃ পোস্ট।
রথ চলেছে রাজপথে —
রশিতে হাজারো হাতের বন্ধন ;
যেন মূর্ত্য সম্প্রীতির চিত্ররূপ।
হাজারো কণ্ঠের কলরব —
মুখরিত করেছে আকাশ বাতাস,
চাপা পড়ে যায় আর্তের আর্তনাদ।
পূণ্যার্থীরা ভীড় ঠেলে এগিয়ে যায়
পূজারীর সামনে।
হাত তুলে ধরে ,
পায় দু ফোঁটা চরণামৃত ।
কিন্তু হায় !
ওরা কি জানে না ?
জগন্নাথের চরণই নেই
তার আবার চরণামৃত !
একি অলীক কল্পনা !!
ওরা জানে না —-
জগন্নাথের পা নেই
কিন্তু – চলার রথ আছে
আছে – বসার রাজ সিংহাসন।
আর সিংহাসন থাকলেই —
চলার পথ আছে
বিশাল জনমত আছে
পেটে ভাত আছে
মাথায় ছাত আছে ।
কিন্তু, ওই যারা হাত নিয়ে বড়ই করে
টানছে রথের চাকা ,
ওদের প্রেয়সী, ওদের সন্তান,
দিনে দিনে পিষ্ঠ হয়েছে নির্মম
ভীষন শোষণের রথের চাকায়
অসহ্য যন্ত্রণায় ।
ওদের কিছু নেই —
ওরাই এ যুগের জগন্নাথ ।
ওদের হাত আছে —
কিন্তু – কোনো কাজ নেই
পা আছে —
তবু – চলার পথ নেই
খিদে আছে —
হায় ! দু মুঠো ভাত নেই।
যা আছে —
তা শুধু ওই রথের জোয়াল
কাঁধে নিয়ে চলার অধিকার,
ওই জগন্নাথ সুভদ্রা দের
আমোদ আহ্লাদে
শুধুই পেষণ হবার অধিকার ।
আর তাই —
রথ চলেছে ভীড় ঠেলে
হাজার জনতার মাঝে।
রথ চলে রাজপথ দিয়ে —
সালংকারা প্রহরী পরিমন্ডিত
(প্রাসাদ সম) মন্দিরের দিকে।।
#######
——————————————–
প্রিয় নিয়তি।
কবি জান্নাতুল ফেরদৌস।
কেন নিয়তির কাছে
বারে বারে হেরে যায়।
ভালোবাসাতে পুড়ে পুড়ে ম
মন আজ এতো কাঁদে।
কেন না বলে চলে যাওয়া
কি ছিল আমার ভুল।
আচ্ছা নিয়তি কেন এত কাদায়
আজ কেন এত কাদায় আমাকে।
আল্লাহ তুমি বলে দাও
চার বেহালার পালকি চড়ে।
কোথায় আছো আজ
কোন অজানা গন্তব্যে।
ফিরে কেন চাইলে না একবার
আমি আজও তোমার অপেক্ষা করি।
স্কুল গেটে দাঁড়িয়ে
আমায় দেখতে একবার মন চায়নি তোমার।
কেন বাসি লা ভালো
কেন মিথ্যে স্বপ্নে।
দেখালে আমাকে তুমি
আল্লাহ এই ছিল আমার নিয়তি।
আজ কোথায় আছো তুমি
শেষ দেখা দিলানা আমাকে কেন।
তুমিও একদিন কাঁদবে
হয়তো আমার জন্য।
আমায় ডাকবে তুমি
জানি আর দেখা হবে না।
তোমার আমার
আমি সাত জন ম।
অপেক্ষা করবো তোমার জন্য
প্রিয় কোনদিনও।
অপ্রিয় হয় না
শুধু সময় চলে যায়।
হৃদয়ে ভালোবাসা একই রকম থাকে
হয়তো আজ আমরা দুজন।
অনেক দূর বহুদূরে
প্রিয় প্রিয় প্রিয় প্রিয় প্রিয়।
আজ অসময়ে আমার
দৃষ্টি তে বৃষ্টি ঝরছে অঝোরে।
প্রিয় প্রিয় প্রিয় প্রিয় প্রিয় প্রিয়
আজ আমার ভালবাসার শহরে।
অনেক বৃষ্টি ঝরছে অঝোরে
আজ আমি বড় একা।
শুধু মনে পড়ে তোমাকে
সোনালী সেই দুপুরে।
আমাকে দুহাত ছুয়ে ডাক ছে
প্রিয় প্রিয় প্রিয়।
নিয়তি কেন এমন
ভালোবেসেছি যেমন থাকো ব্যস্ততার শহরে।
ভালো থেকো।
ভালোবেসেছি অনেক মিস করি।
প্রিয় পাথর।
——————————————–
তুমি যা দেখছো আমি তা নই,
__মুহা. তাফাজ্জুল হক,
সভ্যতার সাথে সাথে আমি কয়েক শতাব্দী আগেই আমি হারিয়ে গেছি।
তুমি দেখনি কখনও আমার ভিতরে থাকা কষ্ট, হয়তো কখনও অনুভাবও করোনি।
তুমি জানো না_ আলোয় আলোয় মানুষ কিভাবে অন্ধকারে বাঁচে।
তুমি শুধু দিনের বেলা মানুষকে হাসতে দেখেছো, রাতের অন্ধকারে কাঁদতে দেখনি।
তুমি আমায় শুনবার মতো সময় কখনও রাখোনি।
তুমি বুঝনি চোখের সামনে থেকেও মানুষ কিভাবে আস্তে আস্তে হারিয়ে যায়।
তুমি জানো না_ আলোর ফোয়ারা কখন একটা মানুষের কাছে বেমানান লাগে।
আমাদের প্রতিদিন কথা হলেও অনেক পরিচয় থাকলেও আমাদের ভিতরে ভিতরে নেই কোন জানাশুনা।
আমাদের একিই প্রকৃতিতে বসবাস হলেও আমরা ভিন্ন প্রকৃতির মত বাঁচি।
_মুহাম্মদ তাফাজ্জুল || আজনবি
——————————————–
কবিতা-মনের সেতু
কলমে-মিজানুর রহমান মিজান
তারিখ ১/৭/২২খ্রিঃ
মনের সেতু বন্ধন প্রাণ
কর যদি দিয়ে দান
দু:খের নিশি হবে অবসান।।
পাখি যথা উড়ে যাক
ফিরে আসা স্বভাবজাত কাক
মলিনতায় হয় যে বিরান।।
কেমনে করি গ্রহণ,সবই যে সঙ্গোপন
সুপ্ত হাহাকার বুঝতে পারি না ত্যাগের ধরণ
অহোরাত্র দ্রুতগামী ডানা মেলে দ্রুতযান।।
জাত যাবে ভালবাসলে যায় না তা যাক
সর্বনাশ হোক দীর্ঘশ্বাস প্রাণ সত্তা ফিরে পাক
মৃত্যুস্বাদ চায় চুপিসারে আর্তনাদের ভাষা ঘ্রাণ।