Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

মিলন মোহিনী
কলমে – ঈশানি রায়
তারিখ – ২৫/০৬/২০২২
________________________________

এবার আঁকবো রঙিন ঠোঁট
যে ঠোঁট হারাবে – তোমার মাদকতায়,
বুলিয়ে নেব সোনার চিরুনী
কুন্তল রাশি গুচ্ছ ছড়াবো কোমল বিছানায়।
ওই চোখে নতুন ছোঁয়ার নেশা;
অঙ্গে অঙ্গে ঢেউ তুলেছে ভয়ের প্রথম কম্পন,
কপালের ভাজে আলগা চাতুরী
দেহের উষ্ণতায় গড়ছে শিল্পের তুখোর অঙ্কন।
মিষ্টতা মিশেছে নিশ্চুপ অষ্ঠে;
নিঃশ্বাসের শব্দ যেন উতল সাগরের ঢেউ-
মৃদু যন্ত্রণার মিলনের উদ্যমতায়
প্রেমের আলিঙ্গনে খুঁজছে নতুন সুখ কেউ।

——————————————–

শব্দ নগর
অরুণ দাশ
২৫/০৬/২২ ইং
আমেরিকা থেকে
+++++++++++++++

শব্দের জনক আমি
শব্দের পুতুল হয়ে আছি
যে ভাবে নাচায় তারা
সে ভাবে ঘুড়ির মত নাচি।

শব্দই সাজালো বিশ্ব
ছাড়তে পারিনা তাই তারে
এতিম কাংগাল সেজে
তাইতো রয়েছি তার দ্বারে।

শব্দেরা স্বাধীন দ্রোহী
মহাবিশ্ব করেছে প্রণত
শব্দের দৌরাত্বে বিশ্ব
গ্রহ- তারা আছে পদানত।

শব্দের নির্মান প্রভু
দানব উল্লাস নিয়ে হাটে
রক্তের লোলপ জহবা
মানুষের মাথা রোজ কাটে।

শব্দের ঘুরণ প্যাচে
সভ্যতা অগ্রিনী গতি আজ
শব্দেরা পালিয়ে গেলে
মুছে যায় সভ্যতার তাজ।

——————————————–
হাইকু (প্রসঙ্গঃ পদ্মাসেতু)
শফিউল আলম
চট্টগ্রাম, ২৫ জুন-২০২২ খ্রিঃ।
০১.
পদ্মার ধারা
মানুষে বশীভূত
গঠিত সেতু
০২.
ডহর পদ্মা
উম্মত্ত শৈবলিনী
যুক্ত দু’তীর
০৩.
ঋদ্ধ জনতা
পদ্মার দু’কূলেতে
নাচে আনন্দে
০৪.
স্বল্প সময়
যোগাযোগে তড়িৎ
গণ অর্জন
০৫.
সু-যোগাযোগ
সমৃদ্ধি আনয়ন
বৃদ্ধি প্রবৃদ্ধি

——————————————-+
রঙিন খামে
মুঃআবু সাঈদ নুরুল্লাহ

সবুজ পাতায় লাল কালিতে
মুড়িয়ে রঙিন খামে,
হ্নদয় কাড়া একটি চিঠি
আসলো আমার নামে,

কে পাঠালো এমন চিঠি,
নেইতো লেখা ঠিকানা,
মনকাড়া সেই চিঠির ভাষা,
পড়ে হলাম দিওয়ানা,,

এমন মধুর কথামালায়,
হারিয়ে গেলো মন আমার,
তার খোজেতে পার হয়ে যাই,
হাজার নদী,সাগর-পাহাড়,,,

কে গো তুমি অচিনপাখি?,
বাধলে বাসা আমার মনে,,
সামনে এসে দাও দেখা দাও,
বলবো কথা তোমার সনে,,,

হবে কি বলো এই হ্নদয়ের,
পোষা টিয়া ময়না?,,
পুষ্পমালায় জড়িয়ে তোমায়,
পড়াবো ফুলের গয়না,,,

মনের ঘরে রাখবো তোমায়
খুব যতনো করে,
দেখবো তোমায় দুটি চোখে
সারা জনম ভরে,,
২৫/০৬/২২

——————————————–
অণুগল্প

শিরোনাম – পুরুষ মাত্রেই খারাপ নয়
কলমে – মায়া সাহা।
শব্দসংখ্যা – ২৫০

পূজা প্যাণ্ডেলে প্রবেশদ্বারে শাড়ি পড়ে সুন্দর সেজেগুজে দাঁড়িয়ে তৃনা।
হঠাৎই ওর কানে এল,হ্যালো ম্যাডাম………………….
ম্যাডাম আপনাকে বলছি………

ইয়েস, বলুন।
জয় আমতা আমতা করে বলল, ” আজ্ঞে, আপনার শাড়ির আঁচলটা পেছন থেকে সামনের দিকে টেনে নিন প্লিজ।”
তৃনা অবাক হয়ে বলে,” মানে ? আমার শাড়ির আঁচলটা কীভাবে মেনটেন করবো সেটা কী আপনার থেকে জানতে হবে?”

না, মানে………………আপনার ভালোর জন্যই
বলছিলাম।

একদম চুপ !
মেয়ে দেখলেই পেছনে লাগতে ইচ্ছে হয় তাইনা?

বিশ্বাস করুন; আমি ভদ্র ঘরের ছেলে।
আমার কোনো খারাপ উদ্দেশ্য নেই।
হ্যাঁ,কেমন ভদ্র ঘরের ছেলে সে তো বুঝতেই পারছি…………….
ভালো চান তো আর একটা কথাও বলবেন না।
এখুনি পুজা প্যাণ্ডেলের বায়রে বেরিয়ে যান।
নাহলে কিন্তু………………..

অদ্ভুত তো ! আজকাল দেখছি ভালো মানুষির দাম নেই ! আমি ঠাকুর দর্শন করতে এসেছি । আপনাদের প্যাণ্ডেলে থাকতে আসিনি। তবে আমি নিশ্চিত যে, আমি প্যাণ্ডেল থেকে চলে যাওয়ার পর আপনি আফসোস করবেন।

জয় প্যাণ্ডেল থেকে বেরিয়ে আসার সাথে সাথেই একজন ভদ্র মহিলা তৃনাকে পাশে ডেকে বললেন,” মা, তোমার কী পিরিয়ড হয়েছে? তৃনা বলল, না তো কাকিমা।
ভদ্র মহিলা বললেন, মা তোমার পেছনে রক্তের দাগ লেগেছে…………………
একথা শুনে তৃনা অবাক হয়। ও মনে মনে ভাবছে পিড়িয়ড হলো বাবলির। এরজন্য বাড়িতে শাড়ি পালটাতে গেল।
তবে আমার শাড়িতে দাগ লাগল কীভাবে !

অনেক ভাবতে ভাবতে ওর মনে পড়ল –
পূজা প্যাণ্ডেলে আড্ডা দেওয়ার সময় বাবলি যে চেয়ারে বসেছিল তৃনা পরক্ষণেই সেই চেয়ারেই বসেছিল।

তৃনা বুঝতে পারলো, অচেনা ছেলেটি কেন ও’কে শাড়ির আঁচল দিয়ে পেছনটা ঢাকতে বলেছিল। তখন তৃনার অচেনা ছেলেটির জন্য সত্যিই অনুশোচনা হলো।
তৃনা দ্রুতবেগে রাস্তায় এসে ছেলেটির কাছে ক্ষমা চাইল।
বুঝলেন ম্যাডাম, পুরুষ মাত্রেই খারাপ নয়।
আপনি বুঝতে পেরেছেন এটাই আমার সৌভাগ্য।

——————————————–
কবিতা : অন্ধকার আমার ভালো লাগে এখন
কলমে : জয়নাল আবেদিন
তারিখ : ২৫/০৬/২০২২

আমার এখন আলোর থেকে অন্ধকার বেশি বেশি
ভালো লাগে । সারাটা দিন জানলায় ভারি পর্দাটা মেলে রাখি। আলো জোর খাটিয়ে প্রবেশ করে না,
প্রায়োন্ধকার ঘরটায় চুপচাপ বসে থাকি। কখনো
শরীর এলিয়ে শুয়ে থাকি।

একাকী বন্ধ ঘরে থাকতে আমার ভীষণ মজা লাগে
নিজের সঙ্গে কথা বলি। চাওয়া-পাওয়ার হিসাব করি, তোমার স্বার্থপরতা- লোভ ,ছোট্ট একটা জীবনকে কত পাল্টে দিতে পারলো। স্বপ্ন কতো মধুর-কতো উদার, বাস্তব কতো জটিল- কতো নিষ্ঠুর!

রাতের অন্ধকার বড় প্রিয় এখনো আমার কাছে-
তখন তোমার সঙ্গে কথায়- কথায় রাত শেষে,
পাখিদের কলতান শুরু হতো। দিগন্তে আলোর
রেখা দেখা দিতো।
এখন চুপচাপ নাড়ির স্পন্দন, ধ্বনি-প্রতিধ্বনি অনুভব করতে থাকি। স্মৃতি রোমন্থন করি।

কতদিন -বছর পেরিয়ে গেলো, একটা রাত যদি কথা না বলতে পারতাম আমরা। কত কষ্ট হতো।
কত আফসোস করতাম। সেই নিবিড় সম্পর্ক টা যেন আঘাত প্রাপ্ত হতো। অথচ সেই সিঁড়ি ভাঙা অংকের উত্তর আজও মিললো না।

আজ তুমি আলোর বন্যায় ভাসছো,পুরনো বস্তাপচা ভাবনাগুলো চিতার আগুনে পুড়িয়ে শেষ করে দিয়ে।
আমি অন্ধকার আঁকড়ে বাঁচতে চাইছি,
অন্ধকার আমার ভালো লাগে এখন ……..

,

Powered by themekiller.com