Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের আজকের সেরা ছয় সাহিত্য

পদ্য কবিতা

পিতৃ-মাতৃ স্নেহ
ডাঃ বিভাস চন্দ্র বিশ্বাস
তাং- ২৩/০৬/২০২২

পিতা মাতার আশীর্বাদ
যদিবা পায় কেহ ,
জীবন তারই ধন্য হবে
শীতল হবে দেহ ।

পিতা যেমন বৃক্ষ’ছায়া
স্নেহ’শাসন থেহ ,
স্নেহাদরে তেমনি মিষ্টি
মাতার অণুলেহ !

জন্মদাত্রী মা ঘৃণাশূন্যা
ঘেঁটেছে মল-মেহ ,
জন্মদাতা দেবীর মতো
দেব সমান সেও !

পিতৃ-মাতৃ উজার করা
এমনি মধুর স্নেহ ,
তারই দোয়া জোস্নাসম
ভরায় শূন্য গেহ ।

সর্বদা যাদের যত্ন নিলে
পায় যে প্রভুর নেহ ,
তবুও কলির সন্তানেরা
করছে তাদের হেয় !

উজার করা করুণাধারা
পিতৃ-মাতৃ-স্নেহ ,
হোক না তারা বৃদ্ধ-বৃদ্ধা
সন্তান হিতে শ্রেয় !

*******বিসিবি*******

——————————————–

“”মানবতার অতন্দ্র প্রহরী “” ২৩/০৬/২০২২

স্বপন_সরকার

স্পর্শ করেনি সন্তান পিতা-মাতার লাশ
ছুঁতেও চায়নি স্বামী বা স্ত্রী কারোর নিথর দেহ,
আত্মীয় স্বজন ঘরের দরজা বন্ধ করে
নীরবে প্রস্থান করাকেই মনে করেছে শ্রেয়।

ঠিক সেই সময়ে এসেছে কতিপয় সাহসী বীর
স্বজনের মায়ায় ধরেছে এক এক মৃতদেহ,
ধর্মীয় বিধান মতে শ্রেণি ভেদে দিয়েছে জানাজা, দাফন
কারোবা করেছে শ্মশানে শেষকৃত্যের দাহ।

যে জানাজায় আসেনি স্বজন বন্ধু বান্ধব প্রিয়জন
জানাজার ইমামতি করতে এসেছে টীম লিডার শেষে,
স্বীয় টীমের সকলে একসাথে মিলেই
দাফনের কাজটিও সুসম্পন্ন করেছে অবশেষে।

যে সন্তান পারেনি দিতে পিতার মুখে মুখাগ্নি
তাদের হাতেই উঠলো অগ্নি,
অপর ধর্মের বিধান মেনে নিয়েই সন্তান হিসাবে
শেষকৃত্যের জন্য করেছে মুখাগ্নি।

জয় হয়েছে আজ মানবতার আর মানবিকতার
সমুন্নত করেছে তারা সাম্যের বাণী,
তারা হয়েছে সারা শহরের মানুষের মধ্যমনি
একথা সবারই সাথে আমিও যে জানি।

🙏🙏**করোনা কালীন সময়ে মানবতার অতন্দ্র
প্রহরীদের সম্মানার্থে।**

——————————————–

#আমার_বাড়ি
#কলমে_মন্ডল_সৌরভ

হিঞ্চে আর কলমি শাকে
ভরা পুকুর ঘাট
সবুজ সবুজ দূর্বা ঘাসের
চাদর বেছা মাঠ।

তার পাশেতেই টালির চালে
জোড়া শালিক ঝগড়া করে
ভোম্বলদের কুকুর দেখে
বিড়াল ছানা ভয়ে মরে।

রাস্তা ইটের শ্যাওলা ভরা
সুপারি গাছের সারি
মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে
সবুজ রঙের আমার বাড়ি।।

——————————————–
শিরোনাম : কষ্টের ভীড়
কলমে : জোবাইর আহমাদ।

কষ্ট যখন আসে, একা কভু আসেনা
তার দলবল নিয়ে আসে,
যন্ত্রনার অনলে ভষ্মিত করতে
বিন্দু পরিমাণ দয়া দেখায় না।

চিন্তা, পেরেশানি কেমন যেন ছাড়ছেই না
কি করবো; কিছু বুঝে উঠার আগেই
বার বার বিষাক্ত ছোবলে দংশন করছে,
কিছু করতেও পারছিনা, আবার ঠেকাতেও পারছিনা।

আমি যেতে চাই দূর থেকে বহু দূরে তেপান্তরে;
যেখানে থাকবে না ক্লেশ, থাকবে শুধু সুখ বাহুডোরে।
হারাতে চাই অদৃশ্যপটে ব্যঞ্জন মুখরে,
থাকবো শুধু একা আমি, স্বাচ্ছ্বন্দ্যে থাকবে ভরে।

বড্ড বেশি হাঁপিয়ে গেছি; বড্ড ক্লান্ত
তবুও অবুঝের মতো আক্রমণে হয়নি ক্ষান্ত,
নিরুৎসাহিত নির্বাক নিস্তব্ধতায় নিশ্চুপ আছি;
নিয়তিকে মেনে নিয়ে অবিরাম দাবানলে পুড়ছি।

কিভাবে বুঝাই বলো আমার কষ্টের কথা?
একাকিত্বে নিবৃত্তে সয়ে যাচ্ছি নিরবতার ব্যথা।
এভাবে আর পারছিনা জানো, একদম নুয়ে গেছি;
অশ্রুসিক্ত নুনা জলে কষ্টের ভীরে হাঁপিয়ে গেছি।

হয়’ত কখনও হারিয়ে যাবো, ক্ষমা করে দিও,
অভাবের তাড়নায় ব্যহত বাসনাগুলো অপূরনিও।
ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে, আমি শেষ হয়ে যাবো,
তোমায় পাওয়ার প্রত্যাশে; তব দূরান্তে প্রতিক্ষায় থাকবো।

——————————————–

একদিন থেমে যাবো
কাউসার আক্তার পান্না

একদিন জীবন ফুরাবে,ফুরাবে না বেলা
টাকাও ফুরাবে, ফুরাবে না জগত মেলা।
আমার লেখা একদিন ঠিকই থেমে যাবে,
কারো কারো কলম কাগজ তখন ও চলবে।

বাক-বিতণ্ডা একদিন ঠিকই থেমে যাবে
স্বজনের কানাকানি সেদিন ও থাকবে।
একদিন আঁখি যুগল ঠিকই মুদে আসবে
তবুও সুহৃদ সকল তাতে সুরমা আঁকবে।

তরিগরি করে খুলে নিবে রঙিন শাড়ি
বিন্দু মাত্র ভুল হবে না দিতে সাদা শাড়ি।
আদর আপ্যায়ন করতে পারবো না যেনে ও
সেদিন ঘর বাড়ি ভরে থাকবে স্বজন অতিথি।

পছন্দ অপছন্দ কিছুই বলতে পারবো না
তবুও শত ফুলে সাজাবে আমি অধম কে।
সব শেষ হয়ে যাবে, থামবে আমার পদ গতি
যারপর নেই মুহূর্তেই খুলে নিবে কণ্ঠ গজমতি।

——————————————–

কলঙ্কিত উৎসর্গ
টি এইচ বকুল

উৎসর্গ শব্দটা নিঃস্বার্থ, শুধু শ্রদ্ধার।
তবুও কোথাও কেউ যেন এর নেতিবাচক ব্যাকরণ খুঁজে পায়, জ্বলে উঠে হলদে আলোয়,জোনাকির মতো মিটমিট করে।

একটা শব্দার্থ খুঁজে অবৈধতার। সংযুক্ত করতে চায় জলসা ঘরে বেনামে। দৃষ্টি ভঙ্গি যে এতো নমিত হতে পারে, সেটা আশাতীত আমার।

তার পুরো কবিতার সারমর্মে ছিল,মলিন সুধাংশুর ছায়া, শব্দের মালায়, গেঁথে নির্মাণ করতে চেয়েছে শরীরী একটা অবয়ব।
ভালোবাসার পরিভাষায় এঁকে দিয়েছে কলঙ্কের আলপনা, যা ব্যথিত করে মনের সর্বময়।

একটা ভাবান্তর, সক্রিয় স্নায়ুর মণ্ডলে।
আমার কল্পনায় যে মুখটা, এখনো বরেণ্য,
সে মুখটা আমি, কি করে ভুলে যাই ?
কি করে ভুলে যাই, তার শ্রদ্ধার জায়গাটা?
সত্যিই, অভাবনীয় একটা পরিবর্তন অবলোকন করলাম সেই মানুষটার মধ্যে,
যা আমায় উদবিগ্ন করে।

আমার কবিতার মূল চরিত্রটি নিছক ভালো লাগা থেকেই শুধু জন্ম। এখানে স্বার্থপরতার কোন বিষয়বস্ত নিহিতো নেই। যা দৃশ্যমান,
তা,স্বচ্ছ জলের মতোই পরিষ্কার।
শুধু শুধু ঘোলাজলে মাছ ধরার অভিপ্রায় শুধু।

আমার উৎসর্গ আজ লাঞ্ছিত, বিঁধে দিয়েছে তার মর্মে শব্দশর। একটা সামান্য কাব্যকে
মেখে দিয়েছে ভাঁড়ের মত,অতি রঞ্জিত রং।
হয়তো বিলাসী মন,অভিলাষে হয়েছে মগ্ন।
তাই’তো শুভ্র মেঘের বুকে, এঁকে দিয়েছে কলঙ্কিত রংধনু।

আমি কৃতজ্ঞ, হ্যাঁ ভীষণ কৃতজ্ঞ।
আমার সৃষ্টিও যে সমালোচিত হতে পারে
অমন গুণী মহা মানুষের কাছে, তা সত্যিই
কল্পনীয়।

আমার শ্রদ্ধা,ভালোবাসা, ও বিনম্রতা জানাতে চাই সেই মহান পুরুষকে,যে আমার কবিতায় খুঁজে পেয়েছে একটা লোভনীয় নারীর শরীর ও চরিত্র, এবং কী,
এক পেয়ালা রঙিন,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

রচনাকালঃ ০২-১২-২০২১ ইং

Powered by themekiller.com